আল ফিতন

তিনি বলেন, বনু হাশেমের একজন লোক রাজত্বের মালিক হওয়ার সাথেসাথে বনু উমাইয়ার এক লোককে হত্যা করবে। এভাবে চলতে চলতে সামান্য সংখ্যক লোক বাকি থাকবে। যাদেরকে হত্যা করা হবেনা। ঠিক তখনই বনু উমাইয়ার এক লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং সে প্রতি জনের বিপরীত দুইজন করে হত্যা করবে। ফলে নারী ব্যতীত কোনো পুরুষই আর বাকি থাকবেনা। অতঃপর মাহদী আঃ এর আগমন হবে।

খালেদ ইবনে মা’দান থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানীর আবির্ভাব ঘটলে তার হাতে তিনটি বাশের কঞ্চি থাকবে। এগুলো দ্বারা কাউকে আঘাত করার সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।

আবু বকর ইবনে আবু মারিয়ম রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি তার কতিপয় শেখ থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, সুফিয়ানীকে স্বপ্নে দেখানো হবে যে, অমুক স্থানের দিকে তুমি বের হও। ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সে কাউকে দেখতে পাবে। দ্বিতীয় দিনও এভাবে দেখানো হবে, তৃতীয়বার তাকে বলা হবে, দাড়াও এবং বের হয়ে দেখ তোমার দরজায় কে দাড়িয়ে, তৃতীয় বার স্বপ্নে দেখার পর সে দৌড়দিয়ে ঘরের দরজায় গিয়ে দেখতে পাবে সাত/নয়জন লোক একটি পতাকা নিয়ে অপক্ষা করছে। তারা তাকে দেখে বলবে, আমরা আপনার সাথী হতে চাই। অতঃপর তিনি তাদেরকে নিয়ে বের হয়ে গেলেন, অন্যদিকে ওয়াদিউল ইয়াবিছ নামক গ্রামের অনেক লোক তার অনুস্বরণ করতে লাগল। এক পর্যায়ে দিমাশকের রাজা তার মোকাবেলার জন্য বের হয়ে আসবে এবং তাদের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যখন তিনি তার ঝন্ডার দিকে দৃষ্টি দেয়ার সাথে সাথে পরাজিত হয়ে যায়। সেদিন দিমাশকের রাজা হবেন বনুল আব্বাছের জিম্মাদার।

বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু উবাদা ইবনুল জাররাহ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, দুনিয়া ন্যায়পরায়নতার সহিত চলতে থাকবে। এক পর্যায়ে সর্বপ্রথম বনু উমাইয়ার এক লোক তার মধ্যে মারাত্নক ভাবে আঘাত করবে।

আবু কাবীল রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী হচ্ছে নিকৃষ্ঠতম বাদশাহদের অন্যতম। যে অনেক ওলামায়ে কেরাম এবং বুদ্ধি জীবিদের হত্যা করবে। অথচ তাদের মাধ্যমে সে সাহায্য প্রার্থনা করতো। যে লোকই তার বিরোধীতা করতো তাকেই হত্যা করতো।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যে জনৈক লোক তার নিতম্ব হেলিয়ে নাচতে থাকবে। যে লোক কানা চোখের অধিকারী। তার যুগে যুদ্ধ, হত্যা বন্দি ইত্যাদি ব্যাপক আকার ধারন করবে। তিনি হচ্ছে, সেই লোক যে মদীনাতে আক্রমন করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করবে।

মুহাম্মদ ইবনে জাফর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিঃ এরশাদ করেন, খালেক ইবনে ইয়াযীদ ইবনে মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সন্তানদের থেকে একজন লোক তার সাতজন সাথী সহ প্রকাশ পাবে। তাদের একজনের হাতে থাকবে চিহ্নিত একটি ঝান্ডা, যেটা দেখে সকলে বুঝতে পারবে যে, সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তার সাথে লোকজন প্রায় ত্রিশ মাইল পর্যন্ত ভ্রমন করবে। যারাই উক্ত ঝান্ডা দেখবে তারাই পরাজয় বরন করবে।

হযরত আবু ইসহাক রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হিশামের যুগে তোমরা সুফিয়ানীকে দেখতে পাবেনা। এক পর্যায়ে পশ্চিমারা তোমাদের প্রতি ধেয়ে আসবে। যখনই তুমি সেটা দেখবে তখন দিমাশকের মিম্বরে গিয়ে ঠাই দাড়িয়ে থাক। ঐ মুহূর্তে পশ্চিমারা হামলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

হযরত তাবী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখনই শাম দেশে বায়দা নামক স্থানের পূর্বে কোনো বিদ্রোহ প্রকাশ পাবে প্রথম সেটা সুফিয়ানীকে গ্রাস করবে। এক পর্যায়ে হাদীস বর্ননাকারী লাইছ বলেন, উক্ত বিদ্রোহ তাবরিয়া নামক স্থানেও দেখা দিবে ফলে আমি দ্রুত গতিতে জাগ্রত হয়ে যাই এবং তার জন্য পাখার ব্যবস্থা করি হঠাৎ বুঝতে পারলাম যে, মারাত্নক ও ভয়ানক একটা রাত্র ছিল।

হযরত ইয়যূদ ইবনে আবযু হবীব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, সুফিয়ানীর আগমন হবে, সাইত্রিশ হিজরীর মধ্যে। তার রাজত্বের স্থায়ীত্ব হবে আঠারো মাস। আর যদি তার আগমন উনচল্লিশ হিজরীতে হয় তাহলে তার রাজত্বের স্থায়ীত্ব হবে মাত্র নয় মাস।

হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগে যুদ্ধ-বিগ্রহ এত ব্যাপক আকার ধারন করবে, যদ্বারা প্রত্যেক জাতি মনে করবে তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।