হযরত সারিয়্যী আস-সাকতী রহ. এর আলোচনা।
তিনি হলেন সারিয়্যী ইবনে মুগাল্লিস আবুল হাসান আস-সাকতী বাগদাদী। যিনি একজন বড় সুফী বুযুর্গ ছিলেন। হযরত মা’রুফ কারখী রহ. এর ছাত্র ছিলেন। তিনি হুশাইম, আবূ বকর ইবনে আইয়াশ, আলী ইবনে গুরাব, ইয়াহইয়া ইবনে ইয়ামান, ইয়াযিদ ইবনে হারুন আরে অনেক মুহাদ্দীস থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তার অনেক ছাত্র ছিল। তারা ভাগিনা জুনাইদ ইবনে মুহাম্মাদ, আবুল হাসান আন-নুরী, মুহাম্মাদ ইবনে ফয্ল ইবনে জাবের আস-সাকতী আরো অনেকে। সবাই তার থেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
তার একটা দোকান ছিল যাতে তিনি ব্যাবসা করতেন। এক দিনের ঘটনা : এক বাদি তার দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে বাদির কাছে একটা পাত্র ছিল। পাত্রটা ভেঙ্গে গেল। সে ঐ পাত্রে তার মুনিবের জন্য কিছু কেনার জন্য এসেছিল। তখন পাত্রটা ভাঙ্গার কারণে ঐ বাদি কাঁদছিল। তাকে দেখে সারিয়্যী রহ. তাকে কিছু পয়সা দিলেন। যা দিয়ে সে আরেকটা পাত্র কিনতে পারে। বাদির সাথে তার এ ব্যবহার তার উস্তাদ মা’রুফ রহ. দেখছিলেন। তখন তার উস্তাদ দুআ করলেন যে, আল্লাহ তায়ালা তোমার কাছে দুনিয়া তুচ্ছ করে দিক।
সারিয়্যী রহ. বলেন একদা ঈদের দিন আমি পথ চলছি। হটাৎ মা’রুফ কারখী কে দেখি। তার সাথে একটা খুব গরিব ছোট ছেলে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম আপনার সাথে এ বাচ্চা কেন? তিনি উত্তর দিলেন, দেখলাম কিছু ছেলে আখরোট নিয়ে খেলছে। আর পাশে এ ছেলেটি মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে। আমি তাকে বললাম : তোমার কি হয়েছে? খেলছ না কেন? ছেলেটি উত্তর দিল : আমি এতিম, আমার কোন পয়সা নেই। যা দিয়ে আমি আখরোট কিনে খেলব। তাই আমি তার হাত ধরে নিয়ে আসলাম। তাকে কিছু বীচি জমা করে দিব। যা দিয়ে সে আখরোট কিনতে পারে। ফলে সে আনন্দিত হবে। সারিয়্যী রহ. বলেন, আমি বললাম : আমি কি তাকে কিছু কাপড় কিনে দিব? এবং আখরোট কেনার জন্য কিছু পয়সা দিব? তিনি বললেন তুমি পারবে? আমি বললাম হ্যাঁ পারব।