আল ফিতন

العلامات قبل خروج الدجال

পৃষ্ঠা - ১৪৬২
রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে বাসার হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যুদ্ধ ও কুস্তুনতুনিয়া বিজয়ের মধ্যে ছয় বছরের ব্যাবধান হবে। অতপর সপ্তম বছরে দাজ্জাল বের হবে।
حدثنا بقية بن الوليد عن بحير بن سعد عن
ابن أبي بلال
عن عبد الله بن بسر صاحب النبي صلى الله عليه وسلم ورضى [ الله
]
عنه قال قال النبي صلى الله عليه وسلم بين الملحمة وفتح القسطنطينية [ ست ] سنين ثم
يخرج الدجال في السنة السابعة
পৃষ্ঠা - ১৪৬৩
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে তিনি বলেন দাজ্জাল বের হবে এমনকি কুস্তুনতুনিয়া বিজীত হবে।
حدثنا الوليد بن مسلم عن صفوان بن عمرو عن
أبي اليمان وغيره
عن كعب قال ر يخرج الدجال حتى تفتح القسطنطينية
পৃষ্ঠা - ১৪৬৪
হযরত কাসীর ইবনে মিররা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যে কুস্তুনতুনিয়ায় উপস্থিত হয় সে যেন যতটুকু পারে বহন করে এবং গ্রহণ করে। কেননা রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একথা বলেন নাই যে তার বিজয় ও দাজ্জালে বাহির সাত বছরে।
حدثنا بقية بن الوليد عن أبي بكر بن أبي مريم عن أبي الزاهرية
عن كثير بن مرة
قال من حضر القسطنطينية فليحمل ما قدر وليتخذ فإن رسول الله صلى الله عليه وسلم ولم
قال فتحها وخروج الدجال في سبع سنين
পৃষ্ঠা - ১৪৬৫
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত:
একবার তারা তাদের গণীমতের মাল ভাগাভাগি করছিলেন। এমতবস্থায় তাদের নিকট দাজ্জাল বাহির হওয়ার খবর পৌছল। উনি বললেন, সে মিথ্যা বলেছে তোমরা যা পার নিয়ে নাও। কারণ তোমরা ছয় বছর বসবাস করতে পারবে। অতপর দাজ্জাল সপ্তম বছরে বের হবে।
قال صفوان وحدثني شريح بن عبيد
عن كعب قال يأتيهم الخبر وهم يقسمون غنائمهم إن الدجال قد خرج وإنما هو كذب
فخذوا ما استطعتم فإنكم تمكثون ست سنين ثم يخرج في السابعة
পৃষ্ঠা - ১৪৬৬
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন মদীনা বিজীত না হওয়া পর্যন্ত দাজ্জাল বের হবে না।
قال
صفوان وحدثني عبد الرحمن بن جبير
عن كعب قال لا يخرج الدجال حتى تفتح المدينة
পৃষ্ঠা - ১৪৬৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াসার হতে বর্র্ণিত তিনি বলেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে বাছার আমার কান ধরলেন। অতপর বললেন হে ভ্রাতুস্পুত্র সম্ভবত তুমি কুস্তুনতুনিয়ার বিজয় পাবে। যদি তুমি কুস্তুনতুনিয়ার বিজয় পাও তাহলে তার গণীমত পরিত্যাগ থেকে বিরত থাকবে। কেননা তার বিজয় ও দাজ্জালের বের হওয়ার মধ্যে সাত বছরের ব্যাবধান।
حدثنا أبو المغيرة عن بشير بن عبد الله بن يسار قال
أخذ عبد الله بن
بسر المزني صاحب رسول الله صلى الله عليه وسلم بأذني
فقال يا ابن أخي لعلك تدرك
فتح القسطنطينية فإياك إن أدركت فتحها أن تترك غنيمتك منها فإن بين فتحها وبين خروج
الدجال سبع سنين
পৃষ্ঠা - ১৪৬৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কুস্তুনতুনিয়া বিজয়ের পর এবং ঈসা আ. এর বাইতুল মুকাদ্দাসে অবতরণের পূর্বে দাজ্জাল বের হবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة والليث بن سعد عن خالد بن
يزيد عن سعيد بن أبي هلال عن أبي سلمة
عن عبد الله بن عمرو قال يخرج الدجال بعد
فتح القسطنطينية قبل نزول عيسى بن مريم ببيت المقدس
পৃষ্ঠা - ১৪৬৯
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন তাদের নিকট এ খবর পৌছেছে যে, তাদের কুস্তুনতুনিয়া বিজয়ের পর দাজ্জালের অবির্ভাব ঘটবে। অতপর তার ফিরে যাবে এবং কিছু পাবে না । অতপর কিছুদিন অবস্থান করবে এরই মধ্যে দাজ্জাল বের হবে।
حدثنا ابن وهب عن
عاصم بن حكيم عن عمر بن عبد الله
عن كعب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
يأتيهم الخبر أن الدجال قد خرج بعد فتحهم القسطنطينية فينصرفون فلا يجدونه ثم لا
يلبثون إلا قليلا حتى يخرج
পৃষ্ঠা - ১৪৭০
হযরত সাঈদ ইবনে উবাইদ ইবনে সিয়াক হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমি হযরত আবু হুরাইরা রা, কে বলতে শুনেছি যে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন দাজ্জালের অবির্ভাবের পূর্বে সাতটি ধোকার বছর আসবে। সেবছরগুলোতে সত্যবাদীরা মিথ্যা কথা বলবে। আর মিথ্যাবাদীরা সত্য কথা বলবে। আর খেয়ানতকরী আমানত পূরণ করবে। আর আমানতদার খেয়ানত করবে। আর সমাজের নিম্ব স্তরের লোকেরা সমাজে কথা বলবে।
حدثنا ابن وهب عن يزيد بن عياض عن سعيد بن
عبيد بن السياق قال
سمعت أبا هريرة رضى الله عنه يقول قال رسول الله صلى الله
عليه وسلم يكون قبل خروج المسيح الدجال سنوات خدعة يكذب فيه الصادق ويصدق فيها
الكاذب ويؤتمن فيها الخائن ويخون فيها الأمين ويتكلم الرويبضة الوضيع من الناس
পৃষ্ঠা - ১৪৭১
হযরত হুযাইফা ইবনে ইয়ামান রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সমুদ্রে একবার যুদ্ধ হবে। যে ঐ যুদ্ধ করবে সে মুক্তি পাবে। সে কখনো গরীব বা অভাবগ্রস্থ হবে না। আর যে ঐ যুদ্ধ করবে না তার মাল সম্পদ তার পর বাড়বে না। পূর্বে যেমন ছিল তেমনই থাকবে। উক্ত যুদ্ধের পর সমুদ্র ছয় বছর কঠিন (শুকিয়ে) থাকবে। অতপর ছয় বছর পর সমুদ্র ফিরে আসবে। যেমন ছয় বছর ছিল। অতপর আবার ছয় বছর কঠিন (শুকিয়ে) থাকবে। এভাবে আঠারো বছর হবে। অতপর দাজ্জালের অবির্ভাব হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن سعيد بن راشد
عن عثمان بن المسيتفع
الحميري قال حدثني أبي قال
حدثنا حذيفة بن اليمان قال تكون غزوة في البحر من
غزاها استغنى فلم يفتقر أبدا ومن لم يغزها لم يثرى ماله بعدها إلا ما كان قبل ذلك
ثم يستصعب البحر بعد الغزو ست سنين كما كان ثم يعود البحر بعد ست سنين كما كان ست
سنين ثم يستصعب ستا فذلك ثمان عشرة ثم يخرج الدجال
পৃষ্ঠা - ১৪৭২
হযরত আতা ইবনে ইয়াসার হতে বর্ণিত যে, তিনি হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে শুনেছেন যে, দাজ্জালের অবির্ভাবের পূর্বে তিনটি ফিতনা হবে। একটি হলো উসমান রাযিয়াল্লাহু আনহু এর ফিতনা। আরেকটি হলো ইবনে যুবাইর রাযিয়াল্লাহু আনহু এর ফিতনা। অতপর তৃতীয়টি অতপর দাজ্জাল বের হবে।
حدثنا رشدين عن ابن
لهيعة عن جعفر بن عبد الله الأنصاري عمن حدثه عن عطاء بن يسار
سمع كعبا قبل
خروج الدجال فتن ثلاث فتنة عثمان وفتنة ابن الزبير رضى الله عنهما والثالثة ثم يخرج
الدجال
পৃষ্ঠা - ১৪৭৩
হযরত তাবে’ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন যে, দাজ্জালের সম্মুখে তিনটি আলামত থাকবে। আর তা হলো তিন বছর এমন হবে তাতে দূভিক্ষ থাকবে, আর নদী শুকিয়ে যাবে, বাগান হলুদবর্ণ ধারণ করবে, ঝর্ণা পানিশূন্য হয়ে যাবে এবং মাযহাজ ও হামাদান হতে ইরাক পর্যন্ত এমন যুদ্ধ হবে যাতে তারা কিনসীরিন ও হালাবে নেমে আসবে। অতপর তোমাদের দরজায় প্রভাতে অথবা সন্ধ্যায় দাজ্জাল উপস্থিত হবে।
حدثنا رشدين عن ابن لهيعة عن أبي قبيل
عن تبيع قال بين يدي
الدجال ثلاث علامات ثلاث سنين جوع وتغيض الأنهار ويصفر الريحان وتنزف العيون وتنتقل
مذحج وهمدان إلى العراق حتى ينزلوا قنسرين وحلبا فغدوا الدجال غاديا في دياركم أو
رائحا
পৃষ্ঠা - ১৪৭৪
- হযরত মায়ায ইবনে জাবাল রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন বড় যুদ্ধ, কুস্তুনতুনিয়ার বিজয় এবং দাজ্জালের অবির্ভাব হবে সাত মাসের মধ্যে।
حدثنا بقية وعبد القدوس عن أبي بكر بن أبي مريم عن الوليد بن
سفيان بن أبي مريم عن يزيد بن قطيب السكوني عن أبي بحرية عبد الله بن قيس السكوني
عن معاذ بن جبل رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الملحمة
العظمى وفتح القسطنطينية وخروج الدجال في سبعة أشهر
পৃষ্ঠা - ১৪৭৫
– হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে এরূপই বর্ণিত আছে।
قال وأخبرنا
صفوان عن أبي اليمان عن كعب مثله
পৃষ্ঠা - ১৪৭৬
– হযরত যামরা ইবনে হাবীব হতে বর্ণিত যে, একবার আব্দুল মালিক ইবনে মারওয়ান আবু বাহরিয়া এর নিকট একটি পত্র লিখেন যে, তার নিকট এখবর পৌছেছে যে, তুমি মায়ায থেকে যুদ্ধ, কুস্তুনতুনিয়া, দাজ্জালের অবির্ভাব সম্পর্কে আলোচনা করেছ। তখন তার উত্তরে আবু বাহরিয়া তার নিকট লিখেন যে, তিনি মায়াযকে বলতে শুনেছেন যে, বড় যুদ্ধ, কুস্তুনতুনিয়ার বিজয়, দাজ্জালের অবির্ভাব হবে সাত মাসের মধ্যে।
قال أبو بكر وأخبرني ضمرة بن حبيب
أن عبد الملك بن مروان كتب إلى أبي بحرية أنه بلغه أنك تحدث عن معاذ في الملحمة
والقسطنطينية وخروج الدجال فكتب إليه أبو بحرية أنه سمع معاذا يقول الملحمة العظمى
وفتح القسطنطينية وخروج الدجال في سبعة أشهر
পৃষ্ঠা - ১৪৭৭
হযরত ইবনে মুহাইরিয হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বড় যুদ্ধ কুস্তুনতুনিয়ার অচালবস্থা আর দাজ্জালের অবির্ভাব হবে গর্ভবতীর মহিলার সময়ের সমান।
حدثنا عبد القدوس عن ابن
عياش عن يحيى ابن أبي عمرو السيباني
عن ابن محيريز قال الملحمة العظمى وخراب
القسطنطينية وخروج الدجال حمل امرأة
পৃষ্ঠা - ১৪৭৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াসার রাযিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, যুদ্ধ ও কুস্তুনতুনিয়ার বিজয়ের মধ্যে ছয় বছরের ব্যাবধান। আর সপ্তম বছরে দাজ্জাল বের হবে।
حدثنا بقية عن يحيى بن سعيد عن خالد
بن معدان عن أبي بلال
عن عبد الله بن بسر رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه
وسلم بين الملحمة وفتح القسطنطينية ست سنين ويخرج الدجال في السنة السابعة
পৃষ্ঠা - ১৪৭৯
– হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন দাজ্জালের অবির্ভাব হবে আশি (তম) বছরে। আর এটা আল্লাহ তা’লাই ভালো জানেন যে, সেই আশিটা কোনটা? সেটাকি দুইশত আশি নাক অন্য কোন আশি।
حدثنا بقية قال أخبرنا صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب قال يخرج الدجال في سنة
ثمانين والله أعلم أي الثمانين ثمانين ومائتين أو غيرها
পৃষ্ঠা - ১৪৮০
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন আল্লাহ তা’লা এই উম্মতের উপরে দাজ্জালের তরবারি ও যুদ্ধের তরবারি একত্র করবেন না।
حدثنا أبو
المغيرة عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لن
يجمع الله على هذه الأمة سيف الدجال وسيف الملحمة
পৃষ্ঠা - ১৪৮১
- হযরত আসমা বিনতে যায়েদ আনসারী হতে বর্ণিত যে তিনি বলেন, একবার রাসুূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার ঘরে ছিলেন। তখন তিনি দাজ্জাল সম্পর্কে আলোচনা করলেন। অতপর বললেন দাজ্জালের সম্মুখে (পূর্বে) তিনটি বছর এমন হবে যে, তার প্রথম বছর আকাশ তার এক তৃতীয়অংশ বর্ষণ এবং যমীন তার এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন বন্ধ রাখবে। দ্বিতীয় বৎসর আকাশ দুই তৃতীয়াংশ বর্ষণ এবং যমীণ দুই তৃতীয়াংশ উৎপাদন বন্ধ রাখবে। আর শেষ তৃতীয় বৎসর আকাশ তার সমস্ত বর্ষন এবং যমীন তার সমুদয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখবে। ফলে প্রাণী সমূহের মধ্য থেকে ক্ষুর বিশিষ্ট কোন প্রাণী এবং দংশনকারী কোন প্রাণী জিবীত থাকবে না। সকল প্রানীই ধ্বংস হয়ে যাবে।
حدثنا عبد الرزاق
عن معمر عنن قتادة عن شهر بن حوشب
عن أسماء بنت يزيد الأنصارية قالت كان رسول
الله صلى الله عليه وسلم في بيتي فذكر الدجال فقال ان بين يديه ثلاث سنين سنة تمسك
السماء ثلث قطرها والأرض ثلث نباتها والثانية تمسك السماء ثلثي قطرها والأرض ثلثي
نباتها والثالثة تمسك السماء قطرها كله والأرض نباتها كله فلا يبقى ذات ظلف ولا ذات
ضرس من البهائم إلا هلكت
পৃষ্ঠা - ১৪৮২
হযরত ইবরাহীম ইবনে আবলা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বলা হত যে, দাজ্জালের অবির্ভাবের পূর্বে বাইসান নামক এলাকায় লাওয়ী ইবনে ইয়াকুব এর বংশধর হতে একজন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে। যার শরীরে তরবারী, ঢাল, নেযা, চাকু এর অস্ত্রের আকৃতি আঁকা থাকবে।
حدثنا محمد بن حمير عن إبراهيم بن عبلة قال
كان يقال بين يدي خروج الدجال يولد مولود ببيسان من سبط لاوي بن يعقوب في جسده
تمثال السلاح السيف والترس والنيزك والسكين
পৃষ্ঠা - ১৪৮৩
হযরত উমাইল আবনে হানী থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন যখন মানুষ দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যাবে, একটি প্রুপ এমন হবে যে, তারা আমানত আদায় করবে তাদের মধ্যে মুনাফেকী থাকবে না। আরকে গ্রুপ এমন হবে যে, তারা মুনাফেকী করবে, আমানত আদায় করবে না। অতপর যখন তারা উভয় গ্রুপ একত্র হয়ে যাবে, তখন তুমি ঐদিনই বা পরের দিন দাজ্জালকে দেখ। (দাজ্জালের অবির্ভাব হবে।)
حدثنا الوليد بن مسلم عن عبد
الرحمن بن يزيد
عن عمير بن هانىء قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صار
الناس في فسطاطين فسطاط إيمان لا نفاق فيه وفسطاط نفاق لا إيمان فيه فإذا هما
اجتمعا فانظر الدجال اليوم أو غد [ ا
]
পৃষ্ঠা - ১৪৮৪
হযরত ইবনে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন যে, রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দাজ্জালের ভয় করতেন এবং দাজ্জালের আলামত বা প্রকাশ্য নিদর্শন, আলামত বা গোপন নিদর্শন সমূহ ও দাজ্জালের আগমনের ভূমিকা সমুহ আলোচনা করতেন। এমনকি সভাষদবৃন্দ ধারণা করতো যে, দাজ্জাল তাদের উপর তাদের মধ্যথেকে খেজুর গাজ থেকে উথিত হবে। অতবা খেজুর গাছের বাহির থেকে তাদের উপর উথিত হবে। অতপর তিনি তার প্রয়োজনে গেলেন এবং ফিরে আসলেন। আর উপস্থিতবৃন্দদের মধ্যে দাজ্জালের উপস্থিতির ভয় ও তাদের ক্রন্দনের কারণে পরিবেশ কঠিন হয়ে উঠলো। অতপর তিনি তিনবার বললেন কি হলো? কোন জিনিস তোমাদেরকে কাঁদালো? তখন তারা বললো আপনি দাজ্জালের আলোচনা করেছেন। ( আর দাজ্জালের ) বিষয় নিকটবর্তী হয়েছে। এমনি আমরা ধারণা করেছি যে, দাজ্জাল আমাদের উপর উথিত। আর সে খেজুর গাছ থেকে আমাদর উপর বাহির হবে। অতপর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমার তোমাদের মধ্যে বর্তমান থাকা অবস্থায় যদি সে বাহির হয় তাহলে আমিই তাকে দলীল প্রমাণে প্রতিরোধ করবো। আর যদি আমার তোমাদের মাধ্যে অবর্তমান অবস্থায় সে বাহির হয় তাহলে প্রত্যেক মুমন নিজে দাজ্জালকে দলীল প্রমাণে প্রতিরোধ করবে। আর প্রত্যেক মুমিনের উপর আল্লাহ তা’লাই যথেষ্ঠ হবেন আমার স্থলাভিষিক্ত হিসাবে। দাজ্জালের একটি চক্ষু মিলানো (থাকবে না)। আরেকটি চক্ষূ থাকবে রক্ত মিশ্রিত। কোমন যেন গোলাপ।
حدثنا الحكم بن نافع عن سعيد بن
سنان عن أبي الزاهرية عن كثير بن مرة
عن ابن عمر رضى الله عنهما عن النبي
صلى الله عليه وسلم أنه تخوف الدجال وذكر من علاماته وأماراته ومقدمات أمره حتى ظن
الملأ أنه ثائر عليهم من بينهم من النخل أو خارج من النخل عليهم ثم قام لبعض شأنه
ثم عاد وقد اشتد تخوف من حضره وبكاؤهم
فقال مهيم ثلاثا ما الذي أبكاكم
قالوا ذكرت الدجال وقربت أمره حتى ظننا أنه ثائر علينا وإنه خارج من النخل
علينا
فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن يخرج وأنا فيكم فأنا حجيجه وإن
يخرج ولست فيكم فامرؤ حجيج نفسه والله خليفتي على كل مؤمن إحدى عينيه مطموسة
والأخرى ممزوجة بالدم كأنها الزهرة
পৃষ্ঠা - ১৪৮৫
হযরত আরতাত থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কুস্তুনতুনিয়া বিজীত হবে। অতপর তাদের নিকট দাজ্জালের অবির্ভাবের খবর আসবে। উক্ত খবরটা হবে ভুল। অতপর তারা তিনটি বিপদে অবস্থান করবে। অতপর তার প্রথম বছর আকাশ তার এক তৃতীয়অংশ বর্ষণ এবং যমীন তার এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন বন্ধ রাখবে। দ্বিতীয় বৎসর আকাশ দুই তৃতীয়াংশ বর্ষণ এবং যমীণ দুই তৃতীয়াংশ উৎপাদন বন্ধ রাখবে। আর শেষ তৃতীয় বৎসর আকাশ তার সমস্ত বর্ষন এবং যমীন তার সমুদয়ে উৎপাদন বন্ধ রাখবে। ফলে প্রত্যেক নখ ও দাঁত বিশিষ্ট প্রাণী ধ্বংশ হয়ে যাবে। দূভিক্ষ হবে। ফলে এমন হারে মৃত্যু হবে যে, প্রত্যেক সত্তরজনে দশ জনও জিবীত থাকবে না। আর মানুষ ইন্তেকিয়ার দিকস্থ জওফ পাহাড়ের দিকে ভেগে যাবে। আর দাজ্জালের অবির্ভাবের নিদর্শন হলো, পূর্ব দিকের বাতাশ যেটা গরমও হবেনা আবার ঠান্ডাও না। যে বাতাশটা আস্কান্দারিয়ার মূর্তিকে ধ্বংশ করে দিবে। পশ্চিম ও সিরিয়ার যাইতুন গাছকে মূল থেকে কেটে ফেলবে। ফুরাত সহ ঝর্ণা ও নদীর পানি শুকিয়ে ফেলবে। মানুষ তার কারণে দিন ও মাসের সময়ের হিসাব এবং চাঁদের সময়ের হিসাব।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح
عن
أرطاة قال تفتح القسطنطينية ثم يأتيهم الخبر بخروج الدجال فيكون باطلا ثم يقيمون
ثلث سبع سابوعا فتمسك السماء في تلك السنة ثلث قطرها وفي السنة الثانية ثلثيها وفي
الثالثة تمسك قطرها أجمع فلا يبقى ذو ظفر ولا ناب إلا هلك ويقع الجوع فيموتون حتى
لا يبقى من كل سبعين عشرة ويهرب الناس إلى جبال الجوف إلى أنطاكية ومن علامات خروج
الدجال ريح شرقية ليست بحارة ولا باردة تهدم صنم أسكندرية وتقطع زيتون المغرب
والشام من أصولها وتيبس الفرات والعيون والأنهار وينسألها مواقيت الأيام والشهور
ومواقيت الأهلة
পৃষ্ঠা - ১৪৮৬
হযরত সুলাইমান ইবনে ঈসা হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমার নিকট এখবর পৌছেছে যে, কস্তুনতুনিয়ার বিজয়ের পর দাজ্জারের অবির্ভাব হবে। (শুধু তাই নয়) মুসলমানদের কুস্তুনতুনিয়ায় তিন বছর চার মাস দশ দিন অবস্থানের পর দাজ্জালের অবির্ভাব হবে।
حدثنا يحيى بن سعيد عن سليمان بن عيسى قال
بلغني أن
الدجال يخرج بعد فتح القسطنطينية وبعدما يقيم المسلمون فيها ثلاث سنين وأربعة أشهر
وعشرا
পৃষ্ঠা - ১৪৮৭
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, একবার এক গ্রাম্য ব্যক্তি হযরত আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। অতপর সে এক পরিপূর্ণ মজলিসের নিকট আসলো। আর সেখানে আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু ও কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু বসা ছিলেন। আর তাদের দুজনের নিকট লোকজন ছিল। অতপর লোকটি বলল তোমাদের মধ্যে আবু দারদা কে? তারা বলল. ইনি। অতপর লোকটি বলল দাজ্জাল কখন বের হবে। তিনি বললেন আল্লাহ মাফ করুন, তোমার থেকে আমাদের পৃথক করুন। অতপর তিনি এটা তার উপর দুইবার আবৃতি করলেন। যখন লোকটি তার প্রশ্ন সম্পর্কে হযরত আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু এর অপছন্দ দেখল সে বলল হে আবু দারদা আল্লাহর কসম আমি আপনার নিকট আপনার মাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে আসি নাই। বরং আপনার জ্ঞান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। তিনি বলেন হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু তার দুই কাধে মারলেন। অতপর বললেন হে দাজ্জাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাকারী। যখন আকাশকে তুমি দেখবে কঠিন হয়ে যেতে যে আকাশ একটুও বৃষ্টি বর্ষণ করে না। যখন তুমি যমীনকে দেখবে শুকিয়ে যেতে যে, যমীন কিছুই উৎপন্ন করে না। এবং নদী ও ঝর্ণা ফিরে যাবে তার মূলের দিকে। আর বাগান হলুদবর্ণ ধারণ করবে। তখণ তুমি দাজ্জালের অপেক্ষা কর। তখন দাজ্জাল তোমার সকাল বেলায় বা সন্ধ্যা বেলায উপস্থিত হবে।
حدثنا بقية عن صفوان عن شريح بن عبيد
عن كعب أن أعرابيا
سأل عن أبي الدرداء فأقبل حتى أتى مجلس متم فإذا هو بأبي الدرداء وكعب قاعدين
وعندهما ناس
فقال أيكم أبو الدرداء
فقالوا هذا
فقال متى يخرج الدجال
قال اللهم غفرا ذرنا عنك فرددها عليه مرتين فلما رأى كراهيته عن ما سأله عنه
قال إني والله ما جئت يا أبا الدرداء لأسألك مالك ولكن جئت أسألك عن علمك
قال فضرب منكبه كعب ثم قال أيها السائل عن الدجال إذا ما رأيت السماء قد قحطت
فلم تمطر شيئا ورأيت الأرض قد أجدبت فلم تنبت شيئا ورجعت الأنهار والعيون إلى
عناصرها واصفر الريحان فانظر الدجال متى يصبحك أو يمسيك
পৃষ্ঠা - ১৪৮৮
হযরত আবু হুরাইরা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কায়সার অথবা হিরাকেল বিজীত না হওয়া পর্যন্ত কিয়ামাত সংগঠিত হবে না। সেখানে মুয়াযিযনগণ আযান দিবে। সেখানে তারা মাল ও ঢাল বন্টন করবে। তারা দুনিয়ার সর্বোচ্চ সম্পদশালী হয়ে যাবে। তখন তারা একটা চিৎকার শুনবে যে, তোমাদের পরিবারের মধ্যে তোমাদের পিছু নিয়েছে। তখন তাদের সাথে যা কিছু থাকবে তা সাথে নিবে। অতপর তারা আসবে ও তার সাথে যুদ্ধ করবে।
حدثنا عيسى بن
يونس عن إسماعيل بن أبي خالد عن أبيه
عن أبي هريرة قال لا تقوم الساعة حتى تفتح
مدينة قيصر أو هرقل ويؤذن فيها المؤذنون ويقتسمون الأموال فيها والأترسة فيقبلون
بأكثر مال على الأرض فيتلقاهم الصريخ إن الدجال قد خلفكم في أهليكم فيلقون ما
معهم فيجيئون فيقاتلونه
পৃষ্ঠা - ১৪৮৯
হযরত জামযা তার শাইখদের থেকে বর্ণনা করে বলেন যে, ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু একবার বাহির হলেন । অতপর এক আহবানকারী তাকে ডাকলেন। আর সে অস্পষ্ট ভাবে ডাকেন নাই। অতপর বললেন মালতাত হলো ফুরাতের তীর যা দাজ্জালের ভয়ে পালায়নকারী অবশিষ্ট মুমিনদের পথ। তাহলে তারা আমল দ্বারা কিসের অপেক্ষা করছে? তারা কি দাজ্জালের অবির্ভাবের অপেক্ষা করছে? তাহলে কতইনা খারাপ অপেক্ষাকারী। নাকি কিয়ামাতের অপেক্ষা করছে? আর কিয়ামাত হলো কঠিন ও তিক্ত। অতপর একটি পাথর ধরলেন পরক্ষণে বললেন মুমিনের ক্ষতিকারী কি বের হবে এই পাথর থেকে? অতপর তার নখের উপর একটি পাথর ধরলেন। আমার নখ থেকে এই পাথর থেকে যতটুকু ঘাটতি হয়েছে ।
حدثنا وكيع عن المسعودي عن حمزة قال حدثني
أشياخنا قالوا
خرج ابن مسعود فنادى نداء ولم يناجي نجاء فقال الملطاط شط الفرات
طريق بقية المؤمنين هراب الدجال فما ينتظرون بالعمل أخروج الدجال فبئس المنتظر أم
الساعة فالساعة أدهى وأمر ثم أخذ حصاة فقال ما خروجه بأضر على مؤمن ثم أخذ حصاة على
ظفرة مما نقص هذه الحصاة من ظفري
পৃষ্ঠা - ১৪৯০
হযরত কা’ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তারা কুস্তুনতুনিয়া বিজয় করবে। অতপর তাদের নিকট দাজ্জালের সংবাদ আসবে। ফলে তারা সিরিয়ারর দিকে বের হবে। অতপর যারা বের হয় নাই তারা তাকে পাবে। অতপর তুমি বল সে বিলম্ব করবে না এমনকি সে বাহির হবে।
حدثنا رديح بن عطية عن يحيى بن أبي
عمرو
عن كعب قال يفتتحون القسطنطينية فيأتيهم خبر الدجال فيخرجون إلى الشام
فيجدونه لم يخرج ثم قل ما يلبث حتى يخرج
من أين يكون مخرج الدجال