পৃষ্ঠা - ৮৭৯৩
এ সালে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল-মুখাররিমী ও মুআম্মিল ইবনে ইহাব মৃত্যু বরন করেন।
আবূল হাসান আলী আল-হাদী
নাম ও বংশ : ইবনে মুহাম্মাদ আল-জাওয়াদ ইবনে আলী আর-রেজা ইবনে মুসা আল-কাযেম ইবনে জা’ফার আস-সাদেক ইবনে মুহাম্মাদ আল-বাকের ইবনে আলী যাইনুল আবিদীন ইবনে হুসাইন শহীদ ইবনে আলী ইবনে আবূ তালেব। যিনি বার ইমামের একজন ছিলেন। হুসাইন ইবনে আলী আল-আসকারীর পিতা ছিলেন। যাকে মূর্খ, বাতিল গোমরাহ ফেরকারা মুনতাজির উপাধি দিছিল।
আবূল হাসান আলী আল-হাদী বড় মুত্তাকী পরহেজগার ছিলেন। মুতাওয়াক্কিল তাকে সামাররায় পাঠিয়ে ছিলেন। সেখানে বিশ বছর থেকেও কয়েক মাস বেশি অবস্থান করেন। ঐখানে এ বছর ইন্তেকাল করেন।
একদা খলীফা মুতাওয়াক্কিলের কাছে কেউ বলল যে, আবূল হাসান আলী আল-হাদীর বাড়িতে অনেক অস্ত্র মানুষের অনেক চিঠি আছে (সে যে কোন সময় বিদ্রহ করার আশাংঙ্খা আছে)। খলীফা তার বাড়িতে অতর্কিত হামলা করার জন্য কিছু লোক পাঠান। তারা যেয়ে দেখল, পুরাতন একটা জুব্বা পরে কিবলা মূখী হয়ে খালি জমিনের উপর বসে আছে। লোকেরা তাকে ঐ অবস্থায় গ্রেফতার করে খলীফার সামনে নিয়ে আসল। তখন তিনি মদ পানে মশগুল ছিলেন। তাকে দেখে খলীফা অনেক ইজ্জত সম্মান করেন। তাকে নিজের পাশে বসালেন। খলীফার হাতে যে মদের পিয়ালা ছিল তা তাকে পান করার জন্য দিলেন। তখন তিনি বললেন : হে আমীরুল মুমিনীন, আমার শরিরে কখনো মদ প্রবেশ করেনি। আমাকে ক্ষমা করবেন, এ ক্ষেত্রে আমাকে বাধ্য করেন না। তাকে আর বাধ্য করলেন না। অতঃপর খলীফা তাকে বলল কিছু কবিতা শুনান। তখন তিনি আবৃতি করেন। যার অর্থ-
# মানুষ পাহাড়ের চুড়াই রাত যাপন করে এবং বড় বীর বাহদুর তাকে পাহারা দেয়। তখন সে ভাবে তার কোন কিছুই হবে না। কিন্তু বাস্তবতা হল পাহাড়ের চুড়া তার কোন কাজে আসবে না। তাকে রক্ষা করতে পারবে না।
# বড় ইজ্জত ওয়ালা ও সম্মানী হওয়ার পরেও তাকে তার আবাসস্থল থেকে বের করা হয়েছে। এরপর তাকে গর্তে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কত খারাপ অবস্থানে তাকে নামানো হয়েছে।
# কবরে দাফন করার পর তাকে ডেকে বলা হবে। কোথায় শাহী সিংহাসন, শাহী মুকুট ও শাহী পোশাক।
Translator: asayeedbd
___________________________________
عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيُّ. وَمُؤَمِّلُ بْنُ إِهَابٍ.
وَأَمَّا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيٌّ الْهَادِي.
فَهُوَ ابْنُ مُحَمَّدٍ الْجَوَادِ بْنِ عَلِيٍّ الرِّضَا بْنِ مُوسَى الْكَاظِمِ بْنِ جَعْفَرٍ الصَّادِقِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْبَاقِرِ بْنِ عَلِيٍّ زَيْنِ الْعَابِدِينَ بْنِ الْحُسَيْنِ الشَّهِيدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَحَدُ الْأَئِمَّةِ الِاثْنَيْ عَشَرَ، وَهُوَ وَالِدُ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ الْعَسْكَرِيِّ الْمُنْتَظَرِ عِنْدَ الْفِرْقَةِ الضَّالَّةِ الْجَاهِلِيَّةِ الْكَاذِبَةِ الْخَاطِئَةِ.
وَقَدْ كَانَ عَابِدًا زَاهِدًا، نَقَلَهُ الْمُتَوَكِّلُ إِلَى سَامَرَّا فَأَقَامَ بِهَا أَزْيَدَ مِنْ عِشْرِينَ سَنَةً بِأَشْهُرٍ، وَمَاتَ بِهَا فِي هَذِهِ السَّنَةِ.
وَقَدْ ذُكِرَ لِلْمُتَوَكِّلِ أَنَّ بِمَنْزِلِهِ سِلَاحًا وَكُتُبًا كَثِيرَةً مِنَ النَّاسِ فَأَرْسَلَ فَكَبَسَهُ فَوَجَدُوهُ جَالِسًا مُسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةِ، وَعَلَيْهِ مِدْرَعَةٌ مِنْ صُوفٍ وَهُوَ عَلَى بَسِيطِ الْأَرْضِ لَيْسَ دُونَهَا حَائِلٌ فَأَخَذُوهُ كَذَلِكَ فَحَمَلُوهُ إِلَى الْمُتَوَكِّلِ وَهُوَ عَلَى شَرَابِهِ، فَلَمَّا مَثُلَ بَيْنَ يَدَيْهِ أَجَلَّهُ وَعَظَّمَهُ وَأَجْلَسَهُ إِلَى جَانِبِهِ وَنَاوَلَهُ الْكَأْسَ الَّذِي فِي يَدِهِ فَقَالَ: يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ إِنَّهُ لَمْ يُخَالِطْ لَحْمِي وَدَمِي قَطُّ، فَأَعْفِنِي مِنْهُ. فَأَعْفَاهُ ثُمَّ قَالَ لَهُ: أَنْشِدْنِي شِعْرًا. فَأَنْشَدَهُ:
بَاتُوا عَلَى قُلَلِ الْأَجْبَالِ تَحْرُسُهُمْ ... غُلْبُ الرِّجَالِ فَمَا أَغْنَتْهُمُ الْقُلَلُ
وَاسْتُنْزِلُوا بَعْدَ عِزٍّ عَنْ مَعَاقِلِهِمْ ... فَأُودِعُوا حُفَرًا يَا بِئْسَ مَا نَزَلُوا
نَادَاهُمْ صَارِخٌ مِنْ بَعْدِ مَا قُبِرُوا ... أَيْنَ الْأَسِرَّةُ وَالتِّيجَانُ وَالْحُلَلُ