العصمة من الفتن وما يستحب فيها من الكف والإمساك عن القتال والعزلة فيها

পৃষ্ঠা - ৩৪২
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছি, ফেৎনকালীন ঘুমন্ত ব্যক্তি স্বাভাবিক শুয়ে থাকা ব্যক্তি থেকে উত্তম। শুয়ে থাকা ব্যক্তি বসা অবস্থায় থাকা লোক থেকে উত্তম। বসে থাকা লোক দাড়ানো অবস্থায় থাকা লোক থেকে ভালো, দাড়িয়ে থাকা লোক চলমান লোক থেকে উত্তম, স্বাভাবিক চলাচলকারী ব্যক্তি বাহনে আরোহনকারীর চাইতে উত্তম। বাহনে আরোহনকারী দ্রুত গতিতে ফেৎনার দিকে ধাবমান ব্যক্তি হতে উত্তম। ফেৎনা চলাকালীন খুন হওয়া সকলে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সা.) সে অবস্থা কবে হবে? জবাবে আল্লাহ্র রাসূল বলেন, যেটা মারাত্মক যুদ্ধ চলাকালীন হবে। আমি জানতে চাইলাম কখন সেটা হবে?” জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, সেটা তখনই হবে, যখন কোনো মানুষ তার পাশে বসে থাকা লোক দ্বারা আক্রান্ত হওয়া থেকে শঙ্কা মুক্ত হতে পারবেনা। বর্ণনাকারী বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যদি সে যুগ প্রাপ্ত হই তাহলে আমার প্রতি আপনার কি নির্দেশনা রয়েছে। জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তখন তুমি নিজেকে এবং তোমার হাতকে নিয়ন্ত্রণ করো এবং নিজের ঘরে দাখেল হয়ে যাও। অতঃপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ! (সা.) সেই ফেৎনা যদি আমার ঘরের অন্দরেও প্রবেশ করে যায় তাহলে আমার করনীয় কি হবে? জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তাহলে তুমি তোমার ঘরের ভিতরে ঢুকে যাবে। তার কথা শুনে আমি বললাম, যদি সে ফেৎনা আমার ঘরের ভিতরেও প্রবেশ করে তাহলে আমার কি করা উচিৎ? এর পর রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, যদি এমন হয় তাহলে তুমি তোমার মসজিদে প্রবেশ করতঃ তোমার হাত গুটিয়ে রাখ, এবং মৃত্যু মুখে পতিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ‘রব্বি আল্লাহ’ জপতে থাক।
حدثنا ابن المبارك عن معمر عن إسحاق بن راشد عن عمرو بن
وابصة الأسدي عن أبيه
عن عبد الله بن مسعود رضى الله عنه قال سمعت رسول الله
صلى الله عليه وسلم يقول تكون فتنة النائم فيها خير من المضطجع والمضطجع فيها خير
من القاعد والقاعد فيها خير من القائم والقائم خير من الماشي والماشي فيها خير من
الراكب والراكب خير من المجري قتلاها كلها في النار
قال قلت يا رسول الله ومتى
ذلك
قال أيام الهرج
قال قلت ومتى أيام الهرج
قال حين لا يأمن الرجل
جليسه
قال قلت فبم تأمرني إن أدركت ذلك قال
اكفف نفسك ويدك وادخل دارك
قال قلت يا رسول الله أرأيت إن دخل علي داري
قال فادخل بيتك
قال
قلت إن دخل علي بيتي
قال فادخل مسجدك ثم اصنع هكذا ثم قبض بيمينه على الكوع
وقل
ربي الله حتى تقتل على ذلك
পৃষ্ঠা - ৩৪৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, তোমরা নিজেদেরকে ফেৎনা থেকে বাচিয়ে রাখ। আল্লাহ্্র কসম! যদি কেউ ফেৎনার সম্মুখিন হয় তাহলে সেটা তাকে ¯্রােতের ন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। উক্ত ফেৎনা খুবই সুন্দরভাবে এগিয়ে আসলেও সবকিছু নিঃশেষ করে ফিরে যাবে। তোমরা কেউ এ ধরনের ফেৎনার সম্মুখিন হলে তোমাদের ঘরের ভিতরেই অবস্থান করতে থাকবে, তোমাদের তালোয়ারের তীক্ষ্মতাকে নষ্ট করে ফেলবে এবং ধনুকের ছিলা কেটে টুকরো টুকরো করবে।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن أبي إسحاق عن
عمارة ابن عبد سمع
حذيفة بن اليمان رضى الله عنه يقول إياكم والفتن لا يشخص لها
أحد فوالله ما شخص لها أحد إلا نسفته كما ينسف السيل إنها تشتبه مقبلة حتى يقول
الجاهل هذا يشبه وتبين مدبرة فإذا رأيتموها فاجثموا في بيوتكم وكسروا سيوفكم وقطعوا
أوتاركم
পৃষ্ঠা - ৩৪৪
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, অতি নিকটবর্তী হওয়া ফেৎনার অনিষ্টতাকালীন আরবদের ধ্বংস অনিবার্য। নিজের হাতকে কন্ট্রোলকারী লোকই মূলতঃ সফলকাম।
حدثنا حفص بن غياث عن الأعمش عن أبي صالح
عن أبي هريرة رضى
الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ويل للعرب من شر قد اقترب قد أفلح
من كف يده
পৃষ্ঠা - ৩৪৫
হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে আমি এমন এক ফেৎনা সম্বন্ধে জানি, যার পূর্বের নিদর্শনগুলো অতিসত্ত্বর প্রকাশ পেতে আরম্ভ করেছে। যার সাথে থাকবে উত্যক্তকারী দল, যেমন খোরগোশকে উত্যক্ত করে গর্ত থেকে বের করে আনা হয়, তেমনিভাবে লোকজনকে ফেৎনার প্রতি ধাবিত করা হবে। আবার আমি উক্ত ফেৎনা থেকে মুক্তির উপায়ও জানি। উপস্থিত লোকজন জিজ্ঞাসা করেন, মুক্তির উপায় কি হতে পারে? জবাবে হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, আমার হাতকে কন্ট্রোল করে রাখব, এক পর্যায়ে আমাকে এসে হত্যাকারীরা হত্যা করবে।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن يحيى بن أبي كثير
عن أبي
هريرة قال إني لأعلم فتنة يوشك أن تكون التي قبلها معها كنفجة أرنب وإني لأعلم
المخرج منها
قالوا وما المخرج منها
قال أن أمسك يدي حتى يجيء من يقتلني
পৃষ্ঠা - ৩৪৬
হযরত হোজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুসলমানদের দুই দল থেকে কারো পরিচয় পেশ করার ক্ষেত্রে আমার কোনো ভয় সংকোচ নেই। তাদের উভয়দল থেকে যারা খুন হবে তাদের প্রত্যেকে জাহেলী যুগের ন্যায় মৃত্যুবরণ করবে।
حدثنا عيسى بن يونس عن ابن أبي خالد عن زيد بن وهب
عن حذيفة بن
اليمان قال فئتان من المسلمين ما أبالي في أيتهما عرفتك قتلاهما قتلى جاهلية
পৃষ্ঠা - ৩৪৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে ফেৎনা খুবই সজ্জিত অবস্থায় এগিয়ে আসলে ফিরে যাবে কিন্তু ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে , বাহ্যিকভাবে ফেৎনা তীব্র আকার ধারন করলে সেটাকে বিস্তৃত করোনা, আর সেই ফেৎনা প্রশস্থ হতে চেষ্টা করলে প্রশস্থ হতে দিয়ো না। উক্ত ফেৎনা আল্লাহর জমিনে উর্বরতা বৃদ্ধি পেলেও তার লাগাম মাড়ানো হবে। আল্লাহ্ তাআলার অনুমতি ছাড়া কারো পক্ষে সেটাকে জাগ্রত করা হালাল হবেনা। যে লোক উক্ত ফেৎনার লাগাম ধারন করবে তার ধ্বংস অনিবার্য।
حدثنا بقية بن الوليد والحكم بن نافع عن سعيد بن سنان قال حدثني أبو
الزاهرية عن جبير بن نفير
عن ابن عمر رضى الله عنهما قال قال رسول الله صلى
الله عليه وسلم إن الفتنة إذا أقبلت شبهت وإذا أدبرت أسفرت وإن الفتنة تلقح بالنجوى
وتنتج بالشكوى فلا تثيروا الفتنة إذا حميت ولا تعرضوا لها إذا عرضت إن الفتنة راتعة
في بلاد الله تطأ في خطامها لا يحل لأحد من البرية أن يوقظها حتى يأذن الله تعالى
لها الويل لمن أخذ بخطامها ثم الويل له
পৃষ্ঠা - ৩৪৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে ফেৎনা খুবই সাজ সজ্জা ও আনন্দিত অবস্থায় আত্মপ্রকাশ করবে, তবে সেটা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ফেরৎ যাবে।
حدثنا وكيع عن سفيان عن الأعمش عن
زيد بن وهب
عن عبد الله قال إن الفتنة إذا أقبلت شبهت وإذا أدبرت أسفرت
পৃষ্ঠা - ৩৪৯
হযরত হোজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকেও পূর্বের হাদীসের ন্যায় বর্ণিত, তবে সেখানে একথাও রয়েছে যে, হযরত হোজায়ফা রাযি. কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে যে, উল্লিখিত ফেৎনা কখন প্রকাশ করবে। জবাবে তিনি বললেন, উক্ত ফেৎনা উম্মোক্ত তরবারির আকারে পেশ আসলেও ফিরে যাবে কিন্তু খাঁচাবদ্ধ তলোয়ারের ন্যায়।
قال سفيان واخبرنا الحارث بن حصيرة عن زيد بن وهب
عن حذيفة بن اليمان مثل ذلك
وزاد فيه قال قيل لحذيفة ما إقبالها قال سل السيف قيل فما إدبارها قال غمد السف
পৃষ্ঠা - ৩৫০
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামন রাযি. থেকে বর্ণিত, তাকে একজন লোক জিজ্ঞাসা করেন যে, যখন নামায আদায়কারীগণ পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে তখন আমাদের জন্য আপনার দিক নির্দেশনা কি হতে পারে। জবাবে তিনি বললেন, তখন তুমি তোমার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা তালাবদ্ধ করে রাখবে। কেউ এগিয়ে আসলে তাকে হাত দ্বারা নিষেধ করে দিবে। আর যদি কেউ আক্রমণ করতে চায় তাহলে তাকে বলবে, তুমি আমার গুনাহ এবং তোমার গুনাহ সহকারে ফিরে যাবে।
حدثنا ابن عيينة عن منصور عن ربعي
عن حذيفة أن رجلا قال له كيف
تأمرني إذا اقتتل المصلون قال تدخل بيتك ثم تغلق عليك بابك فمن جاءك فقل هكذا فقال
سفيان بيدة فاكتتف وقل بؤبإثمى وإثمك
পৃষ্ঠা - ৩৫১
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, তোমরা যাবতীয় ফেৎনা থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করবে, কেননা ফেৎনাকালীন বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে যাওয়ার মত।
حدثنا محمد بن عبد الرحمن بن الحارث
عن محمد بن عبد الرحمن بن البيلماني عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما قال قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم إياكم والفتن فإن للسان فيها مثل وقع السيف
পৃষ্ঠা - ৩৫২
হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, ফেৎনা মূলতঃ তিন প্রকারের লোককে গ্রাস করে নিবে। এক প্রকার হচ্ছে দ্রুতগামি বুদ্ধিমান, যিনি উচ্চতায় পৌছার নিয়ত করলেই তাকে তলোয়ার দ্বারা নিম্নমুখী করে নিবে। দ্বিতীয়তঃ খতীব সাহেবের মাধ্যমে, যার প্রতি যাবতীয় বিষয়ের দাবি করা হবে। তৃতীয়তঃ শরীফ লোক। অতঃপর প্রতিভাবান বুদ্ধিমান লোককে মারাত্মকভাবে আছড়ে ফেলা হবে এবং খতীব ও শরীফলোক তাদের উভয়জনকে উৎসাহিত করা হবে। এক পর্যায়ে তাদের আশ্বপাশ্ব প্লাবিত হয়ে যাবে।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن زيد بن وهب
عن حذيفة قال وكلت الفتنة بثلاث
بالجاد النحرير الذي لا يريد أن يرتفع له منها شيء إلا قمعه بالسيف وبالخطيب الذي
يدعوا إليه الأمور وبالشريف المذكور فأما الجاد النحرير فتصرعه وأما هذان الخطيب
والشريف فتحثهما حتى تبلوا ما عندهما
পৃষ্ঠা - ৩৫৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, দুনিয়ার যাবতীয় বিষয়ে যুদ্ধকারী দুইদল থেকে তোমরা বেঁচে থাক, কেননা, তারা উভয় দল ধীরে ধীরে জাহান্নামের দিকে ধাবিত হতে থাকবে।
حدثنا محمد بن عبد الله التيهرتي
حدثنا ابن أنعم عن مكحول عن أبي ثعلبة أو أبي إدريس الخولاني
عن حذيفة بن
اليمان رضى الله عنه قال اتقوا فرقتين تقتتلان على الدنيا فإنهما تجران إلى النار
جرا
পৃষ্ঠা - ৩৫৪
হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি যদি উক্ত ফেৎনার সম্মুখিন হই, তাহলে আপনার পক্ষ আমার জন্য কি নির্দেশনা রয়েছে? জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, তখন তুমি মুসলমানদের জামাআত এবং তাদের ইমামকে আকড়িয়ে ধরো, একথা শুনে আমি জানতে চাইলাম, যদি তাদের ইমাম এবং জামাআত না থাকে তাহলে কি করবো, জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, ঐসব দলকে পুরোপুরি বর্জন করো, যদিও সেটা গাছের শিকড় কামড়ে ধরার মাধ্যমে হোক। এমন পরিস্থিতেতে মৃত্যু এসে গেলেও সেটা ছাড়া যাবে না।
حدثنا الوليد بن مسلم عن أبي جابر عن بسر بن عبد الله
الحضرمي عن أبي إدريس الخولاني قال
سمعت حذيفة بن اليمان يقول قلت يا
رسول الله ما تأمرني إن أدركت ذلك يعني الفتن
قال تلزم جماعة المسلمين وإمامهم
قال قلت فإن لم يكن لهم إمام ولا جماعة
قال فاعتزل تلك الفرق كلها ولو أن
تعظ بأصل شجرة حتى يدركك الموت وأنت على ذلك
পৃষ্ঠা - ৩৫৫
হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে পূর্বের ন্যায় বর্ণিত।
حدثنا الوليد قال قال
الأوزاعي وأخبرنا بن عطية
عن حذيفة بن اليمان عن النبي صلى الله عليه وسلم مثل
ذلك
পৃষ্ঠা - ৩৫৬
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, একদিন রাসূলুল্লাহ সা. জাহান্নামের দরজায় দাড়িয়ে আহবানকারীদের সম্বন্ধে আলোচনা করেন, তিনি বলেন, যারা তাদের আহবানে সাড়া দিবেন তাদেরকে সেখানে নিক্ষেপ করা হবে। একথা শুনে আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ। এমন অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় কি হতে পারে? রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, তাহলে তুমি মুসলমানদের জামাআত এবং ইমামকে আকড়িয়ে ধরবে। এ কথা শুনে আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.), যদি তাদের ইমাম আর জামাআত না থাকে তাহলে কি করতে হবে। জবাবে তিনি বললেন, এমন হলে তাদের প্রত্যেক দলকে ত্যাগ করতে থাকবে। এমন অবস্থায় তোমার মৃত্যু এসে গেলেও তুমি গাছের শিকড় কামড়ে ধরে থাকবে।
حدثنا عثمان بن كثير بن دينار عن محمد بن مهاجر أخي عمرو بن مهاجر عن
يونس بن ميسرة الجبلاني
عن حذيفة بن اليمان قال ذكر رسول الله صلى الله عليه
وسلم دعاة على أبواب جهنم من أطاعهم قحموه فيها
قال قلت يا رسول الله فكيف
النجاة منها
قال تلزم الجماعة وإمام الجماعة
قال قلت فإن لم تكن جماعة ولا
إمام جماعة
قال فاهرب من تلك الفرق كلها ولو يدركك الموت وأنت عاظ بساق
شجرة
পৃষ্ঠা - ৩৫৭
হযরত হুজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসুলুল্লাহ (সা.)! উক্ত ফেৎনা থেকে পরিত্রাণের উপায় কি হতে পারে? এবং তিনি পথ ভ্রষ্টদের আহবানের কথাও বলেন, জবাবে তিনি বলেন, সেদিন যদি পৃথিবীতে কোনো খলীফা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসে থাকে তাহলে তাকে আকড়িয়ে ধরো। যদিও সে তোমার পিঠে আঘাত করে এবং তোমার সম্পদ ছিনিয়ে নেয়। না হয় ফেৎনার স্থান থেকে পলায়ন করে মৃত্যু পর্যন্ত গাছের শিকড় কামড়িয়ে ধরে থাকো।
حدثنا ضمرة عن ابن شوذب عن أبي التياح عن خالد ابن سبيع
عن حذيفة بن
اليمان قال قلت يا رسول الله فما العصمة من ذلك وذكر دعاة الضلالة
فقال إن لقيت
لله يومئذ خليفة في الأرض فالزمه [ و ] إن ضرب ظهرك وأخذ مالك وإلا فاهرب في الأرض
حتى ياتيك الموت وأنت عاظ على أصل شجرة
পৃষ্ঠা - ৩৫৮
বিন্তে আহবান আল-গিফারী রহ. থেকে বর্ণিত, একদিন হযরত আলী ইব্নে আবী তালেব রাযি. আহবানের কাছে এসে বললেন, আমার অনুসরণ করতে তোমাকে কে নিষেধ করেছে, জবাবে তিনি বলেন, আমাকে আমার খলীল এবং আপনার চাচাতো ভাই ওসিয়্যত করেছেন, অতি সত্ত্বর ফেৎনা, দলাদলি এবং এখতেলাফ আত্ম প্রকাশ করবে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে তুমি তোমার তলোয়ারকে ভেঙ্গে ফেলো, তোমার ঘরের অন্দরে প্রবেশ করবে এবং বাঁশের তৈরি একটি তলোয়ার আবিস্কার করো।
حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث عن
حماد بن سلمة حدثنا أبو عمرو القسملي عن بنت أهبان الغفاري
أن عليا رضى الله
عنه أتى أهبان فقال ما يمنعك أن تتبعنا فقال أوصاني خليلي وابن عمك أنه سيكون فتنة
وفرقة واختلاف فإذا كان ذلك فاكسر سيفك واقعد في بيتك واتخذ سيفا من خشب
পৃষ্ঠা - ৩৫৯
হযরত আবু জনাব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, আমি হযরত তালহা রাযি. কে বলতে শুনেছি, তীব্র এক যুদ্ধে আমাকে শরীক হতে হয়েছে, যেখানে আমি কোনো তীরও নিক্ষেপ করিনি আবার কাউকে তলোয়ার দ্বারা আঘাতও করিনি। আমার যদি উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত কাটা হতো এবং আমি শরিক না হতে পারতাম তাহলে কতই না ভালো হতো।
حدثنا ابن عيينة عن أبي جناب قال
سمعت طلحة يقول شهدت الجماجم فما طعنت برمح
ولا ضربت بسيف ولوددت أنهما قطعتا من هاهنا يعني يديه ولم أكن شهدته
পৃষ্ঠা - ৩৬০
হযরত মুজাহিদ রহ. থেকে বর্ণিত, আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, জালেম সম্প্রদায়ের জন্য আমাদেরকে ফেৎনার কারণ বানাবেন না। আরো বলেন, তাদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দিবেন না, এক পর্যায়ে তারা আমাদেরকে মারাত্মক ফেৎনার সম্মুখিন করবে, যার কারণে আমরা ফেৎনায় জড়িয়ে যাব।
حدثنا ابن عيينة ابن عن أبي نجيح
عن مجاهد قوله تعالى لا تجعلنا فتنة للقوم
الظالمين [ يونس85 ] قال لا تسلطهم علينا حتى يفتنونا فيفتتنوا بنا
পৃষ্ঠা - ৩৬১
হযরত আবু কিলাবা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন ইবনুল আসআছ এর ফেৎনা ব্যাপক আকার ধারন করেছে, আমরা উক্ত মজলিসে উপস্থিত ছিলাম এবং আমাদের সাথে ছিলেন মুসলিম ইব্নে ইয়াছার। অতঃপরন তিনি বলেন, যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য, যিনি আমাকে এই ফেৎনা থেকে মুক্তি প্রদান করেছেন। আল্লাহর কসম! উক্ত যুদ্ধে আমি একটি তীরও নিক্ষেপ করিনি, কাউকে বর্শা দ্বারা আঘাতও করিনি এবং তলোয়ার দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে আক্রমনও করিনি। বর্ণনাকারী আবু কিলাবা রহ. বলেন, অতঃপর আমি তাকে বললাম হে মুসলিম! তোমার প্রতি কোনো মুর্খের দৃষ্টি সম্বন্ধে কি বলবে? জবাবে তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! মুসলিম এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়না যেখানে হক দেখা হয়নি। এই কারণে হত্যা করা কিংবা হত্যা হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তিনি কেঁদে উঠলেন, কসম সে সত্ত্বার, যার হাতে আমার প্রাণ! এক পর্যায়ে আমি আশা করি যে, এ সম্বন্ধে আমার কিছু যেন বলতে না হয়।
حدثنا محمد بن ثور عن معمر عن أيوب
عن أبي قلابة قال لما أنجلت فتنة ابن الأشعت
كنا في مجلس ومعنا مسلم بن يسار فقال مسلم الحمد لله الذي أنجاني من هذه الفتنة
فوالله ما رميت فيها بسهم ولا طعنت فيها برمح ولا ضربت فيها بسيف قال أبو قلابة
فقلت له فما ظنك يا مسلم بجاهل نظر إليك فقال والله ما قام مسلم هذا المقام إلا وهو
يراه عليه حقا فقتل أو قتل قال فبكى والذي نفسي بيده حتى تمنيت أن لا أكون قلت له
شيئا
পৃষ্ঠা - ৩৬২
হযরত যুনদুব ইব্নে আব্দুল্লাহ আল-বাজালী রহ. থেকে বর্ণিত, নিঃসন্দেহে আহলে শামের এক লোক সিফফিনের যুদ্ধে হযরত আলী রাযি. এর একজনের উপর হামলা করেন। এক পর্যায়ে তার উপর চেপে বসে যবেহ করে দিতে চায়। তিনি বলেন, আমি আমার ধনুকের রশি দ্বারা তাকে বেঁধে ফেলার চেষ্টা করি, যেন তার উপর জয়ী হতে পারি। এক পর্যায়ে আমি তাকে কাবু করে ফেললাম। বর্তমানে উক্ত ঘটনাটি আমরা স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে আমার গলা ধরে আসে।
حدثنا ابن المبارك عن حماد بن سلمة عن علي بن زيد عن الحسن
عن
جندب بن عبد الله البجلي رضى الله عنه أن رجلا من أهل الشام حمل على رجل من أصحاب
علي يوم صفين فنزل إليه ليذبحه قال فشددت أنا برمحي نحوه لأجهضه عنه فأجهضته عنه
فما أذكرها إلا أخذت بحلقي
পৃষ্ঠা - ৩৬৩
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত হোযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, হে আমের! যাকে তুমি দেখো, সে যেন তোমাকে ধোকায় ফেলে না দেয়। কেননা এরা একদিন তাদের দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে আসবে যেমন মহিলাদের পেট থেকে বাচ্চা বের হয়ে আসে। যখন তুমি এমন অবস্থা দেখতে পাবে তখন বর্তমানের অবস্থায় ফিরে যাওয়া ভালো হবে।
حدثنا يحيى بن أبي غنية عن أبيه عن جبلة بن
سحيم عن عامر بن مطر
عن حذيفة أنه قال يا عامر لا يغرنك من ترى فإن هؤلاء
يوشكوا أن ينفرجوا عن دينهم كما تنفرج المرأة عن قبلها فإذا فعلوا ذلك فعليك بما
أنت عليه اليوم
পৃষ্ঠা - ৩৬৪
ইব্নে তাউয তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সা. আবু যরকে এরশাদ করেন, হে আবুযর! তোমাকে তো দেখতে তায়েফ বা রাশি বিদ্যায় পারদর্শি মনে হয়। তারা যখন তোমাকে মদীনা থেকে বের করে দিবে তখন তোমার কি অবস্থা হবে। জবাবে আবু যর বললেন, তখন আমি মকাদ্দাস স্থানে চলে আসব। তারা যদি সেখান থেকেও বের করে দেয় তাহলে কি করবে জবাবে আবু যর বললেন তাহলে আমি আবার মদীনায় ফিরে আসব। রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, তারা যদি তোমাকে সেখান থেকেও বের করে দেয়। জবাবে আবু যর রাযি. বলেন, তখন আমি আমার তলোয়ার বের করে মারা না যাওয়া পর্যন্ত দুশমনের উপর আক্রমণ করতে থাকবো। একথা শুনার পর রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, না তুমি এটা করতে যেওনা, বরং তখন যে আমীর থাকবে সে নিগ্রো গোলাম কালো হলেও তার কথা শুনে যাবে। বর্ণনকারী বলেন, আবু যর গিফারী রাযি. রাবাযা নামক স্থানে পৌছলে সেখানে হযরত ওসমান রাযি. এর কালো একজন গোলাম কে দেখতে পায়, এবং নামাযের একামত হওয়ার পর সকলে নামাযের অপেক্ষায় আছেন। তারা আবু যর রাযি. কে দেখে নামাযের ইমামতি করতে বললে তিনি জবাব দিলেন, না আমি ইমাম হবোনা, কেননা আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যেন আমি কথা মেনে চলি, যদিও সে কালো নিগ্রো গোলাম হোক। অতঃপর উক্ত গোলাম এগিয়ে গিয়ে নামায সম্পন্ন করলেন।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن ابن طاوس
عن أبيه أن
رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لأبي ذر أراك يا أبا ذر لقائفا كيف بك يا ابا ذر
إذا أخرجوك من المدينة
قال آتي الأرض المقدسة
قال فكيف إن أخرجوك منها
قال ارجع إلى المدينة
قال فإن أخرجوك منها
قال آخذ بسيفي فأضرب به حتى
أقتل
قال لا ولكن إسمع واطع ولو لعبد أسود
قال فلما أتى الربذة وجد بها
غلاما أسود لعثمان فأقيمت الصلاة
فقال يا أبا ذر تقدم
فقال إني أمرت أن
أسمع وأطيع ولو لعبد أسود
قال فتقدم العبد فصلى
পৃষ্ঠা - ৩৬৫
হযরত কা’ব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, আরবদের বর্তমান পরিস্থিতি রাসূলুল্লাহ সা. এর ওফাতের পর মাত্র পঁচিশ বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী হবে। অতঃপর এমন ফেৎনা দেখা দিবে যা যুদ্ধ বিগ্রহ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে। এমন অবস্থা শুরু হলে তুমি নিজেকে এবং নিজের অস্ত্র হাত নিয়ন্ত্রণ করো। যেন তোমার কাছে শত্রু মিত্র পরিস্কার হয়ে যায়। এরপর লোকজন পিলারের টাই দাড়িয়ে থাকবে। অতঃপর মারাত্মক ফেৎনার সৃষ্টি হবে। আমি এ কথাটি কিতাবুল্লাহর মধ্যে পেয়েছি। এমন অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রকাশ যার কারণে কিছুই বুঝা যাবে না যা বড়দেরকেও গ্রাস করে নিবে। তখন তুমি তোমার অস্ত্র-হাতিয়ার ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে রাখবে এবং সে এলাকা থেকে ভালোভাবে পলায়ন করবে। পলায়ন করতে গিয়ে যদি প্রবেশ করার মত বিচ্ছুর গর্ত পাও তাহলে সেখানে প্রবেশ করবে।
حدثنا ضمرة عن ابن
شوذب عن أبي التياح عن أبيه عن أبي العوام
عن كعب قال رحا العرب بعد خمس وعشرين
بعد وفاة نبيها صلى الله عليه وسلم ثم تنشأ فتنة فيها قتل وقتال فأمسك عليك فيها
يدك وسلاحك ثم تكون أخرى بعد الإطمأنينة فأمسك عليك فيها يدك وسلاحك فإني أجدها في
كتاب الله المظلمة تلوي بكل ذي كبر
পৃষ্ঠা - ৩৬৬
হযরত কা’ব রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, রাসূলুল্লাহ সা. এর ওফাতের পর মাত্র পঁচিশ বৎসর পর্যন্ত আরবদের প্রভাব বাকি থাকবে। অতঃপর ফেৎনার আগুন জ্বলতে থাকবে। যার মধ্যে হত্যাসহ সবধরনের বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এহেন মুহূর্ত এসেপড়লে তুমি তোমার হাত ও হাতিয়ারকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এরপর অল্প সময়ের জন্য ফেৎনার প্রভাব বন্ধ হওয়ার পর আবারো নতুনরূপে ফেৎনা চলতে থাকবে। তখনো তুমি নিজের অস্ত্র ও হাতকে কন্ট্রোল করবে। যেহেতু উক্ত ফেৎনার ঘটনা আমি কিতাবুল্লাহ তে প্রাপ্ত হয়েছি। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ফেৎনা এমন অন্ধকারচ্ছন্ন হবে যা প্রত্যেক বড় লোককে গ্রাস করবে। তাই কেউ মুক্তি পেতে পারবে না।
حدثنا أبو عمر الصفار عن التياح عن
أبي العوام
عن كعب قال تدور رحا العرب بعد وفاة نبيها بعد خمس وعشرين سنة ثم
تفشوا فتنة يكون فيها قتل وقتال فأمسك عليك فيها نفسك وسلاحك حتى تنجلي لا لك ولا
عليك ثم يستوي الناس كالدوامة ثم تنشأ فتنة إني لأجدها في كتاب الله المنزل المظلمة
لا تنجلي حتى تلوي بكل ذي كبر فامسك عليك فيها نفسك وسلاحك واهرب منها أشد الهرب
وإن لم تجد إلا حجر عقرب تدخل فيه فادخل فيه
পৃষ্ঠা - ৩৬৭
হযরত ইয়াহইয়া ইব্নে আবু আমর আস্্ সিবয়ানী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন এবং তিনি চতুর্থ নং ফেৎনার কথা আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, উক্ত ফেৎনা থেকে কেউ মুক্তি পাবে না, তবে কেবলমাত্র ঐ লোকের মুক্তির ব্যাপারে আশা করা যায়, যে উত্তাল সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তির দোয়ার ন্যায় মুক্তির জন্য দোয়া করবে। যে সময় সর্বোত্তম ব্যক্তি হবে ঐ লোক যিনি গোপনে তাকওয়ার উপর অটল থাকে, প্রকাশ্যে তাকে কেউ চিনতে পারেনা এবং কোনো মজলিস থেকে উঠে গেলে তার অনুপস্থিতি অনুভব করা হয়না। ফেৎনাকালীন নিকৃষ্টতম ব্যক্তি হচ্ছে, তীব্রভাবে বক্তব্য প্রদানকারী খতীব কিংবা নির্দিষ্ট কোনো স্থানে যাতায়াতকারী সওয়ারী।
حدثنا ضمرة عن يحيى بن
أبي عمرو السيباني قال
قال أبو هريرة رضى الله عنه قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم وذكر الفتنة الرابعة لا ينجو من شرها إلا من دعا كدعاء الغرق أسعد أهلها كل
تقي خفي إذا ظهر لم يعرف وأن جلس لم يفتقد وأشقى أهلها كل خطيب مسقع أو راكب موضع
পৃষ্ঠা - ৩৬৮
হযরত আবু ওবাইদ ইবনে আবু জাফর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, পৃথিবীতে ফেৎনা চলতে থাকলে তার থেকে কেউ মুক্তি পাবে না তবে ঐ লোক মুক্তি পেতে পারে যে তার সম্পদ দ্বারা আক্রান্ত হবেনা, আর কেউ যদি তার সম্পদ দ্বারা আক্রান্ত হয়, তবে সেটা হবে কাউকে হত্যা করার মত।
حدثنا معافى بن عمران عن ابن لهيعة
عن عبيد الله بن أبي جعفر قال قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم تكون فتنة لا ينجو منها إلا من لم يصب من مالها ومن
أصاب من مالها كمن أصاب من دمها
পৃষ্ঠা - ৩৬৯
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, ফেৎনাকালীন সর্বোত্তম ব্যক্তি হচ্ছে ঐ লোক, যে নিজেকে সর্বদা গোপন করে রাখেন, তিনি জনসমক্ষে আসলে কেউ তাকে চিনতে পারেনা, কোথাও কোনো মজলিসে বসার পর ওঠে গেলে তার অনুপস্থিতি বুঝা যায় না এবং কেউ তাকে তালাশও করেনা।
حدثنا يحيى بن سعيد العطار عن ضرار بن
عمرو عن إسحاق بن عبد الله بن أبي فروة عمن حدثه
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أسعد الناس فيها كل خفي إن ظهر لم يعرف وإن جلس
لم يفتقد
পৃষ্ঠা - ৩৭০
হযরত আরতাত ইবনে মুনযির রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেন, চতুর্থ ফেৎনাকালীন লোকজন দ্রুত ভাবে ফেৎনার প্রতি ধাবিত হতে থাকবে। সে সময় খাটি মুমিন হবে ঐ ব্যক্তি যে নিজের ঘরের ভিতর অবস্থান গ্রহণ করবে, আর কাফের হয়ে যাবে ঐ লোক যে তার তলোয়ারকে খাপযুক্ত করবে এবং তার ভাই ও তার প্রতিবেশিকে হত্যা করবে।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح
عن أرطاة بن المنذر قال بلغني
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال في الفتنة الرابعة تصيرون فيها إلى الكفر
فالمؤمن يومئذ من يجلس في بيته والكافر من سل سيفه وأهراق دم أخيه ودم جاره
পৃষ্ঠা - ৩৭১
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত ওকবা ইব্নে আমের রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সাথে কাউকে শরীক না করে এবং অবৈধ ভাবে কাউকে হত্যা না করে মৃত্যুবরন করে সে জান্নাতের যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে প্রবেশ করতে পারবে।
حدثنا ابن المبارك عن ابن أبي خالد عن عبد الرحمن بن عائذ
عن
عقبة بن عامر رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله علسه وسلم يقول من مات ولم
يشرك بالله شيئا ولم يتند من الدماء الحرام بشيء دخل من أي أبواب الجنة شاء
পৃষ্ঠা - ৩৭২
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু মুসা আশ্আরী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঐ লোক থেকে মারাত্মক কোনো লোকের সাথে শত্রু হিসেবে আমার সাথে কিয়ামতের দিন স্বাক্ষাৎ হবে না যে লোক এমনভাবে আসবে, তার রগ থেকে রক্ত প্রবাহিত থাকবে এবং আমাকে ইনসাফের দাড়ি পাল্লার সামনে আটকে দিয়ে বলতে থাকবে, হে আল্লাহ! আপনার বান্দাকে জিজ্ঞাসা করেন, যে আমাকে কেন হত্যা করেছে, তার কথা শুনে আমি বলবো, হে আল্লাহ! এই লোক মিথ্যা বলছে, তবে আমি একথা বলার সাহস রাখবোনা যে ঐ লোক তখন কাফের ছিল। যেহেতু আমি এভাবে বললে হয়তো আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি কি আমার বান্দা সম্বন্ধে আমার চেয়ে বেশি জানো।
حدثنا ابن المبارك عن هشام عن الحسن قال
قال أبو موسى الأشعري رضى الله عنه
ما خصم أبغض إلى لقاء يوم القيامة من رجل يجيء تشخب أو داجه دما يحبسني عند ميزان
القسط فيقول يا رب سل عبدك بم قتلني فأقول كذب فلا أستطيع أن أقول كان كافرا فيقول
أنت أعلم بعبدي مني
পৃষ্ঠা - ৩৭৩
হযরত জুনদুব ইব্নে আব্দুল্লাহ রাযি-হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কিয়ামতের দিন তোমাদের থেকে একজন লোক আল্লাহ তা’আলার সাথে সাক্ষাৎ করবে, তার হাতে থাকবে আরেকজন লোকের রক্ত। যে লোক “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” বলবে। যেহেতু যে লোক ফজরের নামায আদায় করবে সে আল্লাহ্র জিম্মাদারীতে থাকবে। কাউকে আল্লাহ তা’আলা জাহান্নামে নিক্ষেপ করার ইচ্ছা করলে তাকে উপুড় করে নিক্ষেপ করেন। যখন সেখানে পূর্বের-পরের সবাইকে জমা করবেন।
حدثنا ابن المبارك عن سليمان بن المغيرة عن حميد بن
هلال
عن جندب بن عبد الله قال لا يلقين أحد منكم الله يوم القيامة بملء كف من
دم رجل يقول لا إله إلا الله فإنه من صلى الصبح فهو في ذمة الله فلا يخفرن الله أحد
منكم في حافره فيكبه الله تعالى إذا جمع الأولين والآخرين [ أي ] في جهنم
পৃষ্ঠা - ৩৭৪
হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আশতাব আলী রাযি. এর সাথে স্বাক্ষাৎ করতে চাইলে প্রথমে তাকে বাধা দেয়া হলেও পরে অনুমতি দেয়া হয়। যেখানে পৌঁছে তিনি তালহার এক ছেলেকে দেখতে পায়। তিনি বললেন, আমার মনে হয় আপনি এর কারণে প্রথমে আমাকে প্রবেশ করতে দেননি। জবাবে তিনি বললেন হ্যাঁ, আমি বললাম, যদি সেই ওসমানের ছেলে হয় তাহলেও কি বাঁধা দিবেন? জবাবে তিনি বললেন হ্যাঁ। তার কথা শুনে আমি বললাম, আমার একান্ত ইচ্ছা, আমি এবং ওসমান ঐসব ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত হবো; যাদের ব্যাপারে আল্লাহতাআলা এরশাদ করেছেন ঃ......... ।
حدثنا عبد الوهاب عن أيوب
عن محمد أن الأشتر [ أنه ] استأذن على
علي فحججبه ثم أذن له فإذا عنده ابن لطلحة قال أراك حجبتني من أجل هذا قال أجل قال
ولو كان ابن عثمان حجبتني له قال أجل قال إني لأرجو أن أكون أنا وعثمان ممن قال
الله تعالى ونزعنا ما في صدورهم من غل إخوانا على سرر متقابلين [ الحجر 47
]
পৃষ্ঠা - ৩৭৫
হযরত যুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ আল-বাজালী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের প্রত্যেকে আল্লাহকে ভয় করা উচিৎ এবং তার ও জান্নাতের মাঝে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে। বিশেষ করে জান্নাতের দরজা পর্যন্ত দেখার পর। কোনো মুসলমানকে হত্যা করার পর তার রক্ত হাতের মুষ্টিতে ধারন করে।
حدثنا ابن المبارك عن عوف عن أبي المنهال قال حدثني صفوان بن عمرو
عن
جندب بن عبد الله البجلي قال ليتقي الله أحدكم ولا يحولن بينه وبين الجنة بعدما
ينظر إلى أبوابها ملء كف من دم مسلم أهراقه
পৃষ্ঠা - ৩৭৬
বকর ইব্নে আব্দুল্লাহ আল-মুযনী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এর সাহাবাদের একজন আমাদেরকে বর্ণনা করেছেন, তাকে বলতে শুনেছি, জান্নাতের দরজার প্রতি দৃষ্টিপাত করার পর কোনো মুসলমানকে হত্যা করার মাধ্যমে তার মাঝে এবং জান্নাতের মাঝে যেন অন্তরায় সৃষ্টি না হয়ে যায়।
حدثنا ابن المبارك عن هشام بن
حسان قال
حدثني بكر بن عبد الله المزني قال شيعنا رجلا من أصحاب النبي صلى الله
عليه وسلم فسمعته يقول لا يحولن بين أحدكم وبين الجنة بعدما ينظر إلى أبوابها ملء
كف من دم مسلم أهراقه
পৃষ্ঠা - ৩৭৭
হযরত ইউনুস ইব্নে যুবায়ের রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জুনদুব ইব্নে আব্দুল্লাহ রাযি. কে বলতে শুনেছি, যখন বালা-মসিবত অবতীর্ন হতে থাকবে তখন তুমি তোমার সম্পদের দিকে এগিয়ে যাও, তোমার দ্বীনের দিকে নয়। কেননা, যে লোকের দ্বীন নষ্ট হয়ে যাবে তার সবকিছুই যেন ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। এবং যার ঈমান ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তাকেই যেন প্রকৃত পক্ষে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যেনে রাখো, জাহান্নামের পর কোনো ধনাঢ্যতা বাকি থাকবেনা এবং জান্নাতের পরবর্তী সময়ে আর গরীব বাকি থাকবেনা। নিঃসন্দেহে জাহান্নাম তার বন্দীকে মুক্তি দিতে পারবেনা এবং তার ফকীরকে অমুখাপেক্ষীও করতে পারবে না।
حدثنا ابن المبارك عن شعبة عن قتادة عن يونس بن
جبير قال
سمعت جندب بن عبد الله يقول إن نزل بلاء فقدم مالك دون دينك فإن
المخروب من خرب دينه وإن المسلوب من سلب دينه واعلم أنه لا غنى بعد النار ولا فقر
بعد الجنة إن النار لا يفك أسيرها ولا يستغنى فقيرها
পৃষ্ঠা - ৩৭৮
হযরত মুহাম্মদ ইব্নে আলী রহ. থেকে বর্ণিত তিনি হযরত আলী ইব্নে আবু তালেব রাযি. কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, হে আল্লাহ! ওসমান ইবনে আফফানের হত্যকারীদেরকে আপনি উপুড় করে আজকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করুন।
حدثنا ابن
المبارك عن عمر بن سعيد بن أبي حسين القرشي عن محمد بن عبد الله بن عياض عن يزيد بن
طلحة بن ركانة سمع محمد بن علي
سمع عليا رضى الله عنه يقول اللهم اكبب اليوم
قتلة عثمان لمناخرهم
পৃষ্ঠা - ৩৭৯
হযরত আবু বারযাহ আল-আসলামী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় বর্তমানে যিনি শাম দেশে রয়েছেন, অর্থাৎ মারওয়ান, আল্লাহর কসম! যে একমাত্র দুনিয়াতে যুদ্ধে করবে, তেমনিভাবে যিনি মক্কাতে রয়েছে অর্থাৎ, ইবনে যুবাইর রাযি. আল্লাহর কসম! তিনি যুদ্ধ করলে একমাত্র দুনিয়াতে যুদ্ধ করবেন। যাদেরকে তোমরা কারী বলে আহবান করবে তারা যুদ্ধ করলে দুনিয়াতেই যুদ্ধ করবে। এই হাদীস বর্ণনা করলে তার ছেলে তাকে বলেন, এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে আমাদের করনীয় কি হবে? জবাবে তিনি বলেন, তখন সর্বোত্তম লোক হবে ঐ দল। যারা অভাবী হবে এবং তাদের হাত হবে মানুষের সম্পদ থেকে মুক্ত এবং তাদের যাবতীয় সবকিছু খুবই হালকা প্রকৃতির হবে; তারা কাউকে হত্যাকারী হবে না।
حدثنا ابن المبارك عن عوف عن أبي المنهال
عن أبي
برزة الأسلمي قال إن ذاك الذي بالشام يعني مروان والله إن يقاتل إلا على الدنيا وإن
ذاك الذي بمكة يعني ابن الزبير والله إن يقاتل إلا على الدنيا وإن الذين تدعونهم
قراءكم والله إن يقاتلوا إلا على الدنيا فقال له ابن له فما تأمرنا إذا قال لا أرى
خير الناس إلا عصابة ملبدة وقال بيده خماص البطون من أموال الناس خفاف الظهور من
دمائهم
পৃষ্ঠা - ৩৮০
উম্মুল মুমিনীন হযরত উম্মে সালমা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছি, কিছুদিনের মধ্যে তোমাদের উপর এমন কতক ইমাম নিযুক্ত হবে যাদের কার্যক্রম তোমরা পছন্দ করলেও অনেক কিছু অপছন্দ করবে। যারা তাদের কার্যক্রমের বিরোধীতা করবে মুক্তি পাবে, যারা অপছন্দ করবে তারা নিরাপদে থাকবে। তবে যারা রাজী থাকবে এবং অনুসরণ করবে তাদের জন্য রয়েছে বিপরীত সিদ্ধান্ত। একথা শুনার পর তারা বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা কি তাদেরকে হত্যা করবোনা কিংবা তাদের সাথে মোকাবেলা করবো না? জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, না যতদিন পর্যন্ত তারা নামায আদায় করবেন ততদিন পর্যন্ত তাদের সাথে মোকাবেলা করা যাবে না।
حدثنا ابن المبارك عن هشام عن الحسن عن ضبة بن محصن
عن أم
سلمة رضى الله عنها قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يقوم عليكم أئمة تعرفون
عنهم وتنكرون فمن أنكر فقد نجا ومن كره فقد سلم ولكن من رضى وتابع
قيل يا
رسول
الله أفلا نقتلهم أو نقاتلهم
قال أما ما صلوا الصلاة فلا
পৃষ্ঠা - ৩৮১
হযরত হাসান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. কে বলা হলো, ইয়া রাসূলুল্লাহ তাদেরকে কি আমরা হত্যা করবোনা? জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, না, তারা যতদিন নামায আদায় করবে তাদের সাথে মোকাবেলা করা যাবেনা।
حدثنا معتمر
بن سليمان عن أبيه عن الحسن قال قيل يا رسول الله أفلا نقاتلهم
قال أما ما
أقاموا الصلاة فلا
পৃষ্ঠা - ৩৮২
হযরত আউফ ইবনে মালেকের চাচার ছেলে মুসলিম ইব্নে কুরযা রহ. থেকে বর্ণিত তিনি হযরত আউফ ইবনে মালেককে বলতে শুনেছেন, তিনি রাসূলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছেন, তোমাদের ইমামদের নিকৃষ্টতম ইমাম হচ্ছে, যাদেরকে তোমরা অপছন্দ করবে এবং তারাও তোমাদেরকে অপছন্দ করবে। আর তাদেরকে তোমরা লা’নত করবে এবং তারাও তোমাদেরকে লা’নত করবে। একথা শুনে আমরা বললাম ইয়া রাসূলুল্লাহ! এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে কি তাদের সাথে আমরা মোকাবেলা করবোনা, জবাবে রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা নামায কায়েম করবেন, ততদিন তাদের সাথে মোকাবেলা করা যাবেনা। খবরদার! কাউকে যদি কোনো যিম্মাদার নিযুক্ত করা হয় এবং তাকে, কোনো গুনাহের কাজ করতে দেখা যায় তাহলে তিনি যা যা গুনাহের কাজ করতে থাকবে সেগুলোর বিরোধীতা করবে। তবে তার উপর থেকে আনুগত্যের হাত গুটিয়ে নেয়া যাবেনা।
حدثنا ابن المبارك عن عبد الرحمن بن يزيد بن جابر
قال حدثني مولى لبني فزارة عن مسلم بن قرظة ابن عم عوف بن مالك
سمع عوف بن مالك
رضى الله عنه سمع رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول شر أيمتكم الذين تبغضونهم
ويبغضونكم وتلعنونهم ويلعنونكم قال قلنا يا رسول الله أفلا ننابذهم عند ذلك قال أما
ما أقاموا الصلاة فيكم فلا ألا من ولي عليه وال فرآه يأتي شيئا من معصية الله
فليكره ما يأتي من معصية الله ولا ينزع يدا من طاعة
পৃষ্ঠা - ৩৮৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন তোমাদের ওপর পূনরায় বালাÑমসিবত নাযিল হওয়ার পূর্বে তোমরা ধৈর্য্যধারন করবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ সা. এর সাথে আমরা যে ধরনের বালা-মসিবতের সম্মুখিন হয়েছিলাম তোমরা এর চেয়ে কঠিন মসিবতের সম্মুখিন হবে।
حدثنا هشيم عن مجالد
عن عامر عن صلة
عن حذيفة قال تعودوا الصبر قبل أن ينزل بكم البلاء فإنه لن
يصيبكم أشد مما أصابنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ৩৮৪
বিশিষ্ট সাহাবী আবু যরগিফারী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে বলেছেন, হে আবু যর! তোমার অবস্থা কেমন হবে, যখন মানুষ এত বেশি ক্ষুধার্ত হবে, যার কারণে তুমি তোমার বিছানা থেকে দাড়িয়ে তোমার মসজিদে যেতে পারবেনা এবং তোমার মসজিদ থেকে তোমার বিছানার দিকে যেতে পারবে না। জবাবে আমি বললাম, এসব ব্যাপারে আল্লাহ এবং তার রাসূলই ভালো বলতে পারবেন। আমার কথা শুনে তিনি বললেন, তুমি যেখানে এসেছ সেখানে চলে যাবে। আবুযর গিফারী বললেন, অতঃপর আমি বললাম, তারা যদি আমাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন, তাহলে কি করব, জবাবে তিনি বলেন, তখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, তারা আমাকে মেনে না নিলে কি করনীয়? জবাবে তিনি বলেন, যদি তাদের তলোয়ারের আঘাতে তোমাকে হত্যা করার আশঙ্কা বোধ করো তাহলে তোমার চাদরের একটি অংশ দ্বারা তোমার চেহারা ঢেকে রাখবে। আর তোমার হত্যাকারী তার এবং তোমার গুনাহ নিয়ে চলে যাবে। আল্লাহর রাসূল সা. এর কথা শুনে আমি বললাম, এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে কি আমি হাতিয়ার ধারন করবোনা? জবাবে তিনি বললেন, যদি এমন করো তাহলে তুমি তাদের শরীক হয়ে যাবে।
حدثنا ابن
المبارك عن حماد بن سلمة عن أبي عمران الجوني عن عبد الله بن الصامت
عن أبي ذر
رضى الله عنه قال قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم يا أبا ذر كيف تعمل إذا جاع
الناس حتى لا تسطتيع أن تقوم من فراشك إلى مسجدك ومن مسجدك إلى فراشك
قال قلت
الله ورسوله أعلم
قال تأتي من أنت منه قال قلت أرأيت إن أبى علي
قال
تدخل بيتك
قال قلت أرأيت إن أبى علي
قال إن خشيت أن يبهرك شعاع السيف فألق
طائفة ردائك على وجهك يبوء بإثمك وإثمه
قال قلت أفلا أحمل السلاح
قال إذا
تشركه
পৃষ্ঠা - ৩৮৫
হযরত আবু সালমা ইবনে আব্দুর রহমান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ওসমান ইবনে আফফান রাযি. এর অবরুদ্ধ হওয়ার দিন হযরত হোসাইন ইবনে আলী রাযি. তার কাছে গিয়ে বললেন, ইয়া আমীরুল মুমিনীন! আমি আপনার হাতের অনুগত ব্যক্তি। আপনার যা ইচ্ছা আমাকে নির্দেশ করুন। জবাবে তাকে ওসমান রাযি. বললেন, হে আমার ভাতিজা! আল্লাহ তাআলার সিদ্ধান্ত আসার পূর্ব পর্যন্ত তুমি তোমার ঘরেই অবস্থান করো। আমার জন্য অযথা রক্তপাত করার কোনো প্রয়োজন নেই।
حدثنا ابن المبارك عن يونس عن الزهري
عن أبي سلمة بن عبد
الرحمن أن حسين بن علي دخل على عثمان رضى الله عنه وهو محصور فقال يا أمير المؤمنين
أنا طوع يدك فمرني بما شئت فقال له عثمان يا ابن أخي فاجلس في بيتك حتى يأتي الله
بأمره فلا حاجة لي في هراقة الدماء
পৃষ্ঠা - ৩৮৬
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মাসউদ আল-আনসারী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার আমীরগণ আমাকে এখতিয়ার দিচ্ছিলেন, যেন আমি আমার চেহারা বিবর্ণ হওয়া, চোখ-মুখ ধুলায়িত হওয়া পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকবো, কিংবা তলোয়ার ধারন করতঃ যুদ্ধ করতে করতে মারা গিয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করব। তবে আমি আমার চেহারা বিবর্ণ হওয়া এবং নাক-মুখ ধূলায়িত হওয়া পর্যন্ত দাড়িয়ে থাকাকে গ্রহণ করলাম এবং তলোয়ার হস্তে ধারন করতঃ যুদ্ধে করতে করতে মারা গিয়ে জাহান্নামে যাওয়াকে বর্জন করলাম।
حدثنا ابن المبارك عن يزيد بن إبراهيم
عن ابن سيرين قال
قال أبو مسعود الأنصاري رضى الله عنه أصبح أمرائي يخيروني أن
أقيم على ما أرغم أنفي وقبح وجهي أو آخذ سيفي قأقتل فأقتل فأدخل النار فاخترت أن
أقيم على ما أرغم أنفي وقبح وجهي ولا آخذ سيفي فأقاتل فأقتل فأدخل النار
পৃষ্ঠা - ৩৮৭
হযরত আমের ইবনে মুতারিফ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে হোজাইফা বললেন, হে আমের! লোকজনকে ব্যাপকভাবে মসজিদে যাওয়া দেখে তুমি ধোকায় পড়োনা। কেননা সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন নারীগণ বাচ্চা প্রসবের ন্যায় তারাও দ্বীন থেকে বের হয়ে যাবে। যখন এমন অবস্থা দেখবে তখন তোমরা বর্তমানে যেমন অবস্থায় রয়েছ তখনও সে অবস্থায় ফিরে যাওয়া জরুরী।
حدثنا ابن أبي غنية عن أبيه عن جبلة بن سحيم
عن عامر بن مطر قال قال لي حذيفة
يا عامر لا يغرنك ما ترى والناس يثوبون إلى المسجد فإن هؤلاء يوشكون أن ينفرجوا عن
دينهم كما تنفرج المرأة عن قبلها فإذا فعلوا ذلك فعليك بما أنت عليه اليوم
পৃষ্ঠা - ৩৮৮
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খবরদার! নিঃসন্দেহে আমর বিলমারূফ এবং নাহী আনিল মুনকার খুবই উত্তম একটি কাজ। এটা কোনো সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত নয় যে, তোমার ইমামের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করবে।
حدثنا ابن المبارك عن سفيان عن حبيب بن أبي ثابت عن أبي البختري
عن حذيفة قال [ ألا ] إن الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر حسن وليس من السنة أن
ترفع السلاح على إمامك
পৃষ্ঠা - ৩৮৯
হযরত সুআইদ ইবনে গফলা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে হযরত ওমর রাযি. বলেছেন, হয়তো তুমি যাবতীয় ফেৎনার সম্মুখিন হবে, তখন আমীরের কথা শুনবে এবং আনুগত্য করবে। যদিও তোমাদের উপর কোনো নিগ্রোÑগোলামকে আমীর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। সে যদি তোমাকে প্রহার করে তাহলে ধৈর্য্য ধারন করো, কিংবা যদি তোমাকে বঞ্চিত করে অথবা তোমার উপর জুলুম করে তাহলেও সবুর করো। যদি সে দ্বীনি কোনো বিষয়ে তোমার কাছ থেকে কেসাস নিতে চায় তাহলে বলো, আমি সর্বাগ্রে তোমার অনুকরন করবো। প্রয়োজনে আমার রক্ত প্রবাহিত করবো, তবে দ্বীনের উপর যেন কোনো আঘাত না আসে।
حدثنا ابن المبارك عن محمد بن طلحة اليامي عن
إبراهيم ابن عبد الأعلى عن سويد بن غفلة قال
قال لي عمر رضى الله عنه لعلك تبقى
حتى تدرك الفتنة فاسمع وأطع وإن كان عليك عبد حبشي إن ضربك فاصبر أو حرمك أو ظلمك
فاصبر وإن أراداك على أمر ينقصك في دينك فقل سمعا وطاعة دمي دون ديني
পৃষ্ঠা - ৩৯০
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে সালাম রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি ওসমান ইব্নে আফফানের ব্যাপারে লোকজনের মাঝে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে বলেন, হে লোক সকল! তোমরা ওসমান ইবনে আফফানকে হত্যা করোনা। কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! কোনো উম্মত তাদের নবীকে হত্যা করলে আল্লাহ তাআলা তাদের সত্ত্বর হাজার লোককে হত্যা করার ব্যবস্থা করেন। আর যদি কোনো উম্মত তাদের খলীফাকে হত্যা করে তাহলে আল্লাহ তাআলা তার বিপরীতে চল্লিশ হাজার লোককে হত্যার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করেন।
حدثنا ابن المبارك عن سليمان بن المغيرة عن عبد الله بن مغفل
عن عبد الله بن
سلام أنه قال حين هاج الناس بعثمان يا أيها الناس لا تقتلوا عثمان فوالذي نفسي بيده
ما قتلت أمة قط نبيها فيصلح الله أمرهم حتى يهريقوا دم سبعين ألفا منهم وما قتلت
أمة قط خليفتها فيصلح الله أمرهم حتى يهريقوا دم أربعين ألفا منهم
পৃষ্ঠা - ৩৯১
প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হোরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ওসমান ইবনে আফফানের সাথে তার অবরুদ্ধ ঘরে অবস্থান করছিলাম। একপর্যায়ে আমাদের এক লোককে হত্যা করা হলে আমি বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! হত্যাকারীরা খুবই ভালো, তারা কেবল আমাদের এক লোককে হত্যা করেছে। আমার কথা শুনে তিনি বলেন, আমি তোমার কাছ থেকে আশা করছি, যখন তুমি তোমার তলোয়ারকে নিক্ষেপ করবে তখন সেটা যেন আমার উদ্দেশ্যে হয়ে থাকে। যেহেতু আজকে মুসলমানরা আমাকে হত্যা করার মাধ্যমে তৃষ্ণা নিবারণ করবে। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, একথা শুনার সাথে সাথে আমি আমার তলোয়ারকে এমনভাবে নিক্ষেপ করে দিয়েছি, সেটা কোথায় গিয়ে পড়েছে আমিও জানিনা।
حدثنا ابن المبارك عن أبي معشر عن سعيد المقبري
عن أبي هريرة رضى الله عنه قال
كنت مع عثمان رضى الله عنه في الدار فقتل منا رجل فقلت يا أمير المؤمنين طاب الضراب
قتلوا منا إنسانا قال عزمت عليك لما طرحت سيفك فإنما تراد نفسي فسأقي المؤمنين
اليوم بنفسي قال فطرحت سيفي فما أدري أين وقع
পৃষ্ঠা - ৩৯২
হযরত হোসাইন আল-হারেছী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, একদিন বিশিষ্ট সাহাবী হযরত যায়েদ ইব্নে আরকাম রাযি. হযরত আলী রাযি. কে জিজ্ঞাসা করেন, হে আলী! আমি তোমাকে আল্লাহর নামে কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, ওসমান ইবনে আফফানকে কি তুমিই হত্যা করেছ? বর্ণনাকারী বলেন, একথা শুনে আলী রাযি. কিছুক্ষণ মাথা নিচের দিকে করে রাখে, অতঃপর বলে উঠে, কসম সে সত্ত্বার যিনি দানা থেকে গাছ উৎপাদন করেন এবং দেহে প্রাণের সঞ্চার করেন, আমি ওসমানকে হত্যা করিনি এবং তাকে হত্যার নির্দেশও দিইনি।
حدثنا ابن أبي غنية عن ابن
أبي خالد عن حصين الحارثي قال
قال زيد بن أرقم لعلي رضى الله عنه نشدتك بالله
أنت قتلت عثمان قال فأطرق ساعة ثم قال والذي فلق الحبة وبرأ النسمة ما قتلت [ عثمان
]
ولا أمرت بقتله
পৃষ্ঠা - ৩৯৩
হযরত মুহাম্মদ ইব্নে সীরিন রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত কা’ব রহ আমীরুল মুমিনীন হযরত ওসমান ইবনে আফফান রাযি এর অবরুদ্ধ অবস্থায় তাকে বলে পাঠালেন যে, নিঃসন্দেহে আজকে সকল মুসলমানের উপর আপনার হক্ব, সন্তানের উপর পিতার হক্বের ন্যায়। নিঃসন্দেহে আপনাকে হত্যা করা হবে, সুতরাং আপনার হাতকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কেননা, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার নিকট আপনার জন্য শক্তিশালী দলীল হবে। উক্ত সংবাদ হযরত ওসমান ইব্নে আফফান রাযি. এর কাছে পৌঁছার পর তিনি তার সাথীদেরকে বললেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যাদের উপর আমার একান্ত হক্ব রয়েছে তারা যেন আমার পক্ষে যুদ্ধে বের না হয়। হযরত ওসমান রাযি. এর বক্তব্য শুনার পর মারওয়ান ইব্নে হাকাম, খুবই রাগান্বিত হয়ে তার হাতে থাকা তলোয়ারটি এতো জোরে নিক্ষেপ করেন যার আঘাতে পার্শ্বে থাকা দেয়াল কেটে যায়। মুগীরা ইবনুল আখনাছ বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি শত্রুর সাথে মোকাবেলা করব, ফলে সে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এবং মৃত্যুবরণ করে।
حدثنا ابن المبارك عن جرير بن حازم قال حدثني أيوب وابن
عون وهشام
عن محمد بن سيرين أن كعبا بعث إلى عثمان رضى الله عنه وهو محصور أن
حقك اليوم على كل مسلم كحق الوالد على ولده وأنك مقتول لا محالة فاكفف يدك فإنه
أعظم لحجتك عند الله يوم القيامة فلما بلغه ذلك قال لأصحابه أعزم على كل من كان يرى
لي عليه حقا لما خرج عني فغضب مروان فرمى بالسيف من يده حتى أثر في الجدار وقال
المغيرة بن الأخنس وأنا لأعزم على نفسي لأقتلن فقاتل حتى قتل
পৃষ্ঠা - ৩৯৪
হযরত জারীর ইবনে হাযেয রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হুমাইদ ইব্নে হেলাল আদাবী রহ. কে বলতে শুনেছি, আমাদের একজন স্বপ্নে হযরত ওসমান রাযি. কে দেখতে পেলেন, তার চেহারা-সুরত পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। তার পরনে সাদা কাপড় ছিল। তাঁকে আমি বললাম হে আমীরুল মুমিনীন! কোন বিষয়কে আপনি অধিক শক্তিশালী বস্তু হিসেবে পেয়েছেন? জবাবে তিনি বললেন, এমন এক দ্বীন যার মধ্যে কোনো ধরনের মারামরিÑহানাহানি নেই। কথাটি তিনবার বললেন। কিছুদিন পর যখন উষ্ট্রি যুদ্ধ সংঘটিত হয় তখন আমি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তীর-তুনীর, বর্শা ইত্যাদি নিয়ে আমার ঘোড়ায় আরোহন করি। অবশ্যই আমি ছিলাম ক্ষুদ্র একটি দলের অন্তর্ভুক্ত। এ অবস্থা চলতে থাকলে হঠাৎ আমার সেই স্বপ্ন মনে পড়ে যায়। তখন আমি ভাবলাম, হে! তোমাকে কি ওসমান ইব্নে আফফান এ কথা বলেনি! সাথে সাথে আমি আমার ঘোড়ার মুখ বাড়ির দিকে ফিরিয়ে নিলাম, অস্ত্রসস্ত্র খুলে ফেললাম এবং ঘরেই বসে থাকলাম। একপর্যায়ে যুদ্ধকালীন অবস্থা শেষ হয়ে যায়। এই সময় আমি আমার ঘর থেকেও বের হয়নি।
وحدثنا
ابن المبارك عن جرير بن حازم قال
سمعت حميد بن هلال العدوي يقول قال رجل منا
رأيت عثمان رضى الله عنه بعدما قتل أحسن ما كنت أراه عليه ثياب بياض فقلت يا أمير
المؤمنين أي الأمور وجدت أوثق قال الدين القيم ليس فيه سفك دم ثلاث مرات فلما كان
يوم الجمل لبست سلاحي وركبت فرسي وأخذت رمحي وكنت في الرعلة الأولى فبينا أنا كذلك
إذ عرضت لي رؤياي فقلت ألم يقل لك عثمان في المنام كيت وكيت فصرفت فرسي إلى المنزل
فألقيت سلاحي وجلست في بيتي حتى انقضى ذلك الأمر لم أخرج منه في شيء
পৃষ্ঠা - ৩৯৫
হযরত জাবের ইব্নে যায়েদ আল-আয্দী রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাযি. কে বলতে শুনেছি, আমি ওসমান ইব্নে আফফানকে হত্যার নির্দেশ দিইনি এবং সেটাকে পছন্দও করিনা। অথচ আমার চাচাতো ভাইগণ আমার প্রতি অপবাদ দিচ্ছেন। এব্যাপারে আমি বারবার ক্ষমা চাইলেও তারা ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি জানায়! তারা ক্ষমা করতে অস্বীকৃতি জানায়!! যার কারণে আমি চুপ হয়ে যাই।
حدثنا ابن المبارك عن عمر بن سعيد عن عبد الكريم أبي أمية سمع جابر بن زيد الأزدي
سمع عليا رضى الله عنه يقول ما أمرت بقتل عثمان ولا أحببته ولكن بنوا عمي
اتهموني فأرسلت اعتذرت فأبوا أن يقبلوا فأبوا أن يقبلوا فعبدت فصمت
পৃষ্ঠা - ৩৯৬
হযরত আলী রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, হে আল্লাহ! আজকে ওসমান ইব্নে আফফানের হত্যা আমাকে বড় লজ্জায় ফেলে দিল।
حدثنا
ابن عيينة عن جعفر عن أبيه
عن علي رضى الله عنه قال اللهم جلل قتله عثمان اليوم
خزية
পৃষ্ঠা - ৩৯৭
হযরত হাসান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুহাম্মদ ইব্নে মাসলামা এরশাদ করেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সা. একটি তলোয়ার দিয়ে বললেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মুশরিকরা তোমার সাথে মোকাবেলা করে তুমিও তাদের সাথে মোকাবেলা করতে থাকবে। আর যখন আমার উম্মতের একদলকে অন্য দলের সাথে মোকাবিলা করতে দেখবে তখন তোমার তলোয়ারকে কোথাও এমনভাবে আঘাত করবে যেন সেটা ভেঙ্গে যায়। অতঃপর তুমি তোমার ঘরে এসে অবস্থান গ্রহণ করবে। তোমার উপর ভুলক্রমে কারো আক্রমণ এসে পড়া কিংবা অকাট্য মৃত্যুর মুখে পতিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত। তিনি সেভাবে করলেন।
حدثنا ابن المبارك عن هشام
عن الحسن قال قال محمد بن مسلمة
أعطاني رسول الله صلى الله عليه وسلم سيفا فقال قاتل به المشركين ما قوتلوا فإذا
رأيت أمتي تضرب بعضها في بعض فأت به أحدا فاضرب به حتى ينكسر ثم اجلس في بيتك حتى
تأتيك يد خاطئة أو منية قاضية قال ففعل
পৃষ্ঠা - ৩৯৮
হযরত আবু বুরদাহ ইব্নে আবু মুসা রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাবাযা নামক স্থানে মুহাম্মদ ইব্নে মাসলামার কাছে গিয়ে বললাম, আপনি লোকজনের নিকট উপস্থিত হয়ে এ বিষয়ে কিছু উপদেশ দিবেননা, যেহেতু লোকজন এ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চাচ্ছে। জবাবে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে কিছু ফেৎনা এবং দলের আত্মপ্রকাশ হবে। তখন তুমি তোমার তলোয়ারের ধারকে নষ্ট করে ফেলবে, তোমার কামানকে ভেঙ্গেঁ চুরমার করবে, এবং সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তোমার ঘরের ভিতর অবস্থানগ্রহণ করবে। বর্তমানে আমি যে কাজই করছি সে কাজের ব্যাপারে আমি নির্দেশ প্রাপ্ত হয়েছি। আমরা তাবুর খুটির সাথে লটকানো একটি তলোয়ার দেখতে পেলাম, যখন তলোয়ারটি নামিয়ে খাঁপযুক্ত করা হলো, দেখলাম সেটা লোহার তলোয়ার নয় বাঁশের তৈরি তলোয়ার। তিনি আমাদেরকে উক্ত তলোয়ার দেখিয়ে বললেন, তলোয়ারটির সাথে আমি যেই আচরণই করেছি সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সা. আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। এটাকে এভাবে রেখে দেয়ার কারণ হচ্ছে, লোকজনকে সাময়িকভাবে ভয় দেখানো।
حدثنا ابن المبارك عن حماد بن
سلمة عن علي بن زيد
عن أبي بردة بن أبي موسي قال دخلنا على محمد بن مسلمة
بالربذة فقلت له ألا تخرج إلى الناس فإنك في هذا الأمر بمكان يسمع منك فقال إن رسول
الله صلى الله عليه وسلم قال إنه ستكون فتنة وفرقة فاضرب بسيفك عرض أحد وكسر نبلك
وقطع وترك واقعد في بيتك فقد فعلت ما أمرني به وإذا سيف معلق بعمود الفسطاط فأنزله
فسله فإذا سيف من خشب ثم قال قد فعلت بسيفي ما أمرني رسول الله صلى الله عليه وسلم
وهذا أعده أهيب به الناس
পৃষ্ঠা - ৩৯৯
হযরত আবু ওসমান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, হে খালেদ ইব্্নে আরফাজাহ“! অতিসত্ত্বর মানুষের মাঝে বিভিন্ন ধরনের ফেৎনা, এখতেলাফ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এহেন পরিস্থিতিতে যদি হত্যাকারী না হয়ে মাকতূল হওয়া সম্ভব হয় তাহলে তুমি তাই হও। হত্যাকারী হয়োনা।
حدثنا ابن المبارك عن حماد بن سلمة عن علي بن
زيد
عن أبي عثمان أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يا خالد بن عرفطة إنه
سيكون أحداث وفتن واختلاف فإن استطعت أن تكون المقتول ولا تكن القاتل فافعل
পৃষ্ঠা - ৪০০
হযরত ঈসা ইবনে ওমর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, জনৈক শেখ আমর ইব্নে মুররাকে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইব্নে আমর ইব্নুল আ’স রাযি. বলেন, তাকে আমি তখন দেখিনি, মাঝখানে কেউ হয়তো অন্তরায় ছিলেন, আমি নিচের আয়াতটি তিলাওয়াত করেছি . (আরবী) ......।
আমি মনে করেছিলাম তিনি তাহলে কিতাবের অন্তর্ভুক্ত। একপর্যায়ে আমাদের কেউ কেউ অপর জনকে তলোয়ার দ্বারা আঘাত করে। পরবর্তীতে জানা যায় তারা আমাদেরই লোকজন ছিল।
حدثنا ابن المبارك عن عيسى بن عمر قال سمعت شيخا يحدث عمرو بن مرة قال
قال
عبد الله بن عمرو رضى الله عنهما لم أره أحال على أحد دونه كنت أقرأ هذه الآية ثم
إنكم يوم القيامة عند ربكم تختصمون [ الزمر31 ] فكنت أرى أنها في أهل الكتاب حتى
كبح بعضنا وجوه بعض بالسيوف فعرفنا أنها فينا
পৃষ্ঠা - ৪০১
হযরত আবু জাফর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে ওসামা ইব্নে যায়েদের গোলাম হারমালা বর্ণনা করেন,তিনি বলেন, আমাকে ওসামা ইব্নে যায়েদ একদিন হযরত আলী রাযি. নিকট প্রেরণ করে বললেন, আমি যেন তার কাছে গিয়ে বলি, আপনার সাথীকে কি কারণে পিছনে ফেলে রাখা হয়েছে? যেন তাকে আরো বলি, তিনি আপনাকে বলেছেন, আল্লাহ্র কসম! যদি আমি সিংহের চওড়া চোয়ালের মাঝখানে অবস্থান করি তাহলেও আমি আপনার সাথে থাকা পছন্দ করব। তবে আমি এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত নই। হারমালাহ বলেন, আমি উক্ত বার্তা নিয়ে হযরত আলী রাযি. এর কাছে আসলে তিনি এসব কথা শুনে কিছুই প্রদান করেননি। হারমালা বলেন, অতঃপর আমি হাসান, হোসাইন এবং ইবনে জাফর রাযি. এর কাছে
আসলে তারা আমার জন্য বাহনের ব্যবস্থা করেন। বর্ণনাকারী আমর ইব্নে দিয়ার রহ. বলেন, আমি হারমালা কে দেখলেও তার মুখ থেকে এই হাদীস শুনিনি।
حدثنا ابن عيينة عم
عمرو بن ديار عن أبي جعفر قال
حدثني حرملة مولى أسامة بن زيد قال بعثني أسامة
إلى علي فقال [ لي ] إنه سيسألك ما خلف صاحبك فقل [ له ] إنه يقول لك والله لو كنت
في شدق أسد لأحببت أن أكون معك فيه ولكن هذا أمر لم أره قال فجئت عليا رضى الله عنه
فقلت له هذه المقالة قال فلم يعطني شيئا قال وأتيت حسنا وحسينا وابن جعفر فأوقروا
لي راحلتي قال عمرو رأيت حرملة ولم أسمع منه هذا الحديث
পৃষ্ঠা - ৪০২
হযরত ওমর ইবনে সাদ রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি তার পিতা সা’দের কাছে উপস্থিত হন, যিনি তখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে আকীক নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। তার কাছে গিয়ে বললেন, হে আমার পিতা! আপনি ছাড়া আহলে শুরা ও বদরী সাহাবাদের কেউ এখন আর জীবিত নেই। বর্তমানে যদি আপনি নিজেকে আত্মপ্রকাশ করে লোকজনের জন্য কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তাহলে আপনার এ সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কেউ দ্বিমত পোষণ করবেনা। জবাবে তিনি বলেন হে আমার আদরের সন্তান! তুমি কি এজন্য আমার কাছে এসেছো! আমি বসে থাকবো, যতক্ষণ না নগন্য লোকজন বাকি থাকবে। অতঃপর আমি বের হয়ে কি উম্মতে মুহাম্মদীয়ার উপর তলোয়ার দ্বারা আক্রমণ করবো। মনে রেখো, আমি রাসূলুল্লাহ সা. কে বলতে শুনেছি, উত্তম রিযিক হচ্ছে, যা প্রয়োজন মত হবে এবং উত্তম যিকির হচ্ছে, নি¤œস্বরে।
حدثنا ابن
المبارك عن أسامة بن زيد رضى الله عنه قال أخبرني محمد بن عبد الله بن بن عمرو بن
عثمان بن محمد بن عبد الرحمن ابن لبيبة أخبره
أن عمر بن سعد ذهب إلى أبيه سعد
وهو بالعقيق معتزل في أرض له فقال يا أبتاه لم يبق من أصحاب بدر غيرك ولا من أهل
الشورى فلو إنك انبعثت بنفسك ونصبتها للناس ما اختلف عليك اثنان فقال ألهذا جئت أي
بني أقعدت حتى لم يبق من أجلي إلا مثل ظمأ الدابة ثم أخرج فاضرب أمة محمد صلى الله
عليه وسلم بعضها ببعض إني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم
يقول خير الرزق ما
يكفي وخير الذكر الخفي
পৃষ্ঠা - ৪০৩
হযরত সুলায়মান ইব্নে আব্দুল মালিক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে জনৈক ইয়ামানী বলেছেন, তিনি এরশাদ করেন, আমি হযরত সা’দ ইব্নে মালেক রাযি. কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি একজন মক্কাবাসি ছিলাম, সেখানেই আমার জন্মস্থান, বাড়ি এব্ং সম্পদ রয়েছে। আমি মক্কাতেই অবস্থান অবস্থান করেছিলাম, এক পর্যায়ে আল্লাহ তাআলা রাসূলুল্লাহ সা. কে প্রেরন করেন আমি তার উপর ঈমান গ্রহন করে তার অনুগত হয়ে গেলাম। দীর্ঘদিন আমি সেখানেই অবস্থান করলেও কিছুদিন পর দ্বীন বাঁচাতে গিয়ে সেখান থেকে পলায়ন করে মদীনায় চলে আসি। মদীনা থাকাকালীন আমি অনেক সম্পদের মালিক হই এবং আমার পরিবারও হয়ে যায়। তবে আজকে আমি আমার দ্বীন রক্ষা করতে গিয়ে মদিনা থেকে পলায়ন করে মক্কায় চলে যেতে হচ্ছে, যেমন আমি আমার দ্বীন বাঁচাতে গিয়ে মক্কা থেকে মদিনার দিকে পালিয়ে গিয়েছিলাম।
حدثنا ابن المبارك عن المفضل بن لاحق عن أبي بكر بن حفص عن سليمان بن
عبد الملك قال حدثني رجل من أهل اليمن قال
سمعت سعد بن مالك رضى الله عنه يقول
كنت رجلا من أهل مكة بها مولدي وداري ومالي فلم أزل بها حتى بعث الله تعالى نبيه
صلى الله عليه وسلم فآمنت به واتبعته فمكثت بها ما شاء الله إن أمكث ثم خرجت منها
فارا بديني إلى المدينة فلم أزل بها حتى جمع الله لي بها مالي وأهلي وأنا اليوم فار
بديني من المدينة إلى مكة كما فررت بديني من مكة إلى المدينة
পৃষ্ঠা - ৪০৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, আমীরুল মুমিনীন হযরত ওসমানকে হত্যা করা হলে প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আলী আমার সাথে স্বাক্ষাৎ করে বলেন, হে আবু আব্দুর রহমান! তুমি শামবাসীদের কাছে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। বর্তমানে আমি সেখানে এমন ফেৎনা দেখতে পাচ্ছি যার উত্তপ্ত ডেকছি জোশ মারছে এবং টগবগ করছে। আমি তোমাকে তাদের আমীর নিযুক্ত করলাম। আলী রাযি. তাকে আরো বলেন, আমি তোমাকে আল্লাহ এবং রাসূলুল্লাহ সা. এর সাথে তোমাদের আত্মীয়তার পাশাপাশি আল্লাহর রাসূলের সাথে আমার সাহচর্যের কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যেন তুমি আমাকে নিরাশ না করো। তবে তিনি হযরত আলী রাযি. এর প্রস্তাবকে সরাসরি নাকচ করে দেন। এরপর উম্মুল মুমিনী হাফ্সা রাযি. এর মাধ্যমে সুপারিশ করানো হলেও তিনি রাজি হওয়া থেকে বিরত থাকে। কিছুদিন পর তিনি মক্কার পথে রওয়ানা হলে তার খোঁজে লোক পাঠানোর মনস্থ করেন। তারা তাদের উটের কাছে এসে দ্রুতগতিতে উটকে লাগাম ইত্যাদি পরিধান করাতে থাকলে। তারা ধারনা করেছিল,তিনি শাম দেশের দিকে গিয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ পর জানতে পারে তিনি মক্কায় অবস্থান করছেন।
حدثنا ابن
المبارك عن عبد الله بن نافع عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما قال لما قتل
عثمان لقيه علي رضى الله عنهما فقال يا أبا عبد الرحمن إنك رجل مطاع في أهل الشام
وإني أرى فتنة تغلي مراجلها فاذهب فقد أمرتك عليهم فقال اذكرك الله وقرابتك من رسول
الله صلى الله عليه وسلم وصحبتي إياه لما أعفيتني فأبى فاستشفع عليه بحفصة رضى الله
عنها فأبى فخرج إلى مكة فبعث في طلبه حتى أنهم ليأتون البعير فيعجلون أن يخطموه وظن
أنه يريد الشام فأخبر أنه خرج إلى مكة فسكن
পৃষ্ঠা - ৪০৫
হযরত খালেদ ইবনে সুমাইর রহ. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কুফার কতক গণ্যমান্য লোকজন সহকারে মুখতার থেকে আত্মরক্ষা করে মুসা ইব্নে তালহা ইব্নে ওবাইদুল্লাহ বসরা নগরীতে চলে আসে। সে সময় লোকজন তাকে মাহ্দী মনে করতো । তাকে একদিন যাবতীয় ফেৎনা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে শুনি যে, তিনি বলছেন, আল্লাহ তাআলা আবু আব্দুর রহমান আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের উপর যেন রহম করেন। আল্লাহর কসম! আমি তো রাসূলুল্লাহ সা. এর যুগে ধারনা করতাম, তার কাছ থেকে যেভাবে ওয়াদা নেয়া হয়েছে, সে হিসেবে তারপর আর কোনো ধরনের ফেৎনা ও বিশৃঙ্খলা হবেনা। আল্লাহ্র কসম! প্রথম ফেৎনার অস্থিরতা থেকে কুরাইশগন এখনো মুক্ত হতে পারেনি। একথা শুনে আমি অন্তরে অন্তরে বললাম, তার পিতাকে হত্যা করার তুলনায় এ ঘটনাটি খুবই তুচ্ছ।
حدثنا ابن المبارك عن الأسود
بن شيبان السدوسي
عن خالد بن سمير قال هرب موسى بن طلحة بن عبيد الله من
المختار إلى البصرة مع وجوه أهل الكوفة وكان الناس يرون في زمانه انه المهدي فسمعته
يوما وذكر الفتنة فقال رحم الله عبد الله بن عمر أو أبا عبد الرحمن والله إني
لأحسبه على عهد النبي صلى الله عليه وسلم الذي عهد إليه لم يفتن بعده ولم يتغير
والله ما استفزته قريش في فتنتها الأولى فقلت في نفسي إن هذا لزري على أبيه في
مقتله
পৃষ্ঠা - ৪০৬
হযরত খালেদ ইব্নে সুমাইর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রাযি. বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযি. এর কাছে এসে বললেন, এই হলো আমাদের পায়গাম, যেটা লেখা থেকে আমরা ইতোমধ্যে ফারেগ হয়েছি। আশাকরি উক্ত পায়গাম নিয়ে তুমি শামবাসিদের নিকট যাবে, তোমাকে আল্লাহ তাআলা এবং ইসলামের কসম দিয়ে বলছি, নিঃসন্দেহে তুমি দ্রুত সওয়ারীর উপর আরোহন করবে। জবাবে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযি. বললেন, আপনাকে আমি আল্লাহ তাআলা এবং পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, এটা এমন এক দায়িত্ব যার সূচনা এবং শেষ পর্যায়ে কিছুই নেই। আল্লাহর কসম! শামবাসীদের পক্ষ থেকে আসা কোনো কিছুই আমি প্রতিরোধ করতে পারবোনা। আল্লাহর কসম! যদি শামবাসীরা আপনার অনুগত হতো তাহলে তারা আপনার অধীনস্থতা স্বীকার করতঃ এসে যেত। আর যদি তারা আপনাকে না চায় তাহলে আমি তাদের কাউকে ফিরিয়ে আনতে পারবোনা। একথা শুনে আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রাযি. বললেন, আল্লাহর কসম! অবশ্যই ইচ্ছায় হোক বা বাধ্য হয়ে হোক তোমাকে শাম দেশের উদ্দেশ্যে সফর করতেই হবে। এরপর হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযি. নিজের ঘরে চলে গেলে আমীরুল মুমিনীন হযরত আলীও ফিরে আসতে থাকে, এক পর্যায়ে রাত্রের অন্ধকারে তাকে বর্শাঘাত করা হয়। এদিকে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর তার বংশের লোকজনকে ডেকে পাঠালে, তারা তাকে বাহনের ওপর উঠিয়ে দেয় এবং তিনি মক্কায় চলে যান।
حدثنا ابن المبارك عن الأسود بن شيبان
عن خالد بن سمير قال
غدا علي على ابن عمر رضى الله عنهم فقال هذه كتبنا قد فرغنا منها اركب بها إلى أهل
الشام فقال أنشدك بالله وأنشدك الإسلام قال إنك والله لتركبنه قال أذكرك الله
واليوم الآخر فإن هذا أمر لم أكن من أوله في شيء ولست كائنا من آخره في شيء وإني
والله ما أرد عليك من أهل الشام شيئا والله لئن كان أهل الشام يريدونك لتأتينك
طاعتهم وإن كانوا لا يريدونك ما أنا براد عليك منهم شيئا قال إنك والله لتركبنه
طائعا أو كارها فدخل ابن عمر داره وانصرف عنه علي حتى أندس في سواد الليل فدعى
بنجائبه فقعد عليها فرمى بها إلى مكة
পৃষ্ঠা - ৪০৭
হযরত মুতাররিফ ইব্নে শিখ্খীর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আবু দারদা রাযি. কে বলতে শুনেছি, তিনি এরশাদ করেন, ফেৎনার সম্মুখিন হওয়ার পূর্বে ইসলামের উপর মৃত্যুবরণ করতে পারা অনেক সৌভাগ্যজনক।
حدثنا ابن المبارك عن ابن شوذب قال
حدثني يزيد البصري وكان في بني ضبيعة سمع مطرف بن الشخير
قال سمعت أبا الدرداء
رضى الله عنه يقول حبذا موتا على الإسلام قبل الفتن
পৃষ্ঠা - ৪০৮
হযরত সা’দ ইব্নে ইবরাহীম স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী রাযি. যখন শুনতে পেলেন যে, হযরত তালহা ঘোষণা দিয়েছেন, আমি বায়আত করাচ্ছি এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা আমার হাতে। তখন ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাছ রাযি.কে মদীনবাসীদের কাছে পাঠানো হয়, যেন তাদেরকে তালহার বক্তব্য সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হয়। তালহার কথার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হযরত ওসামা ইব্নে যায়েদ রাযি. বলেন, ‘তার হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা’ এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। তবে একথা সত্য যে, তার অনিচ্ছায় তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করতে গেলে লোকজন তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ে এবং তাকে হত্যা করতে চেষ্টা করে।
حدثنا ابن المبارك عن
شعبة عن سعد بن إبراهيم عن أبيه قال لما بلغ عليا رضى الله عنه أن طلحة يقول إنما
بايعت واللج على قفاي أرسل ابن عباس إلى أهل المدينة فسألهم عما قال فقال أسامة بن
زيد أما اللج على قفاه فلا ولكن بايع وهو كاره فوثب الناس عليه حتى كادوا يقتلونه
পৃষ্ঠা - ৪০৯
ওয়াহাব ইব্নে মুগীছ রহ. বলেন, আমি একদিন মুনযির ইব্নে যুবাইরের সাথে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমরের ঘরে প্রবেশ করি। আমর ইব্নে সাঈদ তখন কতিপয় বিষয় নিয়ে খুবই বাড়াবাড়ি করে। আমরা ইব্নে ওমরকে বললাম, আপনি কি অসৎকাজ থেকে বাধা দিবেন না? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ, যদি তোমরা ইচ্ছা করো, তাহলে আমাদের সাথে চলতে পারো। জবাবে তারা বলে উঠলো, যদি আপনারা আমাদের সাথে চলেন তাহলে আমরা আপনার ব্যাপারে আশঙ্কা করছি, আমাদের কথা শুনে তিনি বললেন, আমি তো তোমাদের ইচ্ছামত চলতে পারিনা।
حدثنا ابن المبارك عن ابن لهيعة قال حدثني محمد بن عبد الرحمن بن
نوفل
أن واهب بن ابي مغيث أخبره قال دخلت مع المنذر بن الزبير على ابن عمر وقد
أكثر عمرو بن سعيد في أشياء يفرط فيها فقلنا له ألا تقوم فتنهى عن المنكر قال بلى
إن شئتم فاذهبوا بنا قالوا لو انطلقنا معنا بناس فإنا نخاف أن يفرط منه إليك فقال
ما أنا بصاحب ما تريدون
পৃষ্ঠা - ৪১০
উম্মে সালমার গোলাম নাঈম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা রাযি. কে বলতে শুনেছি, ইদানিং রাজাÑবাদশাহ্রা লোকজনের সাথে কথাবার্তা বলেন না। উক্ত বক্তব্য অবশ্যই হযরত মোয়াবিয়া দায়িত্ব পালনকালীন সময়কার ঘটনা।
قال ابن لهيعة وأخبرني الحارث بن يزيد عن
ناعم مولى أم سلمة قال
سمعت أبا هريرة رضى الله عنه يقول إن السلطان لا يكلم
اليوم وذلك [ في ] زمن معاوية
পৃষ্ঠা - ৪১১
ঈসা ইব্নে আযেম রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন ওলীদ ইব্নে ওক্বা আব্দুল্লাহ ইব্নে সামউদ রাযি. এর কাছে বলে পাঠালেন যে, নি¤েœর বাক্যগুলো উচ্চারন করা থেকে যেন বিরত থাকে, নিঃসন্দেহে মহাসত্য বক্তব্য হচ্ছে, কিতাবুল্লাহ, উত্তম হেদায়াত হচ্ছে, মুহাম্মদ সা. এর হেদায়াত। নিকৃষ্টতম কাজ হচ্ছে নবউদ্ভাবিত কাজসমূহে। একথা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযি. বলেন, যদি আমি এগুলো বলার কারণে মতপার্থক্য সৃষ্টি না হয় তাহলে তো বলার কোনো প্রয়োজন নেই। অতঃপর ইত্রীস ইব্নে ওরকুব দাড়িয়ে তলোয়ার হস্তে ধারণ করে আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ রাযি. এর মাথার কাছে গিয়ে দাড়িয়ে গিয়ে বলে, যারা সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করেনা তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তার কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ইব্নে মাসউদ রাযি. বলে উঠলেন, না, তোমার কথা ঠিক নয়, বরং যারা অন্তর দ্বারা সৎকাজ করে না এবং অসৎ কাজ থেকে বাধা প্রদান করা থেকে বিরত থাকে তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে। এক পর্যায়ে ইতরীয ইব্নে ওরকূব বলেন, যদি আপনি এর বিপরীত বলেন, তাহলে আমি ঐ লোকের কাছে গিয়ে তার উপর তলোয়ার দ্বারা জোরালোভাবে আঘাত করব, যতক্ষণ না তারা ঘরের ভিতরে থেকে এমনকোনো বিষয় জানবেনা যে, কোন কাজটি আল্লাহ অবাধ্যতার সাথে সংশ্লিষ্ট। একথা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে মাসউদ বললেন, যাও এবং তোমার তলোয়ার রেখে দিয়ে ঐ মজলিসের মাঝে বসে যাও।
حدثنا ابن المبارك عن جرير بن حازم قال
حدثني عيسى بن عاصم أن الوليد بن عقبة أرسل إلى ابن مسعود أن أسكت عن هؤلاء
الكلمات إن أصدق الحديث كتاب الله وأحسن الهدي هدي محمد وشر الأمور محدثاتها
فقال ابن مسعود أما دون أن يفرقوا بين هذه وهذه فلا فقام عتريس بن عرقوب
فاشتمل على السيف ثم أتى عبد الله فقام عند رأسه
فقال هلك من لم يأمر بالمعروف
وينه عن المنكر
فقال عبد الله لا ولكن هلك من لم يعرف بقلبه معروفا ولم ينكر
بقلبه منكرا
فقال عتريس لو قلت غير هذا لمشيت إلى هذا الرجل حتى أضربه بالسيف
حتى لا يعملوا لله بالمعصية في أجواف البيوت
فقال له عبد الله إذهب فألق بسيفك
وتعالى فاقعد في ناحية هذه الحلقة
পৃষ্ঠা - ৪১২
হযরত আবুল আলিয়া রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুস যুবাইর এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে সফওয়ান রাযিঃ একটি ঘরে অবস্থান করছিলেন, তাদের পার্শ্বে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে ওমর রাযিঃ অতিক্রম করলে তাকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি উভয়ের নিকট উপস্থিত হলে হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে সফওয়ান রাযিঃ বলেন, হে আব্দুর রহমান! আপনাকে আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইব্নে যুরাইবের হাতে বাইয়াত গ্রহণ করতে কোন জিনিস বাধা প্রদান করছে, অথচ মক্কা, মদীনা, ইরাকের বাসিন্দা এবং শাম দেশের প্রায় সকলেই আমীরুল মুমিনীন মনে করে তার হাতে বাইয়াত গ্রহন করেছেন। জবাবে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ বললেন, আল্লাহ্র কসম! আমি তোমাদের কথা মানতে পারিনা, যেহেতু তোমরা তোমাদের তলোয়ারকে কাঁধের উপর ধারন করতঃ মুসলমানদের রক্ত দ্বারা তোমাদের হাতকে রঞ্জিত করছ।
حدثنا ابن المبارك عن كهمس عن أبي
الأزهر الصنعاني
عن أبي العالية أن عبد الله بن الزبير وعبد الله بن صفوان كانا
في الحجر فمر بهما ابن عمر فبعثا إليه فأتاهما فقال له عبد الله بن صفوان ما يمنعك
أبا عبد الرحمن أن تبايع أمير المؤمنين يعني ابن الزبير وقد بايع له أهل العروض
وأهل العراق وعامة أهل الشام فقال لا والله لا أبايعكم وأنتم واضعون سيوفكم على
عواتقكم تصيب أيديكم من دماء المسلمين
পৃষ্ঠা - ৪১৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যারা অপরিচিত কোনো পতাকবাহীর অধীনে যুদ্ধ করে স্বজনপ্রীতি বশতঃ কারো প্রতি রাগ প্রদর্শন করে, উক্ত স্বজনপ্রীতির কারনে কাউকে সাহায্য করে আবার মানুষজনকে স্বজনপ্রীতির প্রতি দাওয়াত দেয়, অতঃপর সে যদি উক্ত যুদ্ধে মারা যায় তাহলে সে জাহেলী ভাবে মারা গেল। আর যে লোক আমার উম্মতের উপর অস্ত্র প্রদর্শন করে ভালো-খারাপ সবাইকে ভয় দেখায়, কোনো মুসলমানকে পরোয়া করেনা এবং কোনো জিম্মির প্রতি করা অঙ্গিকারকেও রক্ষা করে চলেনা। সে আমার উম্মতের অর্ন্তভুক্ত নয় এবং আমিও তাদের দলভুক্ত নই।
حدثنا ابن مبارك عن جرير بن حازم
قال حدثنا غيلان بن جرير عن أبي قيس
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول
الله صلى الله عليه وسلم من قاتل تحت راية عمية يغضب لعصبية أو ينصر عصبية أو يدعوا
إلى عصبية فقتل فقتله جاهلية ومن خرج على أمتي يضرب برها وفاجرها لا ينحاش من
مؤمنها ولا يفي لذي عهد عهدها فليس مني ولست منه
পৃষ্ঠা - ৪১৪
পূর্বের হাদীসের ন্যায়।
حدثنا ابن مبارك عن
سفيان عن يونس عن غيلان بن جرير نحوه
পৃষ্ঠা - ৪১৫
হযরত আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তোমাদের মাঝে যেভাবে দাড়িয়েছি, একদা রাসূলুল্লাহ সাঃ সেভাবে আমাদের মাঝে দাড়িয়ে বললেন, কসম সেই সত্ত্বার, যার আমার হাতে প্রাণ! যারা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আমি আল্লাহর রাসূল হওয়ার স্বাক্ষ্য দেয় তিনটি কারন পাওয়া যাওয়া ব্যতীত তাদের কাউকে হত্যা করা জায়েয হবেনা। একটি হচ্ছে, যদি তারা নাহক্বভাবে কাউকে হত্যা করে, তাহলে কিসাস হিসেবে তাকে হত্যা করা বৈধ। দ্বিতীয়তঃ বিবাহিত কেউ যদি যিনা করে তাহলে পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা জায়েয হয়ে যায়। তৃতীয়তঃ যারা ইসলাম ত্যাগ করে মুরতাদ হয়ে যায় তাকে হত্যা করা বৈধ হয়ে যায়।
حدثنا ابن مبارك وعيسى بن يونس
جميعا قالا أخبرنا سليمان الأعمش عن عبد الله بن مرة عن مسروق
عن عبد الله رضى
الله عنه قال قام فينا رسول الله صلى الله عليه وسلم مقامي فيكم فقال ولذي لا إله
غيره لا يحل دم رجل يشهد أن لا إله إلا الله وأني رسول الله إلا أحد ثلاثة نفر
النفس بالنفس والثيب الزان والمفارق للجماعة التارك لدينه
وقال ابن المبارك أو
قال التارك للإسلام
পৃষ্ঠা - ৪১৬
হযরত কায়স ইবনে আবু হাজেম রহঃ হযরত সানাবিহী রাযিঃ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, তোমরা সকলে হাউজে কাওসারের পানি পান করার জন্য আমার কাছে আসবে এবং নিঃসন্দেহে আমি তোমাদেরকে নিয়ে গর্ব করব, সুতরাং তোমরা আমার পর পরস্পরে মারামারিতে লিপ্ত হয়োনা।
حدثنا ابن المبارك عن إسماعيل بن أبي خالد عن قيس بن
أبي حازم
عن الصنابحي رضى الله عنه قال سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول
أنا فرطكم على الحوض وإني مكاثر بكم الأمم فلا تقتتلن بعدي
পৃষ্ঠা - ৪১৭
হযরত মরহুম আল-আত্তার তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ইয়াযীদ ইবনুল মুহাল্লাবের ফেৎনা আত্মপ্রকাশ করলে লোকজনের মাঝে এই নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে আমরা একটা সুরাহা বের করার জন্য মুহাম্মদ ইবনে সুফিয়ানের নিকট গিয়ে বললাম, আপনি এমন করলে আমরা কি করতে পারি। তিনি বললেন, তোমরা খেয়াল কর! যখন হযরত উসমান রাযিঃ কে হত্যা করা হয় তখন তিনিই ছিলেন মানুষের মাঝে সবচেয়ে নেককার, সুতরাং তোমরা তারই ইক্তেদা করতে থাক। তার কথা শুনে আমরা বললাম, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ তো তার হাতকে গুটিয়ে রেখেছেন।
حدثنا مرحوم
العطار عن أبيه قال لما كانت فتنة يزيد بن المهلب اختلف الناس فيه قال فانطلقنا إلى
محمد بن سفيان فقلنا له ما ترى في أمر هذا الرجل وقلنا له كيف نريد أن تصنع أنت
فقال انظروا أسعد الناس حين قتل عثمان رضى الله عنه فاقتدوا به قال فقلنا هذا ابن
عمر كف يده
পৃষ্ঠা - ৪১৮
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,আল্লাহ তাআলার কাছে গোটা দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাওয়া নিরাপরাধ কোনো মুসলমান নাহক্বভাবে হত্যা করার চাইতে অনেক সহজ।
حدثنا هشيم عن يعلى بن عطاء عن أبيه
عن عبد الله بن
عمرو رضى الله عنهما قال زوال الدنيا بأسرها أهون على الله من دم امرىء مسلم يسفك
بغير حق
পৃষ্ঠা - ৪১৯
হযরত হুমাইদ ইব্নে হেলাল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ফিতনাকালীন সময়ে হযরত সা’দকে বলা হলো, হে আবু ইসহাক! এসব ঝামেলাগুলো কি আপনি দেখছেননা, অথচ আপনি একজন বদরী সাহাবী এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর আহলে শুরার জীবিত থাকা অন্যতম সদস্য। এ সম্বন্ধে আপনার অনুভূতি কি হতে পারে। জবাবে তিনি বললেন, খেলাফতের জিম্মাদারী গ্রহণ করার চেয়ে আমি আমার এই জামার প্রতি বেশি অধিকার সম্পন্ন। আমি আমার তলোয়ার দ্বারা যুদ্ধে লিপ্ত হবোনা যতক্ষণ না আমার সামনে স্পষ্ট হবেনা যে এই লোক মুসলমান এবং এই লোক কাফের। মুসলমান এবং কাফেরের মাঝে পার্থক্য করে এভাবে বলা হবেনা যে, এই লোক মুসলমান তুমি তাকে হত্যা করোনা এবং এই লোক কাফের তুমি তাকে হত্যা কর।
حدثنا هشيم عن يونس بن عبيد
عن حميد بن هلال قال قيل لسعد
أيام تلك الفتن يا أبا إسحاق ألا تنظر في هذا الأمر فإنك من أهل بدر وإنك بقية أهل
الشورى ولك حال قال ما أنا بقميصي هذا بأحق مني بالخلافة وما أنا بالذي أقاتل حتى
أوتي بسيف يعرف المؤمن من الكافر والكافر من المؤمن فيقول هذا مؤمن فلا تقتله وهذا
كافر فاقتله
পৃষ্ঠা - ৪২০
হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ একদা কিয়ামতের পূর্বে এক ফেৎনা আলোচনা করেন, অতঃ তিনি বলেন, হে আবু মুসা! কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রাণ! আমরা সেই ফেৎনার সম্মুখিন হলে আমাদের এবং তোমাদের জন্য উক্ত ফেৎনা থেকে মুক্তির কোনো উপায় থাকবেনা। আমাদের নবী সাঃ এর ভাষ্যমতে যে ফেৎনার ভিতর প্রবেশ করলে বের হওয়া ব্যতীত অন্য কোনো উপায় থাকবেনা। তবে বের হতে হবে যেমনিভাবে প্রবেশ করা হয়েছে। অতঃপর উক্ত সম্বন্ধে কাউকে কিছুই বলা যাবেনা।
حدثنا هشيم عن يونس عن الحسن قال أخبرنا أسيد بن المتشمس
عن أبي موسى الأشعري رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ذكر رسول
الله صلى الله عليه وسلم بين يدي الساعة فتنة ثم قال أبو موسى والذي نفسي بيده مالي
ولكم منها مخرج إن أدركناها فيما عهد إلينا نبينا إلا أن نخرج منها كما دخلناها لا
نحدث فيها شيئا
পৃষ্ঠা - ৪২১
হযরত আবু হাসেম রাযিঃ বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রাণপ্রিয় নাতী হযরত হাসান ইবনে আলী রাযিঃ এর মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসলে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ পার্শ্বে দাফন করার ওসিয়্যত করেন, তবে যদি এব্যাপারে ঝগড়া ও মারামারি হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে সাধারন মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতে বলেন। হযরত হাসান ইবনে আলী রাযিঃ মৃত্যু বরণ করলে মারওয়ান ইবনে হাকাম বনু ওমাইয়ার কাছে আসলেন। তারা পূর্ব থেকে অস্ত্রসজ্জিত অবস্থায় ছিল। অতঃপর মারওয়ান ইবনে হাকাম বলেন, হযরত উসমান এর উপর হামলাকারীকে আমরা রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে দাফন করতে দিবনা। আমরা এটাকে কঠোরভাবে বাধা দিব। অবশ্যই তারা দাফন করা নিয়ে যুদ্ধ করতে হয় কিনা, সে ব্যাপারে শঙ্কিত ছিল। হাদীস বর্ণনাকারী আবু হাসেম বলেন, হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ এরশাদ করেছেন, তোমাদের ধারনা কি,যদি মুসার সন্তান মৃত্যুর পূর্বে এমর্মে ওসীয়্যত করে যে, তাকে যেন তার পিতার পার্শ্বে দাফন করা হয়, অতঃপর যদি তাকে ওসীয়্যতকৃত স্থানে দাফন করতে বাধা দেয়া হয় সেটা কি জুলুম হবেনা? জবাবে আমি বললাম হ্যাঁ, অবশ্যই জুলুম হবে। আবু হুরায়রা রাযিঃ বললেন, হাসান হচ্ছেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সন্তান, তাকে বাধা দেয়া হচ্ছে, তার পিতার পার্শ্বে দাফন করার জন্য, এটা কি জুলুম হবেনা। অতঃপর হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ হোসাইন রাযিঃ এর কাছে গিয়ে তার সাথে কথা বললেন এবং তাকে আল্লাহ্র নামে কসম দিয়ে বললেন, তোমার ভাই এমর্মে ওসিয়্যত করে গিয়েছেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কবরের পার্শ্বে দাফন করতে গেলে যদি ঝগড়া ফাসাদের আশংকা হয় তাহলে যেন অন্য সাধারন মুসলমানদের সাথে দাফন করা হয়। হযরত হোসাইন রাযিঃ কে বারবার বুঝানোর পর একসময় তিনি ব্যাপারটি মেনে নিলেন এবং হযরত হাসান রাযিঃকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়। খালেদ ইবনে ওলীদ ইবনে ওক্বা রাযিঃ ব্যতীত বনু উমাইয়ার কেউ তার জানাযায় শরীক হয়নি। যেহেতু তিনি বনু উমাইয়ার লোকজনকে আল্লাহর নামে আত্মীয়তার কসম দেয়ার কারনে তাকে জানাযায় অংশগ্রহনের সুযোগ দেয়া হয়। ফলে খালেদ ইবনুল ওলীদ রাযিঃ হযরত হোসাইন রাযিঃ এর সাথে থেকে হযরত হাসান রাযিঃ এর দাফন-জানাযায় শরীক হয়েছেন।
حدثنا هشيم أخبرنا حصين حدثنا أبو حازم قال
لما
احتضر الحسن بن علي رضى الله عنهما أوصى أن يدفن مع رسول الله صلى الله عليه وسلم
إلا أن يكون في ذلك تنازع أو قتال فيدفن في مقابر المسلمين فلما مات جاء مروان بن
الحكم في بني أمية ولبسوا السلاح وقال لا يدفن مع النبي صلى الله عليه وسلم منعتم
عثمان فنحن نمنعكم فخافوا أن يكون بينهم قتال قال أبو حازم قال أبو هريرة أرأيت لو
أن إبنا لموسى أوصى أن يدفن مع أبيه فمنع ألم يكن ظلموا
قلت بلى قال فهذا ابن
رسول الله صلى الله عليه وسلم يمنع أن يدفن مع أبيه ثم انطلق أبو هريرة إلى الحسين
رضى الله عنهما فكلمه وناشده الله وقال أوصى أخوك إن خفت أن يكون قتالا فردوني إلى
مقابر المسلمين فلم يزل به حتى فعل وحمله إلى البقيع فلم يشهده أحد من بني أمية إلا
خالد بن الوليد بن عقبة فإنه ناشدهم الله وقرابته فخلوا عنه فشهد دفنه مع الحسين
رضى الله عنه
পৃষ্ঠা - ৪২২
হযরত সুফিয়ান ইবনে লাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত হাসান ইবনে আলী রাযিঃ খেলাফত ত্যাগ করে কুফা থেকে মদীনায় ফিরে আসলে আমি তার কাছে উপস্থিত হয়ে বললাম, হে মুসলমানদেরকে লাঞ্ছনাকারী! আমার কথা শুনে তিনি বলে উঠলেন, আমি হযরত আলী রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, কিয়ামত সংঘটিত হবেনা, যতক্ষণ পর্যন্ত খেলাফতের দায়িত্ব এমন এক লোকের হাতে আসবেনা, যে হবে কর্তিত নাকওয়ালা, অধিক আহারকারী, বেশি ভক্ষণ করলেও তৃপ্ত হয়না, সেই হচ্ছে, মুআবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান। অতঃপর আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, নিঃসন্দেহে এটি হবেই, আমি শংকিত ছিলাম,তার এবং আমার মাঝে যুদ্ধ ও মারামারি হওয়া নিয়ে। আল্লাহর কসম! এই হাদীস শুনার পর থেকে দুনিয়ার কোনো কিছুই আমাকে খুশি করতে পারেনি। উক্ত পৃথিবীতে চন্দ্র-সূর্য্য উদিত হবে এবং আমি জুলুমের মাধ্যমে কোনো মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত হয়ে আল্লাহর সাথে স্বাক্ষাৎ করব, এটা হতে পারেনা।
حدثنا ابن فضيل عن السري بن إسماعيل عن الشعبي
عن سفيان
بن الليل قال أتيت حسن بن علي رضى الله عنهما بعد رجوعه من الكوفة إلى المدينة فقلت
له يا مذل المؤمنين فكان مما احتج علي أن قال سمعت عليا رضى الله عنه يقول سمعت
رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول لا تذهب الليالي والأيام حتى يجتمع أمر هذه
الأمة على رجل واسع الشرم ضخم البلعم يأكل ولا يشبع وهو معاوية فعلمت أن أمر الله
تعالى واقع وخفت أن تجري بيني وبينه الدماء والله ما يسرني بعد إذ سمعت هذا الحديث
أن لي الدنيا وما طلعت عليه الشمس والقمر وإني
لقيت الله تعالى بمحجمة دم
امرىء مسلم ظلما
পৃষ্ঠা - ৪২৩
হযরত হাসান বসরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ হাসান ইবনে আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে এরশাদ করেছেন,আমার এই সন্তান একদিন সায়্যিদ হবে এবং আল্লাহ তাআলা অতিসত্ত্বর তার হাতের মাধ্যমে মুসলমানদের বিশাল-বড় দ্ইু দলের মাঝে এসলাহ করাবেন,যদ্বারা মুসলমানরা বড় ধরনের এক এক যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
حدثنا هشيم عن يونس
عن الحسن قال قال رسول الله صلى
الله عليه وسلم للحسن بن علي ابني هذا سيد وسيصلح الله على يديه بين فئتين من
المسلمين عظيمتين
পৃষ্ঠা - ৪২৪
হযরত যুহরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন হযরত আলী রাযিঃ এর সাথে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত উসামা ইবনে যায়েদ রাযিঃ এর স্বাক্ষাৎ হয় কিংবা উসামা রাযিঃ কে হযরত আলী রাযিঃ ডেকে পাঠালেন। আলী রাযিঃ বললেন, হে উসামা! আমরা তোমাকে আমাদের একজন মনে করি। সুতরাং তুমি আমাদের এই জিম্মাদারীর অংশিদারী কেন হওনা? জবাবে হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ বললেন, হে আবুল হাসান! আল্লাহর কসম, নিঃসন্দেহে আপনি যদি কোনো মারাত্মক সংকটের মোকাবেলা করেন,অবশ্যই আমি ও আরেকটির সমাধানের চেষ্টা করব, ধ্বংস হলে একসাথে হবো,জীবিত থাকলে একসাথে জীবিত থাকব। তবে আপনি যে দায়িত্বে আছেন, আল্লাহর কসম! আমি কখনো তার মধ্যে শরীক হবোনা।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر
عن الزهري قال لقي علي
رضى الله عنه أسامة بن زيد أو أرسل إليه فقال له علي ما كنا نعدك إلا من أنفسنا يا
أسامة فلم تدخل معنا في هذا الأمر فقال أسامة يا أبا الحسن إنك والله لو أخذت مشفر
الأسد لأخذت بمشفرة الآخر معك حتى نهلك جميعا أو نحيا جميعا فأما هذا الأمر التي
أنت فيه فوالله ما كنت لأدخل معك فيه أبدا
পৃষ্ঠা - ৪২৫
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তাকে একদা কেউ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কিংবা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাযিঃ থেকে কারো পক্ষাবলম্বন করছেননা কেন? জবাবে তাকে ইবনে ওমর রাযিঃ বলেন, উভয় দল থেকে যার পক্ষে আমি যুদ্ধ করিনা কেন, নিঃসন্দেহে আমি মারা গেলে কিংবা হত্যা হলে প্রজ্বলিত আগুনে নিক্ষিপ্ত হব।
وحدثنا نعيم قال سمعت من يذكر
عن مالك بن مغول عن نافع
عن ابن عمر رضى الله عنهما أنه قال لرجل يسأله عن
القتال مع الحجاج أو ابن الزبير فقال له ابن عمر مع أي الفريقين قاتلت فقتلت ففي
لظى
পৃষ্ঠা - ৪২৬
হযরত কুবাইল রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযিঃ সর্বদা বলতেন, তোমরা এই শেখের বিরোধীতা করা থেকে বিরত থাক, ওসমান রাযিঃ এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়োনা, কেননা তার কারনে এখনো কোমলতা টিকে আছে। আল্লাহর কসম! যদি তোমরা তাকে হত্যা করো, তাহলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা তার তলোয়ার এমনভাবে খাপমুক্ত করবেন, আর কখনো সেটা খাপবদ্ধ হবেনা। যা কিয়ামত পর্যন্ত চালু থাকবে।
حدثنا ضمام بن إسماعيل عن أبي قبيل قال
قال عبد الله بن سلام
كفوا عن هذا الشيخ لا تقتلوا يعني عثمان رضى الله عنه فإنما بقي من أجله اليسير
فأقسم بالله لئن قتلتموه ليسلن الله تعالى سيفه ثم لا يغمده إلى يوم القيامة
পৃষ্ঠা - ৪২৭
হযরত আবু শুরাইফ আল-মাআফেরী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ কে বলা হলো, এই জাতিরা কি করছে আপনি কি দেখছেননা, তারা অনবরত খেলাফে সুন্নাত কাজ করে যাচ্ছে। তাদেরকে আপনি সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করছেননা কেন? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারা বললেন, আমরা আপনার ব্যাপারে খুবই শঙ্কিত, কিন্তু আমরা আপনার সাথেই থাকবো। আমাদের কথা শুনে তিনি বললেন, তোমরা আল্লাহর বরকতের উপর নির্ভর করে সামনে চলতে থাক। এরপর বলল, আমরা তার ব্যাপারে ভয় করছি, তবে আমরা অস্ত্রধারন করলেও সেই আমাদের সাথে থাকবেনা।
حدثنا ضمام بن إسماعيل المعافري
عن أبي شريح المعافري قال قلت لابن
عمر أو قالوا له ألا ترى ما يصنع هؤلاء القوم عملوا بخلاف السنة أفلا تأمر بالمعروف
وتنهى عن المنكر قال بلى قالوا فإنما نخاف عليك ولكنا نقوم معك قال فقوموا على بركة
الله قالوا إنا نخاف ولكنا نحمل السلاح قال أما هذا فلا
পৃষ্ঠা - ৪২৮
হযরত মায়মুন ইব্নে মেহরান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আলী রাযিঃ বলেছেন, আমি কখনো এ কথার উপর আনন্দিত হতে পারিনা যে, আমি হযরত ওসমান রাযিঃ এর হত্যাকারী সত্তর জনের একজন হবো, অথচ আমার জন্য দুনিয়া ও দুনিয়ার যাবতীয় সবকিছু বিদ্যমান থাকবে।
حدثنا الوليد
بن مسلم عن الأوزاعي قال سمعت ميمون بن مهران يقول
قال علي بن أبي طالب رضى
الله عنه ما يسرني أني من أحد سبعين من قتلة عثمان وأن لي الدنيا وما فيها
পৃষ্ঠা - ৪২৯
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্নে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, আমি হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, আল্লাহর কসম! আমি ওসমানকে হত্যা করিনি এবং হত্যা করার নির্দেশও দিইনি।
حدثنا عبد الرزاق عن معمر عن ابن طاووس عن أبيه
عن ابن عباس قال سمعت عليا
رضى الله عنه يقول والله ما قتلت عثمان ولا أمرت بقتله
পৃষ্ঠা - ৪৩০
হযরত ইবনে তাউস রহঃ তার পিতা থেকে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, যখন ওসমান রাযিঃ কে হত্যা করার ফিৎনা মারাত্মক আকার ধারন করে তখন এক লোক তার পরিবারের লোকজনকে বলতে লাগল, তোমরা আমাকে লোহার শিকল দ্বারা বেধে ফেল, আমি পাগল হয়ে গিয়েছি। এরপর ওসমান রাযিঃ কে হত্যা করা হলে সে পুনরায় বলল, আমাকে এখন ছেড়ে দিতে পার। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য যিনি আমাকে পাগলামী থেকে সুস্থ করেছেন এবং ওসমান রাযিঃ এর হত্যাকান্ডে শরীক হওয়া থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
حدثنا عبد الرزاق
عن معمر عن ابن طاووس
عن أبيه قال لما وقعت فتنة عثمان رضى الله عنه قال رجل
لأهله أوثقوني بالحديد فإني مجنون فلما قتل عثمان قال خلوا عني الحمد لله الذي
شفاني من الجنون وعافاني من قتل عثمان
পৃষ্ঠা - ৪৩১
হযরত ইবনে আবি বকরা স্বীয় পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, খবরদার! তোমরা আমার পর পথভ্রষ্ট হয়ে যেওনা। যে, পরস্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
حدثنا عبد الوهاب بن عبد المجيد عن
أيوب عن ابن سيرين عن [ ابن ] أبي بكرة
عن أبيه قال قال رسول الله صلى الله
عليه وسلم ألا لا ترجعوا بعدي ضلالا يضرب بعضكم رقاب بعض
পৃষ্ঠা - ৪৩২
হযরত মুহাম্মদ ইব্নে সীরিন রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সংবাদ প্রাপ্ত হয়েছি, নিশ্চয় হযরত সা’দ রাযিঃ বলতেন, যখন থেকে আমি যেহাদ সম্বন্ধে বুঝতে আরম্ভ করি তখন থেকে আমি জেহাদ করতে থাকি। তবে এখন আমি আর যুদ্ধ করবোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে দুই চোখ, দুই ঠোঁট ও একটি মুখ বিশিষ্ট তলোয়ার এনে দিবেনা,যে তলোয়ার আমাকে চিহ্নিত করে দিবে, কে মুসলমান এবং কে কাফের।
حدثنا ابن
علية عن أيوب
عن ابن سيرين قال نبئت أن سعدا كان يقول قد جاهدت إذ أنا أعرف
الجهاد ولا أقاتل حتى تأتوني بسيف له عينان ولسان وشفتان فيقول هذا مؤمن وهذا كافر
পৃষ্ঠা - ৪৩৩
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের উপর তলোয়ার উঠাবে বা অস্ত্র প্রয়োগ করবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। বর্ণনাকারী হযরত আবু মুআবিয়া রহঃ বলেন, যারা আমাদের উপর হাতিয়ার দ্বারা হামলা করবে সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي وأبو معاوية عن عبيد الله عن نافع
عن ابن
عمر رضى الله عنهما قال قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من حمل علينا السلاح
فليس منا
وقال أبو معاوية من سل علينا السلاح [ فليس منا
[
পৃষ্ঠা - ৪৩৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাযিঃ এর ফেৎনা চলাকালীন তার কাছে দুইজন লোক এসে বলল, লোকজন কি করছে আপনিতো ভালো করে উপলব্ধি করছেন, অথচ,আপনি খাত্তাবের পুত্র ওমরের সন্তান এবং রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবীদের একজন। আপনাকে বের হতে কে নিষেধ করেছে? জবাবে তিনি বললেন, আমাকে বাধা দিচ্ছে,নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা আমার উপর কোনো মুসলমানকে হত্যা করা হারাম করে দিয়েছেন। তার কথা শুনে আগত দুইজন বললেন, আল্লাহ তাআলা কি একথা বলেননি, “তোমরা তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না ফেৎনা পুরোপুরি মূলৎপাটন হবে এবং দ্বীন পরিপূর্ণ আল্লাহর জন্য হয়ে যাবে। (বাকারা -১৯৩)// জবাবে হযরত ইবনে ওমর রাযিঃ বললেন, হ্যাঁ, ফেৎনা দুর হওয়া এবং দ্বীন পরিপূর্ণ আল্লাহর জন্য হয়ে যাওয়া পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ করেছি, অথচ তোমরা বর্তমানে এমন এক উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করছ যদ্বারা ফেৎনা আরো ব্যাপক আকার ধারন করবে এবং দ্বীন হয়ে যাবে গায়রুল্লাহর জন্য।
حدثنا عبد
الوهاب بن عبد المجيد عن عبيد الله عن نافع
عن ابن عمر رضى الله عنهما أتاه
رجلان في فتنة ابن الزبير فقالا إن الناس قد صنعوا ما ترى وأنت ابن عمر بن الخطاب
وصاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم فما يمنعك أن تخرج قال يمنعني أن الله تعالى
حرم علي دم أخي المسلم قالا أو لم يقل الله تعالى قاتلوهم حتى لا يكون فتنة ويكون
الدين لله [ البقرة193 ] قال فقد قاتلنا حتى لم تكن فتنة وكان الدين لله فأنتم
تريدون أن نقاتل حتى تكون فتنة ويكون الدين لغير الله
পৃষ্ঠা - ৪৩৫
হযরত আবু যর গিফারী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বলেছেন, হে আবু যর! যদি লোকজন যুদ্ধ করতে করতে এত বেশি রক্তপাত করবে যদ্বারা মদীনার পার্শ্বে অবস্থিত পাথরগুলো রক্তের মধ্যে ডুবে যাবে তখন তুমি কি করবে, জবাবে আমি স্বভাবসূলভ বললাম, এব্যাপারে আল্লাহ এবং তার রসূলই ভালো জানেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ জবাবে বললেন, তুমি তোমার ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে থাকবে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথা শুনে আমি বললাম, সে রক্তপাত যদি আমার উপর এসে পড়ে তাহলে কি করব, জবাবে তিনি বললেন, এমন অবস্থা হলে তুমি তোমার মূল গোত্রের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর কথা শুনে আমি বললাম, ঐ সময় যদি আমি অস্ত্রধারন করি তাহলে কেমন হবে। জবাবে তিনি বললেন,তাহলে কিন্তু তুমিও তাদের শরীক হয়ে যাবে। এরপর আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাহলে আমার করণীয় কি হওয়া উচিৎ? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, যদি অস্ত্রের আঘাত তোমার উপর এসে পড়ার আশঙ্কা করো তাহলে তোমার চাদরের একটি অংশ দ্বারা তোমার চেহারাকে ঢেকে রাখবে, তোমার উপর আক্রমণকারী তার গুনাহ এবং তোমার গুনাহ সহকারে ফেরৎ যাবে।
حدثنا ابو عبد
الصمد العمي حدثنا أبو عمران الجوني عن عبد الله بن الصامت
عن أبي ذر رضى
الله عنه قال قال لي رسول الله صلى الله عليه وسلم يا أبا ذر أرأيت إن الناس قتلوا
حتى تغرق حجارة الزيت من الدماء كيف أنت صانع
قال قلت الله ورسوله أعلم
قال
تدخل بيتك
قلت فإن أتي علي
قال تأتي من أنت منه
قال قلت فأحمل السلاح
قال إذا تشترك معهم
قال قلت فكيف أصنع يا رسول الله
قال إن خفت أن
يبهرك شعاع السيف فألق طائفة من ردائك على وجهك يبوء بإثمك وإثمه
পৃষ্ঠা - ৪৩৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমের ইবনে রবীয়াহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ওসমান রাযিঃ তাকে অবরুদ্ধ করা অবস্থায় বলেন ঐ ব্যক্তি আমার সবচেয়ে বড় কল্যাণকামী যে তার হাত এবং অস্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে।
حدثنا
ابن إدريس عن يحيى بن سعيد عن عبد الله بن عامر بن ربيعة قال
قال عثمان رضى
الله عنه يوم الدار من أعظم الناس عني عناء لرجل كف يده وسلاحه
পৃষ্ঠা - ৪৩৭
প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ওসমান রাযিঃ অবরুদ্ধ হওয়ার দিন তার ঘরে প্রবেশ করে বললাম, হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি আনন্দিত নাকি চিন্তিত? জবাবে তিনি বললেন, হে আবু হুরায়রা! তুমি কি খুশি হবে যে, আমি সকল মানুষকে হত্যা করি এবং তাদের সাথে আমাকেও। আমি বললাম, না এখানে তো খুশি হওয়ার কিছুই নেই। আমার কথা শুনে তিনি সহসা বলে উঠলেন, আল্লাহর কসম! যদি আমি একজন লোককেও হত্যা করি তাহলে যেন আমি সকল মানুষকে হত্যা করলাম। আবু হুরায়রা রাযিঃ বললেন, অতঃপর আমি ফিরে আসলাম এবং বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার চিন্তা ত্যাগ করলাম।
হাদীস বর্ণনাকারী হযরত আবু সালেহ রহঃ বলেন, হযরত ওসমান রাযিঃ কে যেদিন শহীদ করা হয় সেদিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযিঃ বারবার বলে বেড়িয়েছেন, আল্লাহর কসম! তোমরা অযথা রক্তপাত করোনা, কেননা এর মাধ্যমে তোমরা আল্লাহ তাআলার কাছ থেকে দূরে সরে যাবে।
حدثنا أبو
معاوية عن الأعمش عن أبي صالح
عن أبي هريرة قال دخلت على عثمان رضى الله عنه
يوم الدار فقلت يا أمير المؤمنين طاب أم ضرب قال يا أبا هريرة أيسرك أن تقتل الناس
جميعا وإياي معهم قال قلت لا قال فإنك والله لئن قتلت
رجلا واحدا لكأنما
قتلت الناس جميعا فرجعت ولم أقاتل
قال أبو صالح وسعت عبد الله بن سلام يوم قتل
عثمان رضى الله عنه يقول والله لا تهريقوا محجما من دم إلا ازددتم من الله بعدا
পৃষ্ঠা - ৪৩৮
হযরত জাবের ইব্নে আব্দুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, নিশ্চয় তোমাদের খুন, সম্পদ তোমাদের উপর এমনভাবে হারাম, যেমন তোমাদের এই শহরে এই মর্মে, এই দিনে সবকিছু হারাম।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش عن أبي صالح
عن جابر بن عبد الله رضى
الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن دماءكم وأموالكم عليكم حرام
كحرمة يومكم هذا في شهركم هذا في بلدكم هذا
পৃষ্ঠা - ৪৩৯
হযরত ইব্রাহীম রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, একজন লোক দ্বীনের সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করে, যতক্ষণ না সে, কাউকে নাহক্বভাবে হত্যা না করে, যদি কাউকে নাহক্বভাবে হত্যা করে তাহলে তার কাছ থেকে লজ্জা ইত্যাদি ছিনিয়ে নেয়া হয়।
حدثنا أبو معاوية عن الأعمش
عن إبراهيم
قال قال عبد الله لا يزال الرجل في فسحة من دينه مالم يهريق دما
حراما فإذا أهراق دما نزع منه الحياء
পৃষ্ঠা - ৪৪০
হযরত আ’তা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাযিঃ এরশাদ করেছেন, কিতাবুল্লাহর মধ্যে আমি ওসমান রাযিঃ সম্বন্ধে পেয়েছি, তিনি হবেন হত্যাকারী এব দুর্বলদের আমীর।
حدثنا أبو معاوية عن ليث عن عطاء
قال
قال عبد الله بن سلام نجد عثمان رضى الله عنه في كتاب الله تعالى أميرا على
الخاذل والقاتل