পৃষ্ঠা - ৮৮২২
আমি আবূ হাতেম ও আবূ ঝুরআ কে দেখেছি তারা ইমাম বুখারীর কাছে বসেন এবং তিনি যা বলেন তা শুনেন। কিন্তু ইমাম মুসলিম এই স্তরে পৌছতে পারেনি। তিনি মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াইয়া আয-যুহলী থেকে অনেক অনেক বড় আলেম ছিলেন। তিনি দ্বীনদার মহৎ ব্যক্তি ছিলেন। সবকিছু ভালো ভাবে জানতেন।
কেউ বলেন : আমি দেখেছি, মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াইয়া আয-যুহলী ইমাম বুখারীর কাছে আসমায়ে রিজাল, তাদের কুনিয়াত ও হাদীসের ইলাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতেন। আর ইমাম বুখারী তিরের মত উত্তর দিয়ে যাচ্ছেন। কেমন যেন তিনি সুরা ইখলাছ তেলাওয়াত করছেন।
আহমাদ ইবনে হমাদুন আল-কছ্ছার বলেন : আমি ইমাম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ কে দেখেছি যে, তিনি ইমাম বুখারীর কাছে এসে ইমাম বুখারীর কপালে চুমা দিছেন। অতঃপর বললেন : হে উস্তাদের উস্তাদ, হে মুহাদ্দিসদের সর্দার, হে ইলালে হাদীসের ডাক্তার ! আমাকে অনুমতি দিন, আপনার পায়ে চুমা দিই। তারপর তাকে মজলিসের কাফ্ফারার হাদীস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তখন তিনি ঐ হাদীসের সমাস্যাগুলো বললেন। তারপর যখন তার প্রয়োজন শেষ হল তখন ইমাম মুসলিম বলেন : হিংসুক ছাড়া আর কেউ আপনার সাথে শত্রুতা পোষন করতে পারে না। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আপনার মত দুনিয়াতে কেহ নেই।
ইমাম তিরমিযি বলেন : ইলালে হাদীস, ইতিহাস এবং হাদীসের সনদের ক্ষেত্রে ইমাম বুখারীর থেকে জ্ঞানী কাউকে আমি ইরাকেও দেখিনি খেরাসানেও না। আমরা একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে মুনিরের কাছে বসে ছিলাম। তখন তিনি ইমাম বুখারীর জন্য দুআ করেছিলেন যে, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে এই উম্মতের জন্য অলংকার বানাক। তার দুআ কবুল হয়েছে।
ইবনে খুজাইমা বলেন : আসমানের নিচে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস সম্পর্কে বেশি জানে এবং বেশি মুখস্ত মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল বুখারীর থেকে বেশি কাউকে দেখিনি।
ইমাম বুখারী রহ. এর হিফযে হাদীস, মজবুত ইলম, ফিকহ, খোদভিতি, পরহেযগারিতা, ইলমী বিষয়ে গভীর বুৎপত্তি ইত্যাদি বিষয়ে ইমামগণ ইমাম বুখারী সম্পর্কে যে সমস্ত প্রশংসামূলক উক্তি করেছে তা যদি লিখতে শুরু করি তাহলে এখানে আলোচনা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে। আমরা এ কিতাবে বিভিন্ন যামানার ঘটানাবলি বর্ণনা করছি। এ জন্য এখানে সংক্ষেপে এটুকু বলা হল। তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আল্লাহ তায়ালার সাহায্যে সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যাগ্রেহ্নর শুরুতে করা হয়েছে।
Translator: asayeedbd
___________________________________
أَبَا حَاتِمٍ وَأَبَا زُرْعَةَ يَجْلِسَانِ إِلَيْهِ يَسْتَمِعَانِ مَا يَقُولُ، وَلَمْ يَكُنْ مُسْلِمٌ يَبْلُغُهُ، وَكَانَ أَعْلَمَ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى الذُّهْلِيِّ بِكَذَا وَكَذَا، وَكَانَ دَيِّنًا فَاضِلًا يُحْسِنُ كُلَّ شَيْءٍ. وَقَالَ غَيْرُهُ: رَأَيْتُ مُحَمَّدَ بْنَ يَحْيَى الذُّهْلِيَّ يَسْأَلُ الْبُخَارِيَّ عَنِ الْأَسَامِي وَالْكُنَى وَالْعِلَلِ، وَهُوَ يَمُرُّ فِيهِ كَالسَّهْمِ، كَأَنَّهُ يَقْرَأُ: {قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ} [الإخلاص: 1] .
وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَمْدُونَ الْقَصَّارُ: رَأَيْتُ مُسْلِمَ بْنَ الْحَجَّاجِ جَاءَ إِلَى الْبُخَارِيِّ فَقَبَّلَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، وَقَالَ: دَعْنِي حَتَّى أُقَبِّلَ رِجْلَيْكَ يَا أُسْتَاذَ الْأُسْتَاذِينَ، وَسَيِّدَ الْمُحَدِّثِينَ، وَطَبِيبَ الْحَدِيثِ فِي عِلَلِهِ. ثُمَّ سَأَلَهُ عَنْ حَدِيثِ كَفَّارَةِ الْمَجْلِسِ، فَذَكَرَ لَهُ عِلَّتَهُ، فَلَمَّا فَرَغَ قَالَ مُسْلِمٌ: لَا يُبْغِضُكَ إِلَّا حَاسِدٌ، وَأَشْهَدُ أَنْ لَيْسَ فِي الدُّنْيَا مِثْلُكَ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَمْ أَرَ بِالْعِرَاقِ وَلَا بِخُرَاسَانَ فِي مَعْنَى الْعِلَلِ وَالتَّارِيخِ وَمَعْرِفَةِ الْأَسَانِيدِ أَعْلَمَ مِنَ الْبُخَارِيِّ. وَكُنَّا يَوْمًا عِنْدَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُنِيرٍ، فَقَالَ لِلْبُخَارِيِّ: جَعَلَكَ اللَّهُ زَيْنَ هَذِهِ الْأُمَّةِ. قَالَ التِّرْمِذِيُّ: فَاسْتُجِيبَ لَهُ فِيهِ.
وَقَالَ ابْنُ خُزَيْمَةَ: مَا رَأَيْتُ تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ أَعْلَمَ بِحَدِيثِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَحْفَظَ لَهُ مِنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيِّ. وَلَوْ ذَهَبْنَا نُسَطِّرُ مَا أَثْنَى عَلَيْهِ الْأَئِمَّةُ فِي حِفْظِهِ وَإِتْقَانِهِ وَعِلْمِهِ وَفِقْهِهِ وَوَرَعِهِ وَزُهْدِهِ وَتَبَحُّرِهِ لَطَالَ عَلَيْنَا، وَنَحْنُ عَلَى عَجَلٍ مِنْ أَجْلِ الْحَوَادِثِ، وَقَدْ ذَكَرْنَا ذَلِكَ مَبْسُوطًا فِي أَوَّلِ شَرْحِ " الصَّحِيحِ "، وَاللَّهُ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى هُوَ الْمُسْتَعَانُ.