আল ফিতন

ما يستحب من خفة المال والولد في الفتن وما يستحب يومئذ من المال وغير

পৃষ্ঠা - ২১৪
হযরত আবুল মুহাল্লাবও আবু উসমান রাযি থেকে বর্নিত, তারা উভয়জন বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, যে লোক ফেৎনা কালীন উটের বহর লালন পালন করবে, কিংবা বিশাল সম্পদ গড়ে তুলবে গরীব কিংবা নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার ভয়ে, সে কিয়ামতের দিন আত্নসাৎকারী হিসেবে আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাৎ করবে।
حدثنا أبو المغيرة عن معان
بن رفاعة السلامي
عن أبي المهلب وأبي عثمان قالا قال رسول الله صلى الله عليه
وسلم من أبل في ذلك الزمان إبلا أو اتخذ كنزا أو غفارا مخافة الدوائر لقي الله
تعالى يوم القيامة خابيا غالا
পৃষ্ঠা - ২১৫
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, ফেৎনা কালীন হাওদা বিশিষ্ট একটি উট একলক্ষ বড় শহর থেকে উত্তম হবে।
حدثنا ابن وهب عن مسلمة بن علي عن قتادة عن
ابن المسيب
عن أبي هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ناقة
مقتبة يومئذ خير من دسكرة تقل مائة ألف
পৃষ্ঠা - ২১৬
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, ফেৎনা কালীন সর্বোত্তম সম্পদ হবে, উন্নতমানের অস্ত্র এবং সুস্থ সবল ঘোড়া। যার উপর আরোহন করে বান্দা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবে।
حدثنا ابن وهب عن سفيان عن سلمة
بن كهيل عن أبي الزعراء
عن عبد الله قال خير المال يومئذ سلاح صالح وفرس صالح
يزول عليه العبد أين ما زال
পৃষ্ঠা - ২১৭
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন অতি সত্ত্বর এমন এক যুগ আসবে যখন মুসলমানদের জন্য সর্বোত্তম সম্পদ হবে বকরির পাল, যার সাথে সেই মুনলমান পর্বতের উচু স্থানে অবস্থান করবে। যেখানে বৃষ্টি ও দানা পানির সু ব্যবস্থা থাকবে এবং সে লোক তার দ্বীন সহকারে যাবতীয় ফেৎনা থেকে পালিয়ে থাকতে পারবে।
حدثنا عبد الوهاب الثقفي عن يحيى بن سعيد قال
حدثنا عبد الرحمن ابن عبد الله بن أبي صعصعة عن أبيه
عن أبي سعيد الخدري رضى
الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال يوشك أن يكون خير المال امريء مسلم غنم
يتبع بها شعف الجبال ومواقع القطر يفر بدينه من الفتن
পৃষ্ঠা - ২১৮
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে হাদীস বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, ফেৎনার সময় সব চেয়ে নেককার মানুষ হচ্ছে ঐ লোক যে অনেক গুলো বকরী নিয়ে পর্বতের উচুঁ স্থানে চলে যায় এবং লোকজনের যাবতীয় ফেৎনা থেকে নিজেকে দুরে রাখে।
حدثنا محمد بن
الحارث عن محمد بن عبد الرحمن بن البيلماني عن أبيه
عن ابن عمر رضى الله عنهما
عن النبي صلى الله عليه وسلم قال أسعد الناس في الفتن رب شاء في رأس جبل معتزل عن
شرور الناس
পৃষ্ঠা - ২১৯
হযরত তাউস থেকে বর্নিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, ফেৎনা কালীন সর্বোত্তম মানুষ হচ্ছে, যে লোক তার ঘোড়ার লাগাম ধারন করে দুশমনের দিকে এগিয়ে যায় এবং দুশমনের অন্তরে ভয়ভীতির সঞ্চার করে আর নিজেও দুশমনকে ভয় পায়। তেমনি ভাবে ঐ লোক সর্বোত্তম, যে জনসমাগম স্থল ত্যাগ পূর্বক তার দায়িত্বে থাকা আল্লাহ তাআলার যাবতীয় হক আদায় করে যায়।
حدثنا ابن المبارك عن معمر عن ابن طاوس
عن أبيه قال قال
رسول الله صلى الله عليه وسلم خير الناس في الفتن رجل أخذ برأس فرسه يخيف العدو
ويخيفونه أو رجل معتزل يؤدي حق الله عليه
পৃষ্ঠা - ২২০
হযরত ইবনুল খায়সাম রাযি থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, ফেৎনা কালীন সর্বোত্তম লোক হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করতে গিয়ে গনীমতের মাল দ্বারা নিজের জিবিকা নির্বাহ করে। তেমনি ভাবে ঐ ব্যক্তি উত্তম, যে পর্বতের উচূ স্থানে আরোহন করে বকরীর মাধ্যমে অর্জিত আয় দ্বারা জীবন ধারন করে যায়।
قال معمر وحدثني ابن خثيم
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال خير الناس في الفتن رجل يأكل من فيء سيفه
في سبيل الله ورجل في رأس شاهقة يأكل من رسل غنمه
পৃষ্ঠা - ২২১
হযরত আবু ওয়ালিদ রহঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন হযরত সাহাল ইবনে হুনাইফ রাযিঃ এরশাদ করেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আন্তরিক হয়োনা। কেননা, আল্লাহর কসম! আমরা তাদের কোনো ব্যাপারে কখনো পুরোপুরি গ্রহন করবোবা। কিন্তু আমরা কেবলমাত্র সহজটাকেই প্রধান্য দিয়ে থাকি। অথচ তোমাদের এই নির্দেশের মাধ্যমে কেবল কঠিনতা ও মতানৈক্যই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। আমি আবু জান্দালের দিন এমন এক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, যদি আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সামনা সামনি হতে পারি তাহলে অবশ্যই সে সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করব।
حدثنا ابن المبارك
أخبرنا عيسى بن عمر حدثنا عمرو بن مرة عن أبي وائل قال
قال سهل بن حنيف أيها
الناس اتهموا رأيكم فإنا والله ما أخذنا بقوائمهم إلى أمر يقطعنا قط إلا أسهلن بنا
إلى أمر نعرفه إلا أمركم هذا فإنه لا يزداد إلا شدة ولبسا فإني رأيتني يوم أبي جندل
ولو أجد أعوانا على رسول الله صلى الله عليه وسلم لأنكرت
পৃষ্ঠা - ২২২
হযরত হাসান বসরী রহ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, কসম সেই সত্ত্বার যার হাতে আমার প্রান! আমার সাহাবায়ে কেরাম থেকে কিছু লোককে কিয়মতের দিন আমার সামনে পেশ করা হবে। তাদের দেখার সাথে সাথে আমি চিনতে পারব, তবে কিছুক্ষন পর আমার এবং তাদের মাঝে পর্দা সৃষ্টি হয়ে যাবে। এ অবস্থা দেখে আমি বলব, হে আমার রব! আমার সাহাবী, আমার সাহাবী! আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে জবাব আসবে, তাদের সম্বন্ধে তুমি জানোনা, তোমার পর তারা কেমন বেদআত ওকার্যক্রম আবিস্কার করেছিল।
حدثنا ابن
المبارك عن هشام بن حسان
عن الحسن قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم والذي
نفسي بيده ليرفعن لي يوم القيامة أقوام ممن صحبني حتى إذا رأيتهم وعرفتهم اختلجوا
دوني فأقول أي رب أصيحابي أصيحابي فيقول إنك لا تدري ما أحدثوا بعدك
পৃষ্ঠা - ২২৩
হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী তার বিরোধীতা কারীকে হত্যা করে থাকে এবং তাকে কেটে টুকরো টুকরো করে দীর্ঘ ছয়মাস পর্যন্ত পাত্রের মধ্যে রেখে পাকাতে থাকে। বর্ণনাকারী বলেন মাশরিক, মাগরিব বাসীরা এমন কতক দৃশ্য দেখতে পাবে যা এই উম্মতের মধ্যে রাসূলল্লাহ সাঃ এর পরে খোলাফাদের যুগে সংঘটিত হবে মর্মে বর্ণনা পাওয়া যায়।
حدثنا الحكم بن نافع عن جراح
عن أرطاة قال يقتل السفياني كل من عصاه وينشرهم
بالمناشير ويطبخهم بالقدور ستة أشهر
قال ويلتقي المشرقان والمغربان
عدة
ما يذكر من الخلفاء بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم في هذه الأمة
পৃষ্ঠা - ২২৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, মুসা আঃ এর উপদেষ্টাদের মত আমার পরেও কতক খলীফা আত্ন প্রকাশ করবে।
حدثنا عيسى بن يونس حدثنا مجالد بن سعيد عن الشعبي عن مسروق
عن عبد
الله بن مسعود رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم يكون بعدي من
الخلفاء عدة نقباء موسى
পৃষ্ঠা - ২২৫
হযরত জাবের ইবনে সামুরা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, খেলাফতের জিম্মাদারী কুরাইশের বারোজন খলীফার দায়িত্বে থাকা পর্যন্ত সেটা খুবই সম্মানিত ও সুচারু রুপে পরিচালিত হবে।
حدثنا أبو معاوية عن داود بن أبي هند عن الشعبي
عن جابر بن سمرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلىالله عليه وسلم لا يزال هذا
الأمر عزيزا إلى اثني عشر خليفة كلهم من قريس
পৃষ্ঠা - ২২৬
হযরত আবুত তোফাইল রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আমর আমার হাত ধরে বললেন, হে আমের ইবনে ওয়সিলা! কাব ইবনে লুআই এর বংশধর থেকে মোট বারোজন খলীফা হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা নিয়ে মারাত্নক বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে। এরপর কিয়ামত পর্যন্ত আর কোনো ইমামের উপর লোকজন ঐক্যমত পোষন করবেনা।
حدثنا يحيى بن سليم عن عبد
الله بن عثمان بن خثيم
عن أبي الطفيل قال أخذ عبد الله بن عمرو بيدي
فقال
يا عامر بن واثلة إثنا عشر خليفة من كعب بن لؤي ثم النقف والنقاف لن يجتمع أمر
الناس على إمام حتى تقوم الساعة
পৃষ্ঠা - ২২৭
হযরত তালহা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আওফ রহঃ বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, তখন আমরা সেখনে কয়েক জন কুরাইশ উপস্থিত ছিলাম, আমাদের প্রত্যেকে কাব ইবনে লুআই এর বংশধর থেকে ছিলাম। তিনি বলেন, হে বনু কাব! তোমাদের থেকে মোট বারোজন খলীফা রাষ্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করবেন।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن محمد بن
زيد بن مهاجر قال أخبرني طلحة بن عبد الله بن عوف قال
سمعت عبد الله بن عمر رضي
الله عنهما يقول ونحن عنده نفر من قريش كلنا من بني كعب بن لؤي فقال سيكون منكم يا
بني كعب إثنا عشر خليفة
পৃষ্ঠা - ২২৮
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযি থেকে বর্ণিত, একদিন তার সামনে বারোজন খলীফা এবং আমীরদের সম্বন্ধে আলোচনা করা হলে তিনি বলেন, আল্লাহর কসম!নিঃসন্দেহে এর পর থেকে সিফাহ, মানসূর এবং মাহদী খলীফা হবেন। তাদের পরে এভাবে চলতে চলতে হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আঃ পর্যন্ত বহাল থকবে।
حدثنا الوليد بن مسلم وغيره عن عبد الملك بن
أبي غنية حدثنا المنهال عن سعيد بن جبير
عن ابن عباس رضي الله عنهما أنهم ذكروا
عنده إثنا عشر خليفة ثم الأمير
فقال ابن عباس والله إن منا بعد ذلك السفاح
والمنصور والمهدي يدفعها إلى عيسى بن مريم
পৃষ্ঠা - ২২৯
হযরত হোজাইফা ইবনুল ইায়ামান রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত ওসমান রাযিঃ এরপর থেকে বনু উমাইয়ার বারোজন বাদশাহ দায়িত্ব পালন করবেন। তাকে বলা হলো তারা তো খলীফা হিসেবে থাকবেন, জবাবে তিনি বললেন, না বরং তারা বাদশাহ হবেন।
حدثنا رشيدين بن سعد عن ابن
لهيعة عن خالد بن أبي عمران
عن حذيفة بن اليمان رضي الله عنه قال يكون عثمان
رضي الله عنه إثنا عشر ملكا من بني أمية
قيل له خلفاء
قال بل ملوك
পৃষ্ঠা - ২৩০
হযরত সারজ আল ইয়ারমূকী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি তাওরাতে একথা পেয়েছি যে, নিশ্চয় এই উম্মতের মধ্যে বারো জন জিম্মাদার তাদের জিম্মাদারী পালন করবেন। তাদের একজন নবী হবেন। এভাবে তাদের সময় ফুরিয়ে আসলে তারা গুমরাহী ও পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত হয়ে যাবে এবং তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে মারামারি ওযুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
حدثنا عبد الصمد بن عبد الوارث عن حماد بن سلمة عن يعلى بن عطاء عن بحير بن أبي
عبيدة
عن سرج اليرموكي قال أجد في التوراة أن هذه الأمة إثنا عشر ربيا أحدهم
نبيهم فإذا وفت العدة طغوا وبغوا ووقع بأسهم بينهم
পৃষ্ঠা - ২৩১
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা হযরত ইসমাঈল আঃ এর বংশধর থেকে সর্বোত্তম হচ্ছেন, হযরত আবু বকর রাযিঃ, হযরত ওমর রাযিঃ, এবং হযরত ওসমান রাযিঃ।
حدثنا ضمرة عن ابن
شوذب عن أبي المنهال عن أبي زياد
عن كعب قال إن الله تعالى وهب لإسماعيل عليه
السلام من صلبه اثني عشر قيما أفضلهم وأخيرهم أبو بكر وعمر وعثمان رضي الله عنهم
পৃষ্ঠা - ২৩২
হযরত নাশু রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত কাব রহঃ কে এই উম্মতের কতক বাদশাহ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, আমি তাওরাত নামক আনমানী কিতাবে মোট বারোজন জিম্মাদারের কথা পেয়েছি। যাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পর খলীফা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
حدثنا أبو المغيرة عن ابن عياش قال حدثنا الثقات من مشايخنا
أن
نشوعا سأل كعبا عن عدة ملوك هذه الأمة
فقال أجد في التوراة إثني عشر ربيا
ما يذكر من الخلفاء بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم
পৃষ্ঠা - ২৩৩
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, এই উম্মতের প্রথম ব্যক্তি হবেন, নবুওয়ত ও রহমতের সাথে সম্পৃক্ত। এরপর হবে খেলাফত এবং রহমতের সাথে সংশ্লিষ্ট, অতঃপর পরস্পর বিরোধী বাদশাহগন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকারী হবেন। তাদের প্রাথমিক অবস্থায় পরস্পর বিরোধী হলেও রহমত থাকবে। অতঃপর টেকো মাথার অত্যাচারী শাসকের আত্নপ্রকাশ হবে। যাদের মধ্যে কোনো আন্তরিকতা থাকবেনা। পরস্পরের বিরুদ্ধে মারামারি হানাহানিতে লিপ্ত থাকবে। একে অপরের হাত পা কেটে নিবে এবং সম্পদ ছিনিয়ে নিতে থাকবে।
حدثنا بقية
بن الوليد وعبد القدوس عن صفوان بن عمرو عن عبد الرحمن بن جبير بن نفير
عن أبي
عبيدة بن الجراح رضي الله عنه قال أحدهما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أول هذه
الأمة نبوة ورحمة ثم خلافة ورحمة ثم ملكا عضوضا وقال أحدهما عاض وفيه رحمة ثم جبروت
صلعاء ليس لأحد فيها متعلق تضرب فيها الرقاب وتقطع فيها الأيدي والأرجل وتؤخذ فيها
الأموال
পৃষ্ঠা - ২৩৪
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, নিঃসন্দেহে উক্ত দায়িত্বটি নবুওয়ত ও রহমত হিসেবে আত্নপ্রক্শ পেয়েছে, অতঃপর খেলাফত ও রহমত হিসেবে পরিবর্তন হয়েছে। এরপর সেটা পরস্পর বিরোধীতাকারী বাদশাহদের দায়িত্বে আসলেও পরবর্তী জালেমও অনর্থক কাজ হিসেবে আখ্যায়িত হবে।
حدثنا ابن وهب عن ابن لهيعة عن خالد بن يزيد عن سعيد بن أبي هلال
عن حذيفة بن اليمان رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إن هذا
الأمر بدأ نبوة ورحمة ثم يكون خلافة ورحمة ثم يكون ملكا عضوضا يشربون الخمور
ويلبسون الحرير ويستحلون الفروج وينصرون ويرزقون حتى يأتيهم أمر الله
পৃষ্ঠা - ২৩৫
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোজাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসলূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, নিঃসন্দেহে উক্ত জিম্মাদারী নবুওয়ত ও রহমত হিসেবে শুরু হয়েছিল, অতঃপর খেলাফত এবং রহমত হিসেবে পরিবর্তন হবে। এরপর সেটা পরস্পর বিরোধীতা কারী বাদশাহ হিসেবে বহাল থাকবে। যারা মদ পান করবে, রেশমী পোশাক পরিধান করবে, যিনা ইত্যাদি বৈধ মনে করবে। এভাবে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে রিযিক পেতে থাকবে এবং সেটা কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।
حدثنا يحيى بن سعيد العطار عن أيوب عن قتادة عن أبي ثعلبة
عن أبي عبيدة بن
الجراح رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أول هذه الأمة نبوة
ورحمة ثم خلافة ورحمة ثم ملكا عضوضا ثم تصير جبرية وعبثا
পৃষ্ঠা - ২৩৬
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন দ্বিতীয় খলীফা ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিঃ এরশাদ করেন, যে দিন থেকে আল্লাহ তাআলা উক্ত জিম্মাদারী অর্পন করেছেন সেটা শুরু হয়েছে, নবুওত ও রহমতের মাধ্যমে। পরবর্তীতে সেটা রহমত ও সুলতানে পরিনত হয়। এরপর সেটা বাদশাহ ও রহমতে পরিবর্তন হয়, আবারো খেলাফত ও রহমতে পরিনত হয়, এরপর সুলতান ও রহমতে পৌছে যায়, অতঃপর বাদশাহ ও রহমতে প্রবর্তন হবে। এরপর এমন কতক ন্যাড়া মাথা বিশিষ্ট জালেম বাদশাহ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহন করবে যারা গাধার ন্যায় একে অপরকে কামড়াতে থাকবে এবং আক্রমন করবে।
حدثنا الحكم
بن نافع البهراني أخبرنا سعيد بن سنان عن أبي الزاهرية عن كثير بن مرة أبي شجرة
الحضرمي
عن ابن عمر قال قال عمر بن الخطاب رضي الله عنهما إن الله بدأ هذا
الأمر يوم بدأه نبوة ورحمة ثم يعود خلافة ورحمة ثم سلطانا ورحمة ثم ملكا ورحمة ثم
يعود خلافة ورحمة ثم سلطانا ورحمة ثم ملكا ورحمة ثم جبروة صلعاء يتكادمون عليها
تكادم الحمير
পৃষ্ঠা - ২৩৭
হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আবু আমর আশ শায়বানী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত কাব রহঃ কে বলতে শুনেছি, এই উম্মতের প্রথম ভাগে নবুওয়ত এবং রহমত থাকবে, অতঃপর সেটা খেলাফত এবং রহমতে প্রবর্তন হবে। এরপর সুলতান এবং রহমতের সাথে সংশ্লিষ্ট জিম্মাদার থাকলেও পরবর্তীতে জালেম বাদশাহ ক্ষমতসীন হবে। এ রকম বাদশাহ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করলে জমিনের ভিতরের অংশ উপরের অংশ থেকে উত্তম হবে।
حدثنا ضمرة عن ابن شوذب عن يحيى بن أبي عمرو السيباني قال
سمعت كعبا يقول أول هذه الأمة نبوة ورحمة ثم خلافة ورحمة ثم سلطان ورحمة ثم ملك
جبرية فإذا كان ذلك فبطن الأرض يومئذ خير من ظهرها
পৃষ্ঠা - ২৩৮
হযরত কাব রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এ উম্মতের জন্য এমন কতক খলীফা নিযুক্ত থাকবে, যারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত খেলাফতের জিম্মাদারী পালন করবে। তারা লোকজনকে যাবতীয় রসদ পত্র সরবরাহ করবে এবং কর ও জিযিয়া গ্রহন করবে। এই অবস্থা হযরত ঈসা আঃ এর আগমন পর্যন্ত চলবে। তিনি তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন। অতঃপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হাত ছাড়া হয়ে যাবে।
حدثنا الحكم بن نافع
أخبرنا صفوان بن عمرو عن شريح بن عبيد
عن كعب قال لا يزال لهذه الأمة خليفة
يجمعهم وإمارة قائمة ويعطى الرزق والجزية حتى يبعث عيسى بن مريم عليه السلام ثم
يكون هو يجمعهم ثم تنقطع الإمارة
পৃষ্ঠা - ২৩৯
হযরত আবু নোমান আবু উবাইদ এবং বশীর ইবনে সাঈদ রহঃ থেকে বর্ণিত, তারা উভয়জন বলেন, প্রথমতঃ নবুওয়ত ও রহমত হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা চলতে থাকবে, অতঃপর সেটা খেলাফত এবং রহমত হিসেবে পরিবর্তন হবে। অতঃপর এমন কতক বাদশাহর আত্নপ্রকাশ হবে, যারা পরস্পরের বিরোধীতায় লিপ্ত হবে। তারা বিভিন্ন ধরনের জুলুস ও বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়বে। এ সকল বাদশাহ শরাব পান ও রেশমী কাপড় পরিধান করাকে বৈধ মনে করার পাশাপাশি যিনাকেও হালাল জানবে। এরপরও তারা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে রিযিক ও সাহায্য প্রাপ্ত হবে।
حدثنا هشيم عن العوام بن حوشب عن حبيب
بن أبي ثابت
أن أبا عبيدة وبشير بن سعيد أبا النعمان تذاكرا فقالا تكون
نبوة ورحمة ثم خلافة ورحمة ثم ملكا عضوضا وجبرية وفساد يستحلون الفروج ويشربون
الخمور ويلبسون الحرير وهم مع ذلك ينصرون ويرزقون
معرفة الخلفاء من الملوك