আল বিদায়া ওয়া আন্নিহায়া

পৃষ্ঠা - ৮৭৫৯
[হিজরি ২৪৯ সাল]
[এই বছর যে ঘটনাগুলো ঘটেছে]

এর পর আরম্ভ হয় হিজরি ২৪৯ সাল।

এই বছর রজব মাসের মাঝামাঝি শুক্রবার, মুসলিমদের সৈন্যদল তুরস্কের মালাতইয়া এর কাছাকাছি রোমান সৈন্যদের মুখোমুখি হয়। বিশাল যুদ্ধে উভয় পক্ষে প্রচুর লোক মারা যায়। মুসলিমদের আমির ’উমর বিন আব্দুল্লাহ বিন আল-আকতা মারা যান। এবং আরো এক হাজার লোক মুসলিম সৈন্য মারা যায়। এভাবে আরেকজন আমির, আলী বিন ইয়াহইয়া আল-আরমানী মারা যান টহল দেবার সময়। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এই দুই আমির ইসলামের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।

এই বছর সফর মাসের এক তারিখে বাগদাদে একটা বিশাল ফিতনা আরম্ভ হয়। খিলাফতের কাজে আমির-উমরাদের আধিপত্য, মুতাওয়াক্কিলের হত্যাকান্ড, মুনতাসির এবং উনার পরবর্তিতে মুসতায়িনের অজনপ্রীয়তার কারনে সাধারন জনগণ অসন্তুষ্ট হয়ে উঠে। জনগন মারমুখি হয়ে জেলখানায় গিয়ে সবাইকে মুক্ত করে দেয়। সেতুগুলোর কাছে গিয়ে একটি সেতু কেটে ফেলে, অন্যটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তাদের অস্ত্রসজ্জার ডাকে দলবেধে অসংখ্য মানুষ তাদের সাথে যোগ দেয়। তারা প্রচুর বাসায় লুট পাট চালায়। এটা বাগদাদের পূর্বপ্রান্তের ঘটনা। বাগদাদের বামপন্থিরা এইভাবে অনেক সম্পদ জমিয়ে ফেলে।
[سَنَةُ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ تِسْعٍ وَأَرْبَعِينَ وَمِائَتَيْنِ فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ النِّصْفِ مِنْ رَجَبٍ مِنْهَا الْتَقَى جَمْعٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَخَلْقٌ مِنَ الرُّومِ بِالْقُرْبِ مِنْ مَلَطْيَةَ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا عَظِيمًا، قُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَقُتِلَ أَمِيرُ الْمُسْلِمِينَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْأَقْطَعِ، وَقُتِلَ مَعَهُ أَلْفَا رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، وَكَذَلِكَ قُتِلَ الْأَمِيرُ عَلِيُّ بْنُ يَحْيَى الْأَرْمَنِيُّ فِي طَائِفَةٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ أَيْضًا، فَإِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، وَقَدْ كَانَ هَذَانَ الْأَمِيرَانِ مِنْ أَكْبَرِ أَنْصَارِ الْإِسْلَامِ. وَوَقَعَتْ فِتْنَةٌ عَظِيمَةٌ بِبَغْدَادَ فِي أَوَّلِ يَوْمٍ مِنْ صَفَرٍ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْعَامَّةَ كَرِهُوا جَمَاعَةً مِنَ الْأُمَرَاءِ الَّذِينَ قَدْ تَغَلَّبُوا عَلَى أَمْرِ الْخِلَافَةِ، وَقَتَلُوا الْمُتَوَكِّلَ، وَاسْتَضْعَفُوا الْمُنْتَصِرَ وَالْمُسْتَعِينَ بَعْدَهُ ; فَنَهَضُوا إِلَى السِّجْنِ، فَأَخْرَجُوا مَنْ فِيهِ، وَجَاءُوا إِلَى الْجِسْرِ فَقَطَعُوهُ وَضَرَبُوا الْآخَرَ بِالنَّارِ، فَأَحْرَقُوهُ، وَنَادَوْا بِالنَّفِيرِ فَاجْتَمَعَ خَلْقٌ كَثِيرٌ وَجَمٌّ غَفِيرٌ، وَنَهَبُوا أَمَاكِنَ مُتَعَدِّدَةً، وَذَلِكَ بِالْجَانِبِ الشَّرْقِيِّ مِنْ بَغْدَادَ ثُمَّ جَمَعَ أَهْلُ الْيَسَارِ مِنْ أَهْلِ بَغْدَادَ أَمْوَالًا كَثِيرَةً ; لِتُصْرَفَ إِلَى مَنْ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬০
রোমান সিমান্তের কাছে যে মুসলিমরা যুদ্ধে নিহত হয়েছে তাদের উপর খরচ না করে, রোমান সিমান্তের কাছের বিদ্রোহীদের উপর খরচ করার কারনে পর্বতের চারিধার থেকে, এবং আহওয়াজ এলাকা, পারস্য এবং অন্যান্য এলাকা থেকে প্রচুর লোক রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য জমা হয়। একারনে খলিফা উনার সন্যসামন্ত নিয়ে অভিযান চালাতে দেরি করেন। সাধারন মানুষ তাতে ক্রোধান্বিত হয়ে এবং উপরোক্ত কাজ করে।

রবিউল আউয়াল মাসের নয় দিন বাকি থাকতে সামারার জনগন জেলখানায় আক্রমন করে। জেলখানার সবাইকে মুক্ত করে দেয়। সেনাবাহিনী থেকে এক দল তাদের কাছে আসে। এদেরকে ডাকা হতো "জুরাফা"। জনসাধারন তাদের পরাজিত করে। এতে অংশ নেয় ওয়াসিফ, ছোট বুগা এবং তুরকির সাধারন জনগন। সাধারন জনগনের মাঝে অনেককে মারা যায়। এই ফিতনা বহু লম্বা হয়। এর পর শান্তি আসে।

রবিউল সানি মাসের মাঝা মাঝি সময়ে, তুর্কিদের মাঝে ফিতনা আরম্ভ হয়। এর কারন হলো মুসলিমদের খলিফা তখন রাজ্য পরিচালনা এবং বাইতুল মালের দায়িত্ব তিন ব্যক্তির উপর ন্যস্ত করেছিলেন। একজন উতামিশ আত-তুরকী, উনি খলিফার খাস লোক এবং উজির পদে ছিলেন। আব্বাস বিন মুসতায়িন উনাকে নিজ ঘরে পালন করেন। এবং উনাকে ফারসী ভাষা শিক্ষা দেন। আর ছিলেন খাদেম শাহাক, এবং খলিফার মা নিজে। খলিফার মা যা চাইতেন তার কিছুই নিষেধ করতেন না। উনার সালাম বিন সায়িদ আনসারানী নামে একজন লিখক ছিলেন।
يَنْهَضُ إِلَى ثُغُورِ الرُّومِ لِقِتَالِهِمْ عِوَضًا عَنْ مَنْ قُتِلَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ هُنَاكَ، فَأَقْبَلَ خَلْقٌ كَثِيرٌ مِنْ نَوَاحِي الْجِبَالِ وَالْأَهْوَازِ وَفَارِسَ وَغَيْرِهَا لِغَزْوِ الرُّومِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْخَلِيفَةَ وَالْجَيْشَ تَأَخَّرُوا عَنِ النُّهُوضِ فَغَضِبَتِ الْعَامَّةُ مِنْ ذَلِكَ، وَفَعَلُوا مَا ذَكَرْنَا. وَلِتِسْعٍ بَقِينَ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ نَهَضَ عَامَّةُ أَهْلِ سَامَرَّا إِلَى السِّجْنِ، فَأَخْرَجُوا مَنْ فِيهِ، وَجَاءَهُمْ قَوْمٌ مِنَ الْجَيْشِ، يُقَالُ لَهُمُ: الزُّرَافَةُ، فَهَزَمَتْهُمُ الْعَامَّةُ فَرَكِبَ عِنْدَ ذَلِكَ وَصِيفٌ وَبُغَا الصَّغِيرُ وَعَامَّةُ الْأَتْرَاكِ، فَقَتَلُوا مِنَ الْعَامَّةِ خَلْقًا كَثِيرًا، وَجَرَتْ فِتَنٌ طَوِيلَةٌ كَثِيرَةٌ، ثُمَّ سَكَنَتْ. وَفِي النِّصْفِ مِنْ رَبِيعٍ الْآخَرِ وَقَعَتْ فِتْنَةٌ بَيْنَ الْأَتْرَاكِ، وَذَلِكَ أَنَّ الْخَلِيفَةَ الْمُسْتَعِينَ كَانَ قَدْ فَوَّضَ أَمْرَ الْخِلَافَةِ وَالتَّصَرُّفِ فِي أَمْوَالِ بَيْتِ الْمَالِ إِلَى ثَلَاثَةٍ ; وَهُمْ أُتَامِشُ التُّرْكِيُّ، وَكَانَ أَخَصَّ مَنْ عِنْدَهُ، وَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْوَزِيرِ، وَفِي حِجْرِهِ الْعَبَّاسُ ابْنُ الْمُسْتَعِينِ يُرَبِّيهِ، وَيَعَلِّمُهُ الْفُرُوسِيَّةَ، وَشَاهَكُ الْخَادِمُ، وَأُمُّ الْخَلِيفَةِ، وَكَانَ لَا يَمْنَعُهَا شَيْئًا تُرِيدُهُ، وَكَانَ لَهَا كَاتِبٌ يُقَالُ لَهُ: سَلَمَةُ بْنُ سَعِيدٍ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬১
উতামিশ বাইতুল মালের দায়িত্ব নিয়ে এর খরচের ব্যপারে অপচয় করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত বাইতুল মাল একেবারে খালি হয়ে যায়। তুরকীরা একারনে উনার উপর ক্রুদ্ধ হয়। তার কাছ থেকে সরে গিয়ে তারা বিরুদ্ধে সবাই একত্রিত হয়। সবই সওয়ারিতে চড়ে তার তারা দিকে আসে, এবং খলিফার প্রাসাদ ঘেরাও করে ফেলে। উতামিশ ঐ সময় খলিফা মুসতায়িনের নিকট ছিলেন। কিন্তু উনি খলিফাকে তাদের সাথে দেখা করতে নিষেধ করতে পারেন নি, বা তাদেরকেও সেখান থেকে হটিয়ে দিতেও পারেন নি। তুরকীরা উতামিশকে দোষারোপ করে পদত্যাগ করিয়ে হত্যা করে। তার সম্পদ, আয় ও ঘড়বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে।

খলিফা তার পর উজির হিসাবে আবু সালেহ মুহাম্মদ বিন ইয়াজদাদকে নিয়োগ দেন। এবং ছোট বুগাকে ফিলিস্তিনের দায়িত্ব দেন। ওয়াসিফকে দায়িত্বদেন ইরানের আহওয়াজ এলাকার। খলিফার এই কাজের জন্য বড় আঘাত পড়ে, এবং উনার অসংখ্য দুর্বলাতা প্রকাশ পায়।

মরক্কোবাসীরা জামাদিউল সানির আরম্ভ হবার তিন দিন আগে বৃহস্পতিবারে সামারাতে অভিযান চালায়। তারা একত্রিত হয়, সওয়ারিতে চড়ে, এর পর আলাদা আলাদা হয়ে যায়। জামাদিউল আউয়াল শেষ হবার পাচ দিন আগে শুক্রবারে, যেটা জুলাইয়ের ষোল তারিখ ছিলো, সামারার পুরো আকাশ মেঘে ছেয়ে গিয়ে এবং প্রচন্ড বজ্রপাত সহ অদ্ভুত বৃষ্টিপাত হয়। সকাল থেকে সূর্যস্তের পূর্ব পর্যন্ত প্রচন্ড বৃস্টিপাত চলে।

জিলহজ্জ মাসে ইরানের রাই শহরের জনগন পচন্ড ভূমিকম্প কবলে পড়ে। ভুমির প্রচন্ড কম্পনে বাড়িঘড় ভেঙ্গে পড়ে। এতে অনেক লোক মারা যায়। এবং বাকি লোক বেরিয়ে মরুভুমিতে চলে যায়।

এই বছর হজ্জ পরিচালনা করান আব্দুস সামাদ বিন মুসা বিন ইব্রাহীম। উনি মক্কার গভর্নর ছিলেন।
النَّصْرَانِيُّ. فَأَقْبَلَ أُتَامِشُ فَأَسْرَفَ فِي أَخْذِ الْأَمْوَالِ حَتَّى لَمْ يُبْقِ بِبَيْتِ الْمَالِ شَيْئًا، فَغَضِبَ الْأَتْرَاكُ مِنْ ذَلِكَ، وَغَارَتْ مِنْهُ فَاجْتَمَعُوا عَلَيْهِ عِنْدَ ذَلِكَ، وَرَكِبُوا إِلَيْهِ، وَأَحَاطُوا بِقَصْرِ الْخِلَافَةِ، وَهُوَ عِنْدَ الْمُسْتَعِينِ، وَلَمْ يُمْكِنْهُ مَنْعُهُ مِنْهُمْ، وَلَا دَفْعُهُمْ عَنْهُ فَأَنْزَلُوهُ صَاغِرًا فَقَتَلُوهُ، وَانْتَهَبُوا أَمْوَالَهُ وَحَوَاصِلَهُ وَدُورَهُ، وَاسْتَوْزَرَ الْخَلِيفَةُ بَعْدَهُ أَبَا صَالِحٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ يَزْدَادَ، وَوَلَّى بُغَا الصَّغِيرَ فِلَسْطِينَ، وَوَلَّى وَصِيفًا الْأَهْوَازَ، وَجَرَى خَبْطٌ كَبِيرٌ، وَوَهْنٌ كَثِيرٌ مِنْ أَمْرِ الْخَلِيفَةِ. وَتَحَرَّكَتِ الْمَغَارِبَةُ بِسَامَرَّا فِي يَوْمِ الْخَمِيسِ لِثَلَاثٍ خَلَوْنَ مِنْ جُمَادَى الْآخِرَةِ، فَكَانُوا يَجْتَمِعُونَ فَيَرْكَبُونَ، ثُمَّ يَتَفَرَّقُونَ. وَفِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ لِخَمْسٍ بَقِينَ مِنْ جُمَادَى الْأُولَى، وَهُوَ الْيَوْمُ السَّادِسَ عَشَرَ مِنْ تَمُّوزَ، مُطِرَ أَهْلُ سَامَرَّا مَطَرًا عَظِيمًا بِرَعْدٍ وَبَرْقٍ، وَالْغَيْمُ مُطْبِقٌ، وَالْمَطَرُ مُسْتَهِلٌّ كَثِيرٌ مِنْ أَوَّلِ النَّهَارِ إِلَى اصْفِرَارِ الشَّمْسِ. وَفِي ذِي الْحِجَّةِ أَصَابَ أَهْلَ الرَّيِّ زَلْزَلَةٌ شَدِيدَةٌ جِدًّا، وَرَجْفَةٌ هَائِلَةٌ تَهَدَّمَتْ مِنْهَا الدُّورُ، وَمَاتَ مِنْهَا خَلْقٌ كَثِيرٌ، وَخَرَجَ بَقِيَّةُ أَهْلِهَا إِلَى الصَّحْرَاءِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ مُوسَى بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬২
[এ বছর যে সকল বিখ্যাত লোকেরা মৃত্যুবরন করেছেন]

এ বছর যারা মৃত্যুবরন করেছেন উনারা হলেন:
আইয়ুব বিন মুহাম্মদ আল-ওয়াজ্জান
আহসান বিন আস-সাব্বাহ আল-বাজার, যিনি "আস-সুন্নাহ" কিতাবটা লিখেছেন।
রাজা বিন মুরাজ্জা আল-হাফিজ।
আবদু বিন হুমাইদ, যিনি "আল-মুসনাদ" ও "আত-তাফসির" নামে পুর্নাঙ্গ বই লিখেছেন।
আমর বিন আলী আল-ফাল্লাছ।
আলী বিন জাহাম বিন বদর বিন জাহাম বিন মাসউদ বিন আসাদ আল-কুরাশী আস-সামী।
সামাহ বিন লুওয়াইয়ের ছেলেদের একজন ছিলেন, যিনি প্রথমে খুরাসানে এর পর বাগদাদে বসবাস করেন। বিখ্যাত কবি ছিলেন। উনাকে দুনিয়াদার হিসাবে ধরা হতো। প্রচুর কবিতা লিখেছে যার মাঝে অনেকগুলো ভালো কবিতা হিসাবে স্বিকৃত। আবার এর মাঝে আলী বিন আবি তালেব রা: এর সমালোচনা মুলক কবিতাও আছে।

الْإِمَامُ، وَهُوَ وَالِي مَكَّةَ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ: أَيُّوبُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْوَزَّانُ. وَالْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، صَاحِبُ كِتَابِ " السُّنَنِ ". وَرَجَاءُ بْنُ مُرَجَّى الْحَافِظُ. وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ صَاحِبُ " الْمُسْنَدِ " وَ " التَّفْسِيرِ " الْحَافِلِ. وَعَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ الْفَلَّاسُ. وَعَلِيُّ بْنُ الْجَهْمِ بْنِ بَدْرِ بْنِ الْجَهْمِ بْنِ مَسْعُودِ بْنِ أَسَدٍ الْقُرَشِيُّ السَّامِيُّ. مِنْ وَلَدِ سَامَةَ بْنِ لُؤَيٍّ، الْخُرَاسَانِيُّ ثُمَّ الْبَغْدَادِيُّ أَحَدُ الشُّعَرَاءِ الْمَشْهُورِينَ، وَأَهْلِ الدِّيَانَةِ الْمُعْتَبَرِينَ. وَلَهُ دِيوَانُ شِعْرٍ فِيهِ أَشْعَارٌ حَسَنَةٌ، وَكَانَ فِيهِ تَحَامُلٌ عَلَى عَلِيِّ بْنِ أَبِي
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৩
উনি মুতাওয়াক্কিলের খাস লোক ছিলেন। একসময় উনি তার উপর রাগাহ্নিত হয়ে তাকে খূরাসানে নির্বাসন দেন এবং ঐ জায়গার নায়েবকে বলেন কোনো একদিন উনাকে নতুন করে পরিচিত করে দিতে। উনি তাই করেন। উনার ভালো কবিতাগুলোর মাঝে থেকে একটা:

এমন বিপদ আসলো যার মত আর কোনো বিপদ নেই ... যার বংশ নেই, ধর্ম নেই।
...
ইসমাইল আযহারি 


طَالِبٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَكَانَ لَهُ خُصُوصِيَّةٌ بِالْمُتَوَكِّلِ، ثُمَّ غَضِبَ عَلَيْهِ فَنَفَاهُ إِلَى خُرَاسَانَ وَأَمَرَ نَائِبَهُ بِهَا أَنْ يَنْصِبَهُ يَوْمًا، مُجَرَّدًا، فَفَعَلَ بِهِ ذَلِكَ، وَمِنْ مُسْتَجَادِ شِعْرِهِ: بَلَاءٌ لَيْسَ يَعْدِلُهُ بَلَاءٌ ... عَدَاوَةُ غَيْرِ ذِي حَسَبٍ وَدِينِ يُبِيحُكَ مِنْهُ عِرْضًا لَمْ يَصُنْهُ ... وَيَرْتَعُ مِنْكَ فِي عِرْضٍ مَصُونِ وَإِنَّمَا قَالَ ذَلِكَ فِي مَرْوَانَ بْنِ أَبِي حَفْصَةَ حِينَ هَجَاهُ، فَقَالَ فِي هِجَائِهِ لَهُ: لَعَمْرُكَ مَا الْجَهْمُ بْنُ بَدْرٍ بِشَاعِرٍ ... وَهَذَا عَلِيٌّ بَعْدَهُ يَدَّعِي الشِّعْرَا وَلَكِنْ أَبِي قَدْ كَانَ جَارًا لِأُمِّهِ ... فَلَمَّا ادَّعَى الْأَشْعَارَ أَوْهَمَنِي أَمْرَا كَانَ عَلِيُّ بْنُ الْجَهْمِ قَدْ قَدِمَ الشَّامَ ثُمَّ عَادَ قَاصِدًا الْعِرَاقَ فَلَمَّا جَاوَزَ حَلَبَ ثَارَ عَلَيْهِ أُنَاسٌ مِنْ بَنِي كَلْبٍ، فَقَاتَلَهُمْ فَجُرِحَ جُرْحًا بَلِيغًا فَكَانَ فِيهِ حَتْفُهُ فَوُجِدَ بَيْنَ ثِيَابِهِ رُقْعَةٌ مَكْتُوبٌ فِيهَا: يَا رَحْمَتَا لِلْغَرِيبِ فِي الْبَلَدِ النَّا ... زِحِ مَاذَا بِنَفْسِهِ صَنَعَا
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৪
فَارَقَ أَحْبَابَهُ فَمَا انْتَفَعُوا ... بِالْعَيْشِ مِنْ بَعْدِهِ وَمَا انْتَفَعَا وَكَانَتْ وَفَاتُهُ بِهَذَا السَّبَبِ فِي هَذِهِ السَّنَةِ، رَحِمَهُ اللَّهُ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৫
[ হিজরি ২৫০ সাল ]
[ এ বছরের ঘটনাবলী ]

এ বছর আবুল হুসাইন ইয়াহইয়া ইবনে ওমার ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হুসাইন ইবনে যায়েদ ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবু তালেব কুফা নগরীতে আত্মপ্রকাশ করেন। উনার মাতা ছিলেন উম্মুল হুসাইন ফাতিমা বিনতে হুসাইন ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে ইসমাইল ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর ইবনে আবু তালেব।

তার আত্মপ্রাকাশের কারন এই যে, তিনি এক সময় কঠিন অভাবে পড়েন। সামারায় গিয়ে  ওছীফের কাছে ভাতা চান। কিন্তু তার সাথে রূঢ় কথা বলে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এর পর তিনি কুফায়  যান। গ্রাম্য লোক এবং কুফা শহরের অধিবাসিদের একদল উনার কাছে জমা হয়। এ সময়  ফাল্লুজাতে তিনি অবস্থান করেন। লোক জমা হবার খবর শুনে ইরাকে খলিফার প্রতিনিধি মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের কুফার গভর্ণর আইয়ুব ইবনে হাসান ইবনে মুসা ইবনে জা’ফর ইবনে সুলাইমান এর কাছে পত্র লিখে নির্দেশ দেন ইয়াহইয়া ইবনে ওমারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে।  এর আগেই ইয়াহইয়া ইবনে ওমার, কিছু সঙ্গি নিয়ে কুফা শহরে পৌছে বাইতুল মাল দখল করে নেন। কিন্তু দুই হাজার দিনার আর সত্তর হাজার দিরহাম ছাড়া আর কিছু ছিল না। এভাবে কুফায় তার রাজত্ব চালু হয়।
[سَنَةُ خَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ مِنَ الْهِجْرَةِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] فِيهَا كَانَ ظُهُورُ أَبِي الْحُسَيْنِ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ بْنِ يَحْيَى بْنِ حُسَيْنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِالْكُوفَةِ، وَأُمُّهُ أُمُّ الْحُسَيْنِ فَاطِمَةُ بِنْتُ الْحُسَيْنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَذَلِكَ أَنَّهُ أَصَابَتْهُ فَاقَةٌ شَدِيدَةٌ فَدَخَلَ سَامَرَّا، فَسَأَلَ وَصِيفًا أَنْ يُجْرِيَ عَلَيْهِ رِزْقًا، فَأَغْلَظَ لَهُ الْقَوْلَ، فَرَجَعَ إِلَى أَرْضِ الْكُوفَةِ فَاجْتَمَعَ عَلَيْهِ خَلْقٌ مِنَ الْأَعْرَابِ، وَخَرَجَ إِلَيْهِ خَلْقٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ فَنَزَلَ عَلَى الْفَلُّوجَةِ، وَقَدْ كَثُرَ الْجَمْعُ مَعَهُ، فَكَتَبَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ نَائِبُ الْعِرَاقِ إِلَى عَامِلِ الْكُوفَةِ وَهُوَ أَيُّوبُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ مُوسَى بْنِ جَعْفَرِ بْنِ سُلَيْمَانَ يَأْمُرُهُ بِمُقَاتَلَتِهِ. وَدَخَلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ قَبْلَ ذَلِكَ فِي طَائِفَةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ إِلَى الْكُوفَةِ فَاحْتَوَى عَلَى بَيْتِ مَالِهَا فَلَمْ يَجِدْ فِيهِ سِوَى أَلْفَيْ دِينَارٍ وَسَبْعِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ، وَظَهَرَ أَمْرُهُ بِالْكُوفَةِ، وَفَتَحَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৬
সেখানে দুটি জেলখানা দখল করে উনি বন্ধিদেরকে মুক্ত করে দেন। খলিফার প্রতিনিধিদের বের করে দেন। তাদের সমস্ত মাল বাজেয়াপ্ত করে নেন। নিজের নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠিত করেন। উনার শাষন মজবুত হয় এবং জাইদিয়া ও অন্যান্য ফেরকার লোকেরা উনার সাথে যোগ দেয়।

এর পর কুফা থেকে বের হয়ে উনি গ্রামের দিকে চলে যান এবং আবার কুফায় ফিরে আসেন। পথে আবদুর রহমান ইবনে খত্তাব, যাকে ওজহুল ফুলুস, অর্থাৎ পয়সা অভিমুখি ডাকা হতো, তার মুখমুখি হন। দু'দলে কঠিন যুদ্ধ হয় এবং ওজহুল ফুলুস পারাজিত হয়।

ইয়াহইয়া ইবনে ওমার অতঃপর কুফায় প্রবেশ করেন। মুহাম্মাদ ﷺ এর বংশের প্রতি যারা আশেক ছিলেন তাদেরকে নিজের পক্ষে ডাকেন। উনার ক্ষমতা আরো বেড়ে যায়। কুফা শহরের এক বড় জামাত ও অন্যান্যরা উনার সাথে মিলিত হয়। বাগদাদের জনসাধরণ ও শিয়ারা প্রধান হাকেম হিসেবে উনাকে মেনে নেয়। পুরানো আহলে বাইতদের থেকেও উনাকে বেশি মহাব্বত করতে থাকে। যুদ্ধের জন্য তিনি অস্ত্র ও সরঞ্জাম জমা করতে থাকেন, এবং আরো মানুষদেরকে নিজ পক্ষে আনতে থাকেন।

এসময়ে কুফার সাবেক গভর্নর হুসাইন ইবনে ইসমাইল কুফা থেকে বের হয়ে অন্যত্র চলে যান। খলিফ এবং মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের, এই দুজনের পক্ষ থেকে উনার কাছে অনেক সাহায্য সহযোগিতা পৌছতে থাকে। শক্তি সঞ্চয় করে উনি নিজের একটা সৈন্যবাহিনী গঠন করেন।

রজবের ১২ তারিখ, অনভিজ্ঞ কেউ ইয়াহইয়া ইবনে ওমারকে পরামর্শ দেন হুসাইন ইবনে ইসমাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে। এবং উনার সেনাবাহিনীর উপর আতর্কিত হামল করতে। ফলে তিনি একদল ঘোড় সওয়ারী ও কুফার সাধারন জনসাধারন দ্বারা তৈরি বিশাল এক পদাতিক বাহিনী নিয়ে অস্ত্র সজ্জা ছাড়াই রওয়ানা দেন। ওখানে পৌছে যুদ্ধ শুরু করেন। শেষ রাতে ভীষণ যুদ্ধ হয়।

সকালের আগেই ইয়াহইয়া ইবনে ওমারের দলের অবস্থা শোচনীয় হয়ে যায়। ঘোড়া দিয়ে তারা পিস্ট হয়। ইয়াহইয়া ইবনে ওমার ঘোড়া থেকে পড়ে যান, এবং পিঠে তীর বিদ্ধ হন।
السِّجْنَيْنِ، وَأَطْلَقَ مَنْ فِيهِمَا، وَأَخْرَجَ نُوَّابَ الْخَلِيفَةِ مِنْهَا، وَأَخَذَ أَمْوَالَهُمْ وَاسْتَحْوَذَ عَلَيْهَا، وَاسْتَحْكَمَ أَمْرُهُ بِهَا، وَالْتَفَّ عَلَيْهِ خَلْقٌ مِنَ الزَّيْدِيَّةِ وَغَيْرِهِمْ ثُمَّ خَرَجَ مِنَ الْكُوفَةِ إِلَى سَوَادِهَا، ثُمَّ كَرَّ رَاجِعًا إِلَيْهَا، فَتَلَقَّاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْخَطَّابِ الْمُلَقَّبُ وَجْهَ الْفُلْسِ، فَقَاتَلَهُ قِتَالًا شَدِيدًا فَانْهَزَمَ وَجْهُ الْفُلْسِ، وَدَخَلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ الْكُوفَةَ وَدَعَا إِلَى الرِّضَا مِنْ آلِ مُحَمَّدٍ، وَقَوِيَ أَمْرُهُ جَدًّا، وَصَارَ إِلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنَ النَّاسِ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَغَيْرِهَا، وَتَوَلَّاهُ أَهْلُ بَغْدَادَ مِنَ الْعَامَّةِ، وَغَيْرِهِمْ مِمَّنْ يُنْسَبُ إِلَى التَّشَيُّعِ، وَأَحَبُّوهُ أَكْثَرَ مِمَّا كَانُوا يُحِبُّونَ أَحَدًا مِنَ الْخَارِجِينَ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ، وَشَرَعَ فِي تَحْصِيلِ السِّلَاحِ، وَإِعْدَادِ آلَاتِ الْحَرْبِ، وَجَمْعِ الرِّجَالِ، وَقَدْ خَرَجَ نَائِبُ الْكُوفَةِ مِنْهَا وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ إِلَى ظَاهِرِهَا، وَاجْتَمَعَ إِلَيْهِ أَمْدَادٌ كَثِيرَةٌ مِنْ جِهَةِ الْخَلِيفَةِ وَمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ وَاسْتَرَاحُوا وَجَمَّتْ خُيُولُهُمْ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الثَّالِثَ عَشَرَ مِنْ رَجَبٍ أَشَارَ مَنْ أَشَارَ عَلَى يَحْيَى بْنِ عُمَرَ مِمَّنْ لَا رَأْيَ لَهُ أَنْ يَرْكَبَ فَيُنَاجِزَ الْحُسَيْنَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ، وَيَكْبِسَ جَيْشَهُ، فَرَكِبَ فِي جَيْشٍ كَثِيرٍ فِيهِ خَلْقٌ مِنَ الْفُرْسَانِ وَالْمُشَاةِ أَيْضًا مِنْ عَامَّةِ أَهْلِ الْكُوفَةِ بِغَيْرِ أَسْلِحَةٍ، فَسَارُوا فَلَمَّا انْتَهَوْا إِلَيْهِ نَهَضُوا إِلَيْهِمْ فَاقْتَتَلُوا قِتَالًا شَدِيدًا فِي ظُلْمَةِ آخِرِ اللَّيْلِ فَمَا طَلَعَ الْفَجْرُ إِلَّا وَقَدِ انْكَشَفَ أَصْحَابُ يَحْيَى بْنِ عُمَرَ وَدَاسَتْهُمُ الْخُيُولُ، وَوَجَدُوا يَحْيَى بْنَ عُمَرَ قَدْ تَقَنْطَرَ بِهِ فَرَسُهُ وَطُعِنَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৭
উনার শরীর থেকে মাথা পৃথক করে, আমিরের সামনে পেশ করে। তিনি সেটা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের কাছে পাঠান। তিনি পরের দিন একজনের মাধ্যমে সেটা খলিফার কাছে পাঠান, যার নাম ছিলো ওমর ইবনে খত্তাব, উনি আব্দুর রহমান ইবনে খত্তাবের ভাই। খলিফা মাথাটা দিনের বেলা ঘন্টাখানেক সামারায় ঝুলিয়ে রাখেন। পরে সেটা বাগদাদে পাঠিয়ে দেন।সেতুর পাশে ঝুলিয়ে রাখার জন্য। তবে মানুষের ভিড়ের কারনে সেটা সম্ভব হয় নি। তাই অস্ত্র গুদামে রেখে দেয়া হয়।

ইয়াহইয়া ইবনে ওমরের মস্তক মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের কাছে আনার পর মানুষ বিজয়ের জন্য উনাকে অভিনন্দন জানাতে থাকে। আবূ হাশেম দাউদ ইবনে হায়ছাম জা’ফরী উনার কাছে এসে বলেন, হে আমীর! আপনাকে এমন একজন ব্যক্তির হত্যার কারনে অভিবাদন জানানো হচ্ছে, আজ যদি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জীবিত থাকতেন তাবে যার মৃত্যুর কারনে উনি শোক প্রকাশ করতেন। একথার তিনি কোনো উত্তর দেন নি।

এরপর আবূ হাশেম জা’ফরী এই কবিতা বলতে বলতে বের হয়ে যান -
يَا بَنِي طَاهِرٍ كُلُوُهُ وَبِيَّا   ۞    إِنَّ لَحْمَ النَّبِيِّ غُيْرُ مَرِيِّ
إِنَّ وَتْرًا يَكُونُ طَالِبُهُ اللَّهُ    ۞     لَوَتْرٌ نَجَاحُهُ بِالْحَرِيِّ
অর্থ : হে ইবনে তাহের অতৃপ্তির সাথে খাও  ۞  নিশ্চয় নবীর গোশত সুস্বাদু নয়।
তিনি এমন এক ব্যক্তি যাকে আল্লাহ তায়ালা চায়  ۞  এমন এক ব্যক্তি যার সফলতা যথাযথ।

খলিফা মুস্তাইন প্রথমে আমীরকে কুফার প্রতিনিধি হুসাইন ইবনে ইসমাইলের কাছে পাঠান। যখন ইয়াহইয়া ইবনে ওমর কে হত্যা করা হয় তখন তারা কুফায় প্রবেশ করেন। আমীর চাচ্ছিলেন কুফবাসীকে হত্যা করে শেষ করে দিতে। কিন্তু হুসাইন ইবনে ইসমাইল নিষেধ করেন এবং সকলকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষনা দেন। এভাবেই আল্লাহ তায়ালা এই ফেতনাকে নির্মূল করে দেন।
فِي ظَهْرِهِ فَحَزُّوا رَأَسَهُ، وَحَمَلُوهُ إِلَى الْأَمِيرِ فَبَعَثَهُ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ فَأَرْسَلَهُ إِلَى الْخَلِيفَةِ مِنَ الْغَدِ مَعَ رَجُلٍ يُقَالُ لَهُ: عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَخُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْخَطَّابِ فَنُصِبَ بِسَامَرَّا سَاعَةً مِنَ النَّهَارِ، ثُمَّ بَعَثَهُ إِلَى بَغْدَادَ ; لِيُنْصَبَ عِنْدَ الْجِسْرِ، فَلَمْ يُمْكِنْ ذَلِكَ مِنْ كَثْرَةِ الْعَامَّةِ، فَجُعِلَ فِي خَزَائِنِ السِّلَاحِ. وَلَمَّا جِيءَ بِرَأْسِ يَحْيَى بْنِ عُمَرَ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ دَخَلَ النَّاسُ يُهَنُّونَهُ بِالْفَتْحِ وَالظَّفَرِ، فَدَخَلَ عَلَيْهِ أَبُو هَاشِمٍ دَاوُدُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْجَعْفَرِيُّ فَقَالَ لَهُ: أَيُّهَا الْأَمِيرُ، إِنَّكَ لَتُهَنَّى بِقَتْلِ رَجُلٍ لَوْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيًّا لَعُزِّيَ بِهِ. فَمَا رَدَّ عَلَيْهِ شَيْئًا، ثُمَّ خَرَجَ أَبُو هَاشِمٍ الْجَعْفَرِيُّ وَهُوَ يَقُولُ: يَا بَنِي طَاهِرٍ كُلُوُهُ وَبِيَّا ... إِنَّ لَحْمَ النَّبِيِّ غُيْرُ مَرِيِّ إِنَّ وَتْرًا يَكُونُ طَالِبُهُ اللَّهُ ... لَوَتْرٌ نَجَاحُهُ بِالْحَرِيِّ وَكَانَ الْخَلِيفَةُ الْمُسْتَعِينُ قَدْ وَجَّهَ أَمِيرًا إِلَى الْحُسَيْنِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ نَائِبِ الْكُوفَةِ فَلَمَّا قُتِلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ دَخَلُوا الْكُوفَةَ فَأَرَادَ ذَلِكَ الْأَمِيرُ أَنْ يَضَعَ فِي أَهْلِهَا السَّيْفَ، فَمَنَعَهُ الْحُسَيْنُ، وَأَمَّنَ الْأَسْوَدَ وَالْأَبْيَضَ، وَأَطْفَأَ اللَّهُ هَذِهِ الْفِتْنَةَ. ثُمَّ خَرَجَ آخَرُ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ أَيْضًا فَلَمَّا كَانَ رَمَضَانُ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ خَرَجَ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৮
এর পর আহলে বাইতের আরেক জনের অবির্ভব হয়।

এই বছরের রমযান মাসে হাসান ইবনে যায়েদ বিন মুহাম্মদ বিন ইসমাইল বিন হাসান বিন যাইদ বিন হাসান বিন আলী বিন আবু তালেব তবারিস্তানের এক এলাকায় যান। যাওয়ার কারণ হল, যখন ইয়াহইয়া ইবনে ওমর কে হত্যা করা হল তখন খলিফা মুস্তাইন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের ঐ এলাকার কিছু জমি তার নামে দিয়েছিলেন। ঐ জমি উনার কাছে হাওলা করার জন্য জাবের ইবনে হারুন নামে একজন রেজিষ্টার কে পাঠালেন। সে খ্রীষ্টান ছিল।

রেজিস্ট্রার ঐ এলাকায় পৌছালে এলাকবাসী তার এই সিন্ধান্ত শুনে খুব অসন্তুষ্ট হয়। তারা এই হাসান ইবনে যায়েদের কাছে খবর পাঠায়। তিনি ঐ এলাকায় আসেন এবং তাদের বায়াত গ্রহন করেন। দায়লাম শহরের সমস্ত লোক, এবং ঐ অঞ্চলের অনেক আমীর উনার আনুগত্য গ্রহন করেন।

হাসান ইবনে যায়েদ তবারিস্তানের আমুল নামক এলাকায় গিয়ে এলাকাটা দখল করে লোকদের থেকে খেরাজ আদায় আরম্ভ করেন এবং সেখানে তার কতৃত্ব দৃঢ় হয়ে যায়।

এর পর ঐ এলাকার আমীর সুলাইমান ইবনে আব্দুল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার জন্য বের হন।  মুখমুখি হলে তাদের মাঝে যুদ্ধ আরম্ভ হয়। সুলাইমান সোচনীয় ভাবে পরাজিত হন। জান বাচানোর জন্য উনি পরিবারবর্গ ও মাল সম্পদ রেখে পালান। জুরজানে আর ফিরে যান নি।

তারপর হাসান ইবনে যায়েদ সারিয়া নামক শহরে প্রবেশ করেন এবং সেখানকার সব মাল সম্পদ হস্তগত করেন। সুলাইমানের পরিবারের লোকদেরকে সওয়ারীতে উঠাইয়া সম্মানের সাথে উনার কাছে পৌছে দেন। তবারিস্তানের নেতৃত্ব সম্পূর্ণভাবে হাসান ইবনে যায়েদের অধীনে চলে আসে।

এরপর উনি রায় নামক এলাকায় লোক পাঠায়ে দখল করলেন এবং সেখান থেকে তাহেরিয়্যাহ সম্প্রদায়ের লোকদের বের করে দেন। এরপরে হামাযান শহরের দিকে মনোযোগ দেন।

এ খবর খলিফা মুস্তাইনের কাছে পৌছলে উনি ব্যথিত হন। উনার রাষ্ট পরিচালক ওছীফ তুর্কী, হুসাইন ইবনে যায়েদ কে হত্যা জন্য যথাসাধ্য উদ্যোগ নিয়ে একটা সেন্যবাহিনী পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
الْحَسَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِنَاحِيَةِ طَبَرِسْتَانَ وَكَانَ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ لَمَّا قُتِلَ يَحْيَى بْنُ عُمَرَ أَقْطَعَ الْمُسْتَعِينُ لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ طَائِفَةً مِنْ أَرْضِ تِلْكَ النَّاحِيَةِ، فَبَعَثَ كَاتِبًا لَهُ يُقَالُ لَهُ: جَابِرُ بْنُ هَارُونَ وَكَانَ نَصْرَانِيًّا ; لِيَتَسَلَّمَ تِلْكَ الْأَرَاضِيَ، فَلَمَّا انْتَهَى إِلَيْهِمْ كَرِهُوا ذَلِكَ جِدًّا، وَرَاسَلُوا الْحَسَنَ بْنَ زَيْدٍ هَذَا، فَجَاءَ إِلَيْهِمْ فَبَايَعُوهُ، وَالْتَفَّ عَلَيْهِ جُمْلَةُ الدَّيْلَمِ، وَجَمَاعَةُ الْأُمَرَاءِ فِي تِلْكَ النَّوَاحِي، فَرَكِبَ فِيهِمْ وَدَخَلَ آمُلَ طَبَرِسْتَانَ وَأَخَذَهَا قَهْرًا، وَجَبَى خَرَاجَهَا، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ جِدًّا، ثُمَّ خَرَجَ مِنْهَا طَالِبًا لِقِتَالِ سُلَيْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَمِيرِ تِلْكَ النَّوَاحِي فَالْتَقَيَا هُنَالِكَ، وَكَانَتْ بَيْنَهُمَا حُرُوبٌ ثُمَّ انْهَزَمَ سُلَيْمَانُ هَزِيمَةً مُنْكَرَةٌ، وَتَرَكَ أَهْلَهُ وَمَالَهُ وَلَمْ يَرْجِعْ دُونَ جُرْجَانَ فَدَخَلَ الْحَسَنُ بْنُ زَيْدٍ سَارِيَةَ، فَاسْتَحْوَذَ عَلَى مَا بِهَا مِنَ الْأَمْوَالِ وَالْحَوَاصِلِ، وَسَيَّرَ أَهْلَ سُلَيْمَانَ إِلَيْهِ عَلَى مَرَاكِبَ مُكْرَمِينَ، وَاجْتَمَعَ لِلْحَسَنِ بْنِ زَيْدٍ إِمْرَةُ طَبَرِسْتَانَ بِكَمَالِهَا، ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الرَّيِّ فَأَخَذَهَا أَيْضًا، وَأَخْرَجَ مِنْهَا الطَّاهِرِيَّةَ، وَصَارَ لَهُ إِلَى حَدِّ هَمَذَانَ وَلَمَّا بَلَغَ خَبَرُهُ الْمُسْتَعِينَ وَكَانَ مُدَبِّرَ مَلِكِهِ يَوْمَئِذٍ وَصِيفٌ التُّرْكِيُّ اغْتَمَّ لِذَلِكَ جِدًّا، وَاجْتَهَدَ فِي بَعْثِ الْجُيُوشِ وَالْأَمْدَادِ لِقِتَالِ الْحَسَنِ
পৃষ্ঠা - ৮৭৬৯
এই বছর আরাফার দিনে ‘রায়’ নামক শহরে আহমাদ ইবনে ঈসা ইবনে হুসাইন আস ছগির ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী এবং ইদরিস ইবনে মূসা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে মূসা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান ইবনে হাসান ইবনে আলী ইবনে আবূ তালেব দ্বয়ের আত্মপ্রকাশ করেন। আর এখানে আহমাদ ইবনে ঈসা মানুষদের নিয়ে ঈদুল আযহার নামায পড়ালেন। মুহাম্মাদের বংশের প্রতি যারা আশেক ছিল তাদেরকে দাওয়াত দেন। মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে তাহেরের এটা অপছন্দ হলে তিনি আহমাদ ইবনে ঈসার সাথে যুদ্ধ করেন। অবশেষে আহমাদ ইবনে ঈসা তাকে পরাজিত করেন। ফলে তার নাম অনেক প্রসিদ্ধ হল।
এবছরে হিমস এলাকার অধিবাসীগন তাদের গভর্ণর মাঝায়ার ইবনে কারানের ভাই ফয্ল ইবনে কারানের উপর হামলা করল। তাকে রজব মাসে হত্যা করে ফেলে। তখন খলিফা মুস্তাইন মূসা ইবনে বুগা আল কাবীর কে ঐ লোকদের কাছে পাঠান তিনি রস্তিন নামক এলাকায় তাদের সাথে লড়াই করে তাদের কে পরাজিত করেন এবং ঐ এলাকার অনেক লোক হত্যা করেন। আর অনেক বাড়ি ঘর জ¦ালিয়ে দেন। সম্ভ্রান্ত লোকদের কে বন্ধি করেন।
ঐ যামানায় ফারেস রাষ্টে শাকেরিয়্যাহ সম্প্রদায় ও ঐখানের সৈন্যরা আব্দুল্লাহ ইবনে ইসহাকের উপর হামলা করল। তখন সে তাদের থেকে পালিয়ে যান। তখন তারা তার বাড়ি লুট করল। আর তারা মুহাম্মাদ ইবনে হাসান ইবনে কারান কে হত্যা করল। ঐ সময় খলিফা জা’ফর ইবনে আব্দুল ওহেদের উপর রাগান্নিত হয়ে তাকে বাছরাতে দেশান্তর করে দেন।
ঐ যামানায় উমাবী সম্প্রদায়ের অনেক লোককে দারুল খেলাফাতের  দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করা হয়।
এই বছর মক্কার আমীর জা’ফর ইবনে ফযল হজ্জ পরিচালনা করেন। আল্লাহ তাকে সম্মানিত করুক।
بْنِ زَيْدٍ هَذَا. وَفِي يَوْمِ عَرَفَةَ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ ظَهَرَ بِالرَّيِّ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى بْنِ حُسَيْنٍ الصَّغِيرِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَإِدْرِيسُ بْنُ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حَسَنِ بْنِ حَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، فَصَلَّى بِالنَّاسِ يَوْمَ الْعِيدِ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى هَذَا، وَدَعَا إِلَى الرِّضَا مَنْ آلِ مُحَمَّدٍ، فَحَارَبَهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ طَاهِرٍ، فَهَزَمَهُ أَحْمَدُ بْنُ عِيسَى، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُهُ. وَفِيهَا وَثَبَ أَهْلُ حِمْصَ عَلَى عَامِلِهِمُ الْفَضْلِ بْنِ قَارَنَ أَخِي الْمَازَيَارِ بْنِ قَارَنَ فَقَتَلُوهُ فِي رَجَبٍ، فَوَجَّهَ الْمُسْتَعِينُ إِلَيْهِمْ مُوسَى بْنَ بُغَا الْكَبِيرِ، فَاقْتَتَلُوا بِأَرْضِ الرَّسْتَنِ فَهَزَمَهُمْ وَقَتَلَ جَمَاعَةً مِنْ أَهْلِهَا، وَأَحْرَقَ أَمَاكِنَ كَثِيرَةً مِنْهَا، وَأَسَرَ أَشْرَافَ أَهْلِهَا. وَفِيهَا وَثَبَتِ الشَّاكِرِيَّةُ وَالْجُنْدُ فِي أَرْضِ فَارِسَ عَلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ فَهَرَبَ مِنْهُمْ فَانْتَهَبُوا دَارَهُ، وَقَتَلُوا مُحَمَّدَ بْنَ الْحَسَنِ بْنِ قَارَنَ، وَفِيهَا غَضِبَ الْخَلِيفَةُ عَلَى جَعْفَرِ بْنِ عَبْدِ الْوَاحِدِ، وَنَفَاهُ إِلَى الْبَصْرَةِ. وَفِيهَا أُسْقِطَتْ مَرْتَبَةُ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَوِيِّينَ فِي دَارِ الْخِلَافَةِ. وَحَجَّ بِالنَّاسِ فِيهَا جَعْفَرُ بْنُ الْفَضْلِ أَمِيرُ مَكَّةَ شَرَّفَهَا اللَّهُ. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَمِمَّنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ:
পৃষ্ঠা - ৮৭৭০
[ এ বছরে যারা মৃত্যু বরণ করেন ]
বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা এ বছরে মৃত্যু বরণ করেন:

আবূ তাহের আহমাদ ইবনে আমর ইবনে সারাহ।
আল-বাজজি, যিনি একজন প্রশিদ্ধ ক্বারী ছিলেন।
হারেস বিন মিসকীন।
আবূ হাতেম সিজিসতানী, তিনি ভাষার একজন অনেক বড় পন্ডিত ছিলেন।
আববাদ বিন ইয়াকুব।
আমর বিন বাহার আল-জাহেয। তিনি দক্ষ লেখক ও ধর্মতাত্বিক ছিলেন।
কাসির বিন ওবাইদ আল-হিমসী
নসর বিন আলী আল-জাহযামী
أَبُو الطَّاهِرِ أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ. وَالْبَزِّيُّ أَحَدُ الْقُرَّاءِ الْمَشَاهِيرِ. وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ. وَأَبُو حَاتِمٍ السِّجِسْتَانِيُّ أَحَدُ أَئِمَّةِ اللُّغَةِ. وَعَبَّادُ بْنُ يَعْقُوبَ الرَّوَاجِنِيُّ. وَعَمْرُو بْنُ بَحْرٍ الْجَاحِظُ. صَاحِبُ الْكَلَامِ وَالْمُصَنَّفَاتِ. وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ الْحِمْصِيُّ. وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৭১
[ হিজরি ২৫১ সাল ]
[ এ বছরের ঘটনাবলী ]
এর পর ২৫১ হিজরী শুরু হল।

মুস্তাইন, বুগা ও ওছিফ তিন জন বাগরে তুর্কী কে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মুতাওয়াক্কীলের হত্যাকারীদের বড় নেতা ছিলেন উনি। উনার বিস্তৃত জমিদারীর ছিল। অনেক কর্মচারী। পরিকল্পনা মত তাকে হত্যা করে। তারপর তার কাতেবের ঘর লুট করে। বাগের তুর্কীর সমস্ত ধন সম্পদ লুট করে।

এর পর খলিফা দ্রুতগামী ঘোড়ায় চড়ে সামারা থেকে বাগদাদে চলে আসেন। তিনি চলে যাওয়ায় প্রশাসনে বিশৃঙখলা সৃষ্টি হয়। এটা মহরম মাসের ঘটনা। খলিফা বাগদাদে পৌছে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের বাড়িতে অবস্থান নেন।

এই বছরে বাগদাদ ও সামারাতে সৈন্যদের মধ্যে বড় ফেতনা সৃষ্টি হয়। সামারাবাসী মু’তায্যের হাতে বায়াত গ্রহন করার দাওয়াত দেয়। ওদিকে বাগদাদের অধিবাসীরা মুস্তাইনের খেলাফাতের উপর অটল থাকে।

মু’তায্য ও তার ভাই মুআইয়্যাদ কে জেলখানা থেকে বের করে সামারাবাসী মু’তায্যের হাতে বায়াত গ্রহন করে। এবং বাইতুল মাল দখল করে নেয়। বাতুলমালে তখন পাচ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা ছিল। আর মুস্তাইনের মায়ের দশ লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা এবং তার ছেলে আব্বাস ইবনে মুস্তাইনের ছয় লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা জমা ছিল। এ দিয়ে সামারায় মু’তায্যের ক্ষমতা মজবুত হয়।

মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরকে বাগদাদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শহরের দুই প্রচির ও পরিখাকে মেরামতের নির্দেশ দেন মুস্তাইন। এ জন্য তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার দিনার বরাদ্ধ করেন। আর শহর হেফাজতের জন্য সব গেটে পাহারাদার নিযুক্ত করেন। প্রাচিরসমূহের উপর পাঁচটি মিনজানিক স্থাপন করেন। যার একটা অনেক বড় ছিল। যেটার নাম ছিল গযবান (রাগন্বিত / ক্ষিপ্ত)।
[سَنَةُ إِحْدَى وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ] [الْأَحْدَاثُ الَّتِي وَقَعَتْ فِيهَا] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ إِحْدَى وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ فِيهَا اجْتَمَعَ رَأْيُ الْمُسْتَعِينِ وَبُغَا الصَّغِيرِ وَوَصِيفٍ عَلَى قَتْلِ بَاغِرَ التُّرْكِيِّ وَكَانَ مِنَ الْقُوَّادِ الْكِبَارِ الَّذِينَ بَاشَرُوا قَتْلَ الْمُتَوَكِّلِ، وَقَدِ اتَّسَعَ إِقْطَاعُهُ، وَكَثُرَتْ أَعْمَالُهُ فَقُتِلَ وَنُهِبَتْ دَارُ كَاتِبِهِ دَلِيلِ بْنِ يَعْقُوبَ النَّصْرَانِيِّ، وَنُهِبَتْ أَمْوَالُهُ وَحَوَاصِلُهُ، فَرَكِبَ الْخَلِيفَةُ فِي حَرَّاقَةِ مَنْ سَامَرَّا إِلَى بَغْدَادَ ; فَاضْطَرَبَتِ الْأُمُورُ بِسَبَبِ خُرُوجِهِ إِلَيْهَا، وَذَلِكَ فِي خَامِسِ الْمُحَرَّمِ، فَنَزَلَ الْخَلِيفَةُ دَارَ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ وَقَعَتْ فِتْنَةٌ شَنْعَاءُ بَيْنَ جُنْدِ بَغْدَادَ وَجُنْدِ سَامَرَّا، وَدَعَا أَهْلُ سَامَرَّا إِلَى بَيْعَةِ الْمُعْتَزِّ، وَاسْتَقَرَّ أَمْرُ أَهْلِ بَغْدَادَ عَلَى الْمُسْتَعِينِ، وَأُخْرِجَ الْمُعْتَزُّ وَأَخُوهُ الْمُؤَيَّدُ مِنَ السِّجْنِ فَبَايَعَ أَهْلُ سَامَرَّا الْمُعْتَزَّ، وَاسْتَحْوَذَ عَلَى حَوَاصِلَ بَيْتِ الْمَالِ بِهَا ; فَإِذَا بِهَا خَمْسُمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَفِي خِزَانَةِ أَمِّ الْمُسْتَعِينِ أَلْفُ أَلْفُ دِينَارٍ، وَفِي حَوَاصِلِ الْعَبَّاسِ ابْنِ الْمُسْتَعِينِ سِتُّمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ، وَاسْتَفْحَلَ أَمْرُ الْمُعْتَزِّ بِسَامَرَّا، وَأَمَرَ الْمُسْتَعِينُ لِمُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ أَنْ يُحَصِّنَ بَغْدَادَ وَيَعْمَلَ فِي السُّورَيْنِ وَالْخَنْدَقِ، وَغَرِمَ عَلَى ذَلِكَ ثَلَاثَمِائَةِ أَلْفِ دِينَارٍ وَثَلَاثِينَ أَلْفَ دِينَارٍ، وَوَكَّلَ بِكُلِّ بَابٍ أَمِيرًا يَحْفَظُهُ، وَنَصَبَ عَلَى السُّورِ خَمْسَةَ مَجَانِيقَ، مِنْهَا وَاحِدٌ كَبِيرٌ جِدًّا
পৃষ্ঠা - ৮৭৭২
এবং ছয়টা পাথর নিক্ষেপ করার যন্ত্র (প্রচিন কালের বিশেষ যুদ্ধাস্ত্র) স্থাপন করেন।যুদ্ধ ও প্রতিরক্ষার সরঞ্জামাদি প্রস্তুত করেন। এবং জনবল তৈরি করতে থকেন। আর শহরের চারপাশের সেতু ভেঙ্গে দেন। যাতে শত্রুবাহিনী শহরে পৌছাতে না পারে।

এ সময় মু’তায্য মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের কাছে চিঠি পাঠান এবং তার সাথে মিলিত হতে বলেন। চিঠিতে তার পিতা মুতাওয়াক্কিল তাদের থেকে যে ওয়াদা অঙ্গিকার নিয়েছিল তা স্বরণ করান। তা হল আমার পর মু’তায্য খলিফা হবে। কিন্তু মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ এদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ করেন নাই। বরং তার বিপরিত বিভিন্ন অযৌক্তিক অযুহাত খাড়া করেন। যা এখানে আলোচনা করলে আলোচনা দীর্ঘ হয়ে যাবে।

মুস্তাইন ও মু’তায্য প্রত্যেকেই মুসা ইবনে বুগা কাবীরের কাছে চিঠি লিখল। প্রত্যেকেই তার নিজের সাথে মিলিত হওয়ার আহবান জানল। ঐ সময় তিনি শামের এক এলাকায় ছিলেন, হিমসের সাথে যুদ্ধ করার জন্য। মু’তায্য তার কাছে কিছু ঝান্ড পাঠাল তার সাথি সঙ্গির মধ্যে যাকে ইচ্ছা দেওয়ার জন্য। আর মুস্তাইন লিখল যে, সে বাগদাদে তার কাছে আসলে উনি তাকে তার সহকারীর পদে নিয়োগ দিবে।

কিন্তু মুস ইবনে বুগা কবীর দ্রুত সফর করে সামাররায় চলে আসেন। এবং সে মুস্তাইনের বিপক্ষ হয়ে মু’তায্যের সাথে মিলে যান। অনুরূপভাবে আব্দুল্লাহ বুগা ছগীর বাগদাদে তার পিতার কাছ থেকে পালায়ে সামাররায় এসে মু’তায্যের সাথে মিলিত হন। উনি ছাড়াও আরো অনেক আমীর ও তুর্কী অধিবাসী মু’তায্যের সাথে মিলিত হয়।

মু’তায্য তার ভাই আবূ আহমাদ ইবনে মুতাওয়াক্কিলের নেতৃত্বে একটি বাহিনী মুস্তাইনের সাথে যুদ্ধ করার জন্য পাঠানোর সিন্ধান্ত নেন। সেজন্য সৈন্য-সামান্ত প্রস্তুত করে দেন। আবূ আহমাদ পঞ্চাশ হাজার তুর্কী ও অন্যান্য সৈন্য নিয়ে বাগদাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। উকবারা নামক স্থানে পৌছে জুমার নামায পড়েন এবং তার ভাই মু’তায্যের জন্য দুআ করেন। অতঃপর তিনি সফরের সাত তারিখ রবিবার রাতে বাগদাদে পৌছেন। ওখানেও এক বড় বাহিনীও তার সাথে মিলিত হয়। ঐস্থানে আবূ আহমাদের সৈন্য বাহিনীর এক লোক যার নাম বাযেনজানা কিছু কবিতা আবৃতি করেন।
يُقَالُ لَهُ: الْغَضْبَانُ. وَسِتَّ عَرَّادَاتٍ، وَأَعَدُّوا آلَاتِ الْحَرْبِ وَالْحِصَارِ وَالْعُدَدَ وَقُطِعَتِ الْقَنَاطِرُ مِنْ كُلِّ نَاحِيَةٍ ; لِئَلَّا يَصِلَ الْجَيْشُ إِلَيْهِمْ. وَكَتَبَ الْمُعْتَزُّ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ يَدْعُوهُ إِلَى الدُّخُولِ مَعَهُ فِي أَمْرِهِ، وَيُذَكِّرُهُ مَا كَانَ أَخَذَهُ عَلَيْهِمْ أَبُوهُ الْمُتَوَكِّلُ مِنَ الْعُهُودِ وَالْمَوَاثِيقِ أَنْ تَكُونَ الْخِلَافَةُ بَعْدَ الْمُنْتَصِرِ لَهُ، فَلَمْ يَلْتَفِتْ إِلَيْهِ بَلْ رَدَّ عَلَيْهِ، وَاحْتَجَّ بِحُجَجٍ يَطُولُ ذِكْرُهَا. وَكَتَبَ كُلُّ وَاحِدٍ مِنَ الْمُسْتَعِينِ وَالْمُعْتَزِّ إِلَى مُوسَى بْنِ بُغَا الْكَبِيرِ وَهُوَ مُقِيمٌ بِأَطْرَافِ الشَّامِ لِحَرْبِ أَهْلِ حِمْصَ يَدْعُوهُ إِلَى نَفْسِهِ، وَبَعَثَ إِلَيْهِ بِأَلْوِيَةٍ يَعْقِدُهَا لِمَنِ اخْتَارَ مِنْ أَصْحَابِهِ، وَكَتَبَ إِلَيْهِ الْمُسْتَعِينُ يَأْمُرُهُ بِالْمَسِيرِ إِلَيْهِ إِلَى بَغْدَادَ وَيَأْمُرُهُ أَنْ يَسْتَنِيبَ فِي عَمَلِهِ، فَرَكِبَ مُسْرِعًا فَسَارَ إِلَى سَامَرَّا فَكَانَ مَعَ الْمُعْتَزِّ عَلَى الْمُسْتَعِينِ، وَكَذَلِكَ هَرَبَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُغَا الصَّغِيرِ مِنْ عِنْدِ أَبِيهِ، مِنْ بَغْدَادَ إِلَى سَامَرَّا، وَكَذَلِكَ غَيْرُهُ مِنَ الْأُمَرَاءِ وَالْأَتْرَاكِ. وَعَقَدَ الْمُعْتَزُّ لِأَخِيهِ أَبِي أَحْمَدَ ابْنِ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى حَرْبِ الْمُسْتَعِينِ، وَجَهَّزَ مَعَهُ جَيْشًا لِذَلِكَ، فَسَارَ فِي خَمْسَةِ آلَافٍ مِنَ الْأَتْرَاكِ وَغَيْرِهِمْ نَحْوَ بَغْدَادَ وَصَلَّى بِعُكْبَرَا يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَدَعَا لِأَخِيهِ الْمُعْتَزِّ، ثُمَّ وَصَلَ إِلَى بَغْدَادَ لَيْلَةَ الْأَحَدِ لِسَبْعٍ خَلَوْنَ مِنْ صَفَرٍ فَاجْتَمَعَتِ الْعَسَاكِرُ هُنَالِكَ، وَقَدْ قَالَ رَجُلٌ يُقَالُ
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৩
হে তাহেরের বংশধর আল্লাহর সৈন্য বহিনী তোমাদের কাছে এসেছে এদের ভয় কর।    কারণ মৃত্যুকে তারা ভয় করে না।
এই সৈন্য বাহিনীর মোকাবেলা কর না। যাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আবূ আহমাদ।    যিনি ভালো বন্ধু ও বড় সাহয্যকারী

তারপরে উভয় গ্রুফের মাঝে ভিষণ যুদ্ধ চলতে লাগল। অনেক ভয়ংকার অবস্থা সৃষ্টি হয়। যা ইবনে জারির  তার প্রশিদ্ধ কিতাব তারিখে তাবারিতে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।

অতঃপর মু’তায্য তার ভাই আবূ আহমাদ ইবনে মুতাওয়াক্কিলের সাহায্যের জন্য মূসা ইবনে আশনানের নেতৃত্বে  তিন হাজার সৈন্য পাঠান। তারা রবিউল আউয়াল মাসের শেষ দিন রাতে গিয়ে পৌছল। তারা সেখানে গিয়ে শহরের পশ্চিম পাশে বাবে কুতরাব্বুল (শহরে প্রবেশের একটা গেটের নাম) এর সামনে অবস্থান নিল। আর আবূ আহমাদ ও তার সঙ্গীগণ বাবে শাম্মাসিয়া (শহরের আরেকটি গেট) এর সামনে অবস্থান নিল। এ সময় তুমুল বেগে লড়াই চলছিল। বহু মানুষ মরতে লাগল।

যুদ্ধের অবস্থা বর্ণনা করার সময় ইবনে যারির লেখেন : মু’তায্য তার ভাই আবূ আহমাদ ইবনে মুতাওয়াক্কিলের চিঠি লিখল। চিঠিতে বাগদাদবাসীদের সাথে লাড়ায়ের ক্ষেত্রে অবহেলার উপর ভাইকে তিরষ্কার করেন। চিঠির জবাবে আহমাদ নিচের কবিতাগুলো লিখল।

আমাদের কাছে মৃত্যু আসার একটাই রাস্তা  ۞  যামানা কখনো আমাদের অনুকুলে কখনো আবার প্রতিকুলে যায়।
আমাদের দিনগুলো লোকের জন্য শিক্ষনীয় থাকবে  ۞  যার কিছু বিপদ সকালের আসে কিছু রাতে।
যার কিছু মুসিবত এমন যা বাচ্চাকে বুড়ো বানায়  ۞  আর কিছু এমন যে কারণে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে ফেলে রেখে যায়।
অনেক প্রশস্ত প্রাচির যার চূড়া এত উচু  ۞  আমাদের নজর সে পর্যন্ত পৌছে না এবং এক গভীর সমুদ্রও আছে।
ধংশকারী যুদ্ধ এবং প্রস্তুতকৃত এক তলোয়ার  ۞  বড় ভয়ংকার ও মজবুত দুর্গ
لَهُ: بَاذِنْجَانَةُ. كَانَ فِي عَسْكَرِ أَبِي أَحْمَدَ: يَا بَنِي طَاهِرٍ أَتَتْكُمْ جُنُودُ اللَّهِ ... وَالْمَوْتُ بَيْنَهَا مَنْثُورُ وَجُيُوشٌ أَمَامَهُنَّ أَبُو أَحْ ... مَدَ نِعْمَ الْمَوْلَى وَنِعْمَ النَّصِيرُ ثُمَّ جَرَتْ بَيْنَهُمَا حُرُوبٌ طَوِيلَةٌ وَفِتَنٌ مَهُولَةٌ جِدًّا قَدْ ذَكَرَهَا ابْنُ جَرِيرٍ مُطَوَّلَةً ثُمَّ بَعَثَ الْمُعْتَزُّ مَعَ مُوسَى بْنِ أَشْنَاسَ ثَلَاثَةَ آلَافٍ مَدَدًا لِأَخِيهِ أَبِي أَحْمَدَ ابْنِ الْمُتَوَكِّلِ، فَوَصَلُوا لِلَيْلَةٍ بَقِيَتْ مِنْ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ، فَوَقَفُوا فِي الْجَانِبِ الْغَرْبِيِّ عِنْدَ بَابِ قُطْرَبُّلَ، وَأَبُو أَحْمَدَ وَأَصْحَابُهُ عَلَى بَابِ الشَّمَّاسِيَّةِ، وَالْحَرْبُ مُسْتَعِرَةٌ، وَالْقِتَالُ كَثِيرٌ، وَالْقَتْلُ وَاقِعٌ. قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: وَذُكِرَ أَنَّ الْمُعْتَزَّ كَتَبَ إِلَى أَخِيهِ أَبِي أَحْمَدَ يَلُومُهُ عَلَى التَّقْصِيرِ فِي قِتَالِ أَهْلِ بَغْدَادَ فَكَتَبَ إِلَيْهِ أَبُو أَحْمَدَ: لِأَمْرِ الْمَنَايَا عَلَيْنَا طَرِيقُ ... وَلِلدَّهْرِ فِينَا اتِّسَاعٌ وَضِيقُ فَأَيَّامُنَا عِبَرٌ لِلَأَنَامِ ... فَمِنْهَا الْبُكُورُ وَمِنْهَا الطَّرُوقُ وَمِنْهَا هَنَاتٌ تُشِيبُ الْوَلِيدَ ... وَيَخْذُلُ فِيهَا الصَّدِيقَ الصَّدِيقُ وَسُورٌ عَرِيضٌ لَهُ ذِرْوَةٌ ... تَفُوتُ الْعُيُونَ وَبَحْرٌ عَمِيقُ قِتَالٌ مُبِيدٌ وَسَيْفٌ عَتِيدٌ ... وَخَوْفٌ شَدِيدٌ وَحِصْنٌ وَثِيقُ
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৪
সকালে আহবানকারীর অনেক জোরে চিৎকার  ۞  হাতিয়ার হাতিয়ার বলে, কিন্তু তাতে কোন উপকার হচ্ছে না।
কেউ জমিনে পড়ে আছে, কেউ আহাত   ۞  কেউ আগুনে জ্বলছে আর কেউ সাগরে ডুবছে।
কেউ মরে পড়ে আছে আর কেউ বেহুশ হয়ে আছে  ۞  আবার কাউকে মিনজানিকের আঘাতে অঙ্গ প্রতঙ্গ ভেঙ্গে চুর্ণ বিচুর্ণ হয়েছে।
এখানে বেশি বেশি জবরদস্তি হয় এবং লুট করা হয়  ۞  এ এক বিরাণ ঘর বাড়ি যা মানুষ কে খুশি করে।
যখন আমরা কোন রাস্তায় চলতে থকি  ۞  একটু পরে দেখি সামনের রাস্তা বন্ধ।
আল্লাহরই সাহায্যে আমরা আমদের লক্ষ্যে পৌছব  ۞  আল্লাহরই সাহায্যেই দুঃসাধ্য বিষয় অর্জন করে বিজয় আনব।

ইবনে জারির বলেন : এ সমস্ত কবিতা আলী ইবনে উমাইয়ার রচিত। যা তিনি মাখলু ও মামুনের ফেতনার সময় আবৃতি করেন।

বাগদাদে আবূ আহমাদ ও মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের গ্রুফের মাঝে ফেতনা ফাসাদ এবং যুদ্ধ চলতে থাকল। সমস্ত শহর আবূ আহমাদ ঘেরাও করে রাখল। ঐ বছরের বাকি দিনগুলোতে বাগদাদের অধিবাসীরা কঠিন মসিবতে পড়েন। এ দুর্যোগপূর্ণ দিনসমূহে বিভিন্ন হামলায় উভয় গ্রুফের অনেক লোক মারা যায়। কখনো আবূ আহমাদ প্রাধান্যতা লাভ করেন। ফলে শহরের কিছু ফটক দখল করেন। আবার মুহাম্মাদ তাদের উপর হামল করে তাদের কে তাড়িয়ে দেন। অনেক লোককেও হত্যা করেন। তারপর নিজেদের জায়গায় ফিরে আসেন। এরপর কিছু সময় যুদ্ধ বিরত রাখেন।

কিন্তু কখনো কখনো বাগদাদে খাদ্য ও অন্যান্য আসবাবপত্রের আমদানী কমে যাচ্ছিল। তখন বাগদাদবাসীগণ কাপুরুষতার শিকার হচ্ছিল। অতঃপর জনসাধারণ মধ্যে এক কথা ছড়িয়ে গেল যে মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ মুস্তাইন কে ছেড়ে মু’তায্যের হাতে বয়াত হওয়ার ইচ্ছা করছে। এটা বছরের শেষের দিকের অবস্থা। কিন্তু মুহাম্মাদ এ বিষয় অস্বীকার করল। খলিফা ও সারধারণ জনতার সামনে ওজর পেশ করল।
وَطُولُ صِيَاحٍ لِدَاعِي الصَّبَاحِ ... السِّلَاحَ السِّلَاحَ فَمَا يَسْتَفِيقُ فَهَذَا طَرِيحٌ وَهَذَا جَرِيحٌ ... وَهَذَا حَرِيقٌ وَهَذَا غَرِيقُ وَهَذَا قَتِيلٌ وَهَذَا تَلِيلٌ ... وَآخَرُ يَشْدُخُهُ الْمِنْجَنِيقُ هُنَاكَ اغْتِصَابٌ وَثَمَّ انْتِهَابٌ ... وَدُورٌ خَرَابٌ وَكَانَتْ تَرُوقُ إِذَا مَا سَمَوْنَا إِلَى مَسْلَكٍ ... وَجَدْنَاهُ قَدْ سُدَّ عَنَّا الطَّرِيقُ فَبِاللَّهِ نَبْلُغُ مَا نَرْتَجِيهِ ... وَبِاللَّهِ نَدْفَعُ مَا لَا نُطِيقُ قَالَ ابْنُ جَرِيرٍ: هَذَا الشِّعْرُ يُنْشَدُ لِعَلِيِّ بْنِ أُمَيَّةَ فِي فِتْنَةِ الْمَخْلُوعِ وَالْمَأْمُونِ. وَقَدِ اسْتَمَرَّتِ الْفِتْنَةُ وَالْقِتَالُ بِبَغْدَادَ بَيْنَ أَبِي أَحْمَدَ أَخِي الْمُعْتَزِّ وَبَيْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ نَائِبِ الْمُسْتَعِينِ، وَالْبَلَدُ مَحْصُورٌ وَأَهْلُهُ فِي ضِيقٍ شَدِيدٍ جِدًّا بَقِيَّةَ شُهُورِ هَذِهِ السَّنَةِ، وَقُتِلَ مِنَ الْفَرِيقَيْنِ خَلْقٌ كَثِيرٌ فِي وَقَعَاتٍ مُتَعَدِّدَاتٍ، وَأَيَّامٍ نَحِسَاتٍ ; فَتَارَةً يَظْهَرُ أَصْحَابُ أَبِي أَحْمَدَ، وَيَأْخُذُونَ بَعْضَ الْأَبْوَابِ، فَتَحْمِلُ عَلَيْهِمُ الطَّاهِرِيَّةُ فَيُزِيحُونَهُمْ عَنْهَا، وَيَقْتُلُونَ مِنْهُمْ خَلْقًا، ثُمَّ يَتَرَاجَعُونَ إِلَى مَوَاقِفِهِمْ وَيُصَابِرُونَهُمْ مُصَابَرَةً عَظِيمَةً، لَكِنَّ أَهْلَ بَغْدَادَ كُلُّ مَا لَهُمْ إِلَى ضَعْفٍ بِسَبَبِ قِلَّةِ الْمِيرَةِ وَالْجَلَبِ إِلَى دَاخِلِ الْبَلَدِ. ثُمَّ شَاعَ بَيْنَ الْعَامَّةِ أَنْ مُحَمَّدَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ يُرِيدُ أَنْ يَخْلَعَ الْمُسْتَعِينَ وَيُبَايِعَ لِلْمُعْتَزِّ، وَذَلِكَ فِي أَوَاخِرَ السَّنَةِ، فَتَنَصَّلَ مِنْ ذَلِكَ، وَاعْتَذَرَ إِلَى
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৫
এ বিষয়ে বিভিন্নভাবে কসম করতে থাকেন। তারপরেও জনসাধারণের মধ্যে সন্দেহ সংশয় থেকেই গেল। এক সময় জনসাধারণের বড় এক দল মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আবূ তাহেরের বাড়ির সামনে  একত্রিত হয়ে শোরগোল করতে লাগল। ঐ সময় খলিফাও সেখানে ছিল। তখন মানুষ চাইল খলিফা যেন মানুষের সম্মুখে আসেন। তারা খলিফাকে দেখবেন এবং মুহাম্মাদ সম্মর্কে মতামত জিজ্ঞাসা করবেন। আস্তে আস্তে মানুষের শোরগোল বাড়তে লাগল। অবশেষে খলিফা জনসম্মুখে বের হলেন। তখন তিনি কালো কাপড় পরে ছিলেন এবং তার উপরে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটা চাদর ছিল। আর হাতে একটা লাঠি ছিল।

তিনি জনসাধারণকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমি তোমাদের কে এই চাদর ও লাঠি ওয়ালার কসম দিয়ে বলতেছি যে, তোমরা বাড়ি ফিরে যাও। ইবনে আবূ তাহেরের ব্যাপারে শান্ত হও। কারণ সে আমার নিকট নিরাপরাধ ব্যক্তি। তখন শোরগোল শেষ হয়ে গেল। সবাই নিজ নিজ বাড়ি ফিরে গেল।

অতঃপর জিলহজ্জ শুরুর দিকে খলিফা ইবনে আবূ তাহেরের বাড়ি থেকে বের হয়ে রিজ্ক আল খাদেরমের বাড়িতে গেলেন। সেখানে এক দ্বীপে ঈদুল আযহার নামায পড়ালেন। যে দ্বীপটা ইবনে আবূ তাহেরের বাড়ির বিপরিত দিকে অসস্থিত। ঐ দিন খলিফা মানুষের সামনে আসলেন। তখন তাঁর সামনে বল্লম গায়ে নববী চাদর হাতে লাঠি ছিল। ঐ দিন বাগদাদের অধিবাসীদের জন্য এক স্বরণীয় দিন ছিল। কারণ তারা চারিদিক থেকে বেষ্টিত ছিল এবং সমস্ত জিনিসের চড়া দাম ছিল। যে অবস্থার প্রকাশ হয়েছে ক্ষুধা ও ভয়ের পোশাকে।
আল্লাহ তায়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে সকলে সুস্থতা দান করুক।

যখন যুদ্ধের বিষয় আরো বিপদজনক হল। মানুষের অবস্থা আরো গুরুতর ও সংকির্ণ হল। পরিবার ক্ষুধার্ত থাকতে লাগল। সবাই পেরেশান হয়ে গেল। তখন ইবনে তাহের মুসতাইনের পদচ্যুতির যে ইচ্ছা মনের ভিতর গোপন রেখেছিল প্রথমে তা ইশারা ইঙ্গিতে প্রকাশ করেন। পরে প্রকাশ্যে স্পষ্টভাবে বলতে লাগলেন। এমনকি খলিফা মুস্তাইনের সাথে বাগবিতান্ডও করতে লাগলেন। খলিফা কে বলতে লাগলেন এ অবস্থায় আপনার জন্য উচিৎ হল কিছু নগদ ও কিছু বাকি মালের বিনিময়ে খেলাফাতের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি গ্রহন করেন। এ মর্মে তাদের সাথে সমঝোতা করেন। আর প্রত্যেক বছর আপনার প্রয়োজন পুরনের জন্য একটা ভাতা নির্ধারণ করে নেন। ইবনে তাহের তার এ চেষ্টা অব্যহত রাখেন।
الْخَلِيفَةِ وَإِلَى الْعَامَّةِ، وَحَلَفَ بِالْأَيْمَانِ الْغَلِيظَةِ، فَلَمْ تَبْرَأْ سَاحَتُهُ مِنْ ذَلِكَ حَقَّ الْبَرَاءَةِ عِنْدَ الْعَامَّةِ، وَاجْتَمَعَتِ الْعَامَّةُ وَالْغَوْغَاءُ إِلَى دَارِ ابْنِ طَاهِرٍ، وَالْخَلِيفَةُ نَازِلٌ بِهَا، فَسَأَلُوا أَنْ يُبْرِزَ لَهُمُ الْخَلِيفَةَ لِيَرَوْهُ وَيَسْأَلُوهُ عَنِ ابْنِ طَاهِرٍ ; أَهْوَ رَاضٍ عَنْهُ أَمْ لَا؟ وَمَا زَالَتِ الضَّجَّةُ وَالْأَصْوَاتُ مُرْتَفِعَةً حَتَّى بَرَزَ الْخَلِيفَةُ مِنْ فَوْقِ الْمَكَانِ الَّذِي هُمْ فِيهِ، وَعَلَيْهِ السَّوَادُ وَمِنْ فَوْقِهِ الْبُرْدَةُ النَّبَوِيَّةُ، وَبِيَدِهِ الْقَضِيبُ، وَقَالَ لَهُمْ فِيمَا خَاطَبَهُمْ بِهِ: أَقْسَمْتُ عَلَيْكُمْ بِحَقٍّ صَاحِبِ هَذِهِ الْبُرْدَةِ وَالْقَضِيبِ لَمَا رَجَعْتُمْ إِلَى مَنَازِلِكُمْ، وَرَضِيتُمْ عَنِ ابْنِ طَاهِرٍ ; فَإِنَّهُ غَيْرُ مُتَّهَمٍ لَدَيَّ. فَسَكَتَ الْغَوْغَاءُ وَرَجَعُوا إِلَى مَنَازِلِهِمْ ثُمَّ انْتَقَلَ الْخَلِيفَةُ مِنْ دَارِ ابْنِ طَاهِرٍ إِلَى دَارِ رِزْقٍ الْخَادِمِ، وَذَلِكَ فِي أَوَائِلِ شَهْرِ ذِي الْحِجَّةِ وَصَلَّى بِهِمُ الْعِيدَ يَوْمَ الْأَضْحَى فِي الْجَزِيرَةِ الَّتِي بِحِذَاءِ دَارَ ابْنِ طَاهِرٍ، وَبَرَزَ الْخَلِيفَةُ يَوْمَئِذٍ لِلنَّاسِ، وَبَيْنَ يَدَيْهِ الْحَرْبَةُ، وَعَلَيْهِ الْبُرْدَةُ، وَبِيَدِهِ الْقَضِيبُ، وَكَانَ يَوْمًا مَشْهُودًا بِبَغْدَادَ عَلَى مَا بِأَهْلِهَا مِنَ الْحِصَارِ، وَغَلَاءِ الْأَسْعَارِ الْمُتَرْجَمَيْنِ عَنْ لِبَاسِ الْجُوعِ وَالْخَوْفِ، نَسْأَلُ اللَّهَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ. وَلَمَّا تَفَاقَمَ الْأَمْرُ، وَاشْتَدَّ الْحَالُ وَضَاقَ الْمَجَالُ، وَجَاعَ الْعِيَالُ، وَجَهِدَ الرِّجَالُ شَرَعَ ابْنُ طَاهِرٍ يُظْهِرُ مَا كَانَ كَامِنًا فِي نَفْسِهِ مِنْ خَلْعِ الْمُسْتَعِينِ، فَجَعَلَ يُعَرِّضُ لَهُ بِذَلِكَ وَلَا يُصَرِّحُ ثُمَّ كَاشَفَهُ بِهِ وَأَظْهَرَهُ لَهُ، وَنَاظَرَهُ فِيهِ، وَقَالَ لَهُ: إِنَّ الْمَصْلَحَةَ تَقْتَضِي أَنْ تُصَالِحَ عَنِ الْخِلَافَةِ عَلَى مَالٍ تَأْخُذُهُ سَلَفًا، وَتَعْجِيلًا، وَأَنْ يَكُونَ لَكَ مِنَ الْخَرَاجِ فِي كُلِّ عَامٍ مَا تَخْتَارُهُ وَتَحْتَاجُهُ. وَلَمْ يَزَلْ يَفْتِلُ فِي الذِّرْوَةِ،
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৬
অবশেষে খলিফা এ প্রস্তাব মানার জন্য তৈরি হয়ে যান। তখন খলিফা মুস্তাইন খেলাফতের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার জন্য যে শর্ত দেন তা একটি কাগজে লেখেন। অতঃপর জিলহজ্জ মাসের বিশ তারিখ মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহের রসাফা নামক স্থানে যান। কাজী ও বিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামদের একত্রিত করেন। তাদেরকে দলে দলে মুস্তাইনের নিকট নিয়ে আসেন। যাতে তারা সাক্ষী থাকে যে খলিফা তাঁর নিজের সমস্ত বিষয় মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে তাহেরের উপর ন্যাস্ত করেছেন। অনুরূপভাবে খাদেম ও অন্যান্য কর্মচারীদের এক জামাতকেও সাক্ষী বানানোর জন্য নিয়ে আসেন। এরপর খেলাফাতের মোহরও নিয়ে নেন। এবং মুস্তাইনের কাছে রাতের অনেক সময় পর্যন্ত বসে থাকেন। তারপর যখন সকাল হল মানুষ তার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের কথা বলতে লাগলেন।

অপরদিকে ইবনে তাহের ঐ চুক্তিপত্রের কাগজ আমীর-ওমারাদের এক জামাতের মাধ্যমে সামাররা এলাকায় মু’তায্যের কাছে পাঠান। যখন ঐ আমীর-ওমারাগণ তাঁর কছে পৌঁছে তখন তিনি তাদের অনেক ইজ্জত সম্মান করেন। আর অনেক দামী দামী বিভিন্ন হাদিয়া তোহফা দেন।

এ বিষয়ের বাকি কথা পরবর্তী বছরের আলোচনার শুরুতে আসছে।

এ বছরের রবিউল আওয়াল মাসে কজবিন ও ঝানজান নামক স্থানে আহলে বাইতের আরেক জনের আত্মপ্রকাশ হয়। যার নাম হুসাইন ইবনে আহমাদ ইবনে ইসমাইল ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল আরকাত ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আলী ইবনে আবূ তালেব। যিনি আল-কাওকাবী নামে প্রশিদ্ধ ছিল। তার সম্পর্কে আরো কথা পরে আলোচনায় আসবে।

এবছরে ইসমাইল ইবনে আলাবী আত্মপ্রকাশ করেন। যিনি মুসা ইবনে আব্দুল্লাহ আল হাসানীর ভাগিন ছিলেন। তার বিষয়ের আলোচনাও সামনে আসবে।
وَالْغَارِبِ حَتَّى أَجَابَ إِلَى ذَلِكَ وَأَنَابَ. فَكَتَبَ بِمَا اشْتَرَطَهُ الْمُسْتَعِينُ فِي خَلْعِهِ نَفْسَهُ مِنَ الْخِلَافَةِ كِتَابًا. فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ السَّبْتِ لِعَشَرٍ بَقِينَ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ رَكِبَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ إِلَى الرُّصَافَةِ، وَجَمَعَ الْقُضَاةَ وَالْفُقَهَاءَ، وَأَدْخَلَهُمْ عَلَى الْمُسْتَعِينِ فَوْجًا فَوْجًا يَشْهَدُونَ عَلَيْهِ أَنَّهُ قَدْ صَيَّرَ أَمْرَهُ إِلَى مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ طَاهِرٍ، وَكَذَلِكَ جَمَاعَةُ الْحُجَّابِ وَالْخَدَمِ ثُمَّ تَسَلَّمَ مِنْهُ جَوْهَرَ الْخِلَافَةِ، وَأَقَامَ عِنْدَ الْمُسْتَعِينِ إِلَى هَوِيٍّ مِنَ اللَّيْلِ، وَأَصْبَحَ النَّاسُ يَذْكُرُونَ، وَيَتَنَوَّعُونَ فِيمَا يَقُولُونَ مِنَ الْأَرَاجِيفِ، وَأَمَّا ابْنُ طَاهِرٍ، فَإِنَّهُ أَرْسَلَ بِالْكِتَابِ مَعَ جَمَاعَةٍ مِنَ الْأُمَرَاءِ إِلَى الْمُعْتَزِّ بِسَامَرَّا فَلَمَّا قَدِمُوا عَلَيْهِ بِذَلِكَ أَكْرَمَهُمْ، وَخَلَعَ عَلَيْهِمْ، وَأَجَازَهُمْ فَأَسْنَى جَوَائِزَهُمْ، وَسَيَأْتِي مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَوَّلَ السَّنَةِ الدَّاخِلَةِ. وَفِي هَذِهِ السَّنَةِ فِي رَبِيعٍ الْأَوَّلِ مِنْهَا كَانَ ظُهُورُ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْبَيْتِ أَيْضًا بِأَرْضِ قَزْوِينَ وَزَنْجَانَ ; وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ الْأَرْقَطِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، وَيُعْرَفُ بِالْكَوْكَبِيِّ، وَسَيَأْتِي مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ هُنَاكَ. وَفِيهَا خَرَجَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُوسُفَ الْعَلَوِيُّ، وَهُوَ ابْنُ أُخْتِ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْحَسَنِيِّ. وَسَيَأْتِي مَا كَانَ مِنْ أَمْرِهِ أَيْضًا.
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৭
এই বছরেই কুফাতে বনি তালেবের একজন আত্মপ্রকাশ করেন। যার নাম হুসাইন ইবনে হামজা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবূ তালেব। তখন খলিফা মুস্তাইন মুঝাহিম ইবনে খাক্বান কে তার সাথে মুকাবেলা করার জন্য পাঠান। তাদের মাঝে যুদ্ধ হল। এতে মুঝাহিম ইবনে খাক্বান হুসাইন আল আলাবী কে পরাজিত করেন। আর দলের অনেক লোককে হত্যা করল। এরপর মুঝাহিম কুফাতে প্রবেশ করল। এবং সেখানে এক হাজার বাড়ি ঘর জ্বলিয়ে দিল। আর যারা হুসাইনের সহযোগিতা করেছিল তাদের মাল সম্পদ লুট করল। তার কিছু আজাদকৃত বাদিদের বিক্রি করল।

এই বছর মক্কাতে ইসমাইল ইবনে ইউসুফ ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুসা ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে হাসান ইবনে হাসান আলী ইবনে আবী তালেব আত্মপ্রকাশ করেন। তার ভয়ে মক্কার নায়েব জা’ফর ইবনে ফাযল ইবনে ঈসা ইবনে মূসা পলায়ন করেন। তখন ইসমাইল ইবনে ইউসুফ তার ও তার সাথি সঙ্গির বাড়ি ঘর লুট করেন। তার কিছু সৈন্য বাহিনী ও অন্যান্য কিছু লোকদের কে হত্যা করেন। কাবা ঘরে যে সমস্ত স্বর্ণ, রুপা, আতর, কাবার গেলাফ ইত্যাদি ছিল সব নিয়ে নেন। এবং মানুষের থেকে দুই লক্ষ দিনার কেড়ে নেন।

এরপর মুঝাহিম মদিনা মুনাওয়ারাতে চলে যান। ঐখানের নায়েব আলী ইবনে হুসাইন ইবনে ইসমাইলও তার ভয়ে পালিয়ে যান। তারপর রজব মাসে ইসমাইল ইবনে ইউসুফ আবার মক্কাতে ফিরে আসেন। এবং মক্কাবাসীদের কে অবরোধ করে রাখল। ফলে ক্ষুধা ও পিপাশায় অনেক মানুষ মারা যায়। ঐ সময় পণ্যের দাম এত বেড়ে গেছিল যে, মাত্র তিন উকিয়া (৩৫৭ গ্রাম) রুটির দাম এক দিরহাম। আর এক রিতিল (১ কেজি ৬৫০ গ্রাম) গোশতের দাম চার দিরহাম। এক বোতল পানির দাম  তিন দিরহাম। মক্কাবাসী এদের কারণে অনেক মুসিবতের শিকার হয়েছে।
মক্কাতে ৫৭ দিন থাকার পর জিদ্দাতে যায়।
وَفِيهَا خَرَجَ بِالْكُوفَةِ أَيْضًا رَجُلٌ مِنَ الطَّالِبِيِّينَ، وَهُوَ الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَمْزَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فَوَجَّهَ إِلَيْهِ الْمُسْتَعِينُ مُزَاحِمَ بْنَ خَاقَانَ فَاقْتَتَلَا فَهُزِمَ الْعَلَوِيُّ، وَقُتِلَ مِنْ أَصْحَابِهِ بَشَرٌ كَثِيرٌ، وَلَمَّا دَخَلَ مُزَاحِمٌ الْكُوفَةَ حَرَّقَ بِهَا أَلْفَ دَارٍ، وَنَهَبَ أَمْوَالَ الَّذِينَ خَرَجُوا مَعَهُ، وَبَاعَ بَعْضَ جِوَارِي الْحُسَيْنِ بْنِ مُحَمَّدٍ هَذَا وَكَانَتْ مُعْتَقَةً عَلَى بَابِ الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ. وَفِيهَا ظَهَرَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُوسَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ بِمَكَّةَ، فَهَرَبَ مِنْهُ نَائِبُهَا جَعْفَرُ بْنُ الْفَضْلِ بْنِ عِيسَى بْنِ مُوسَى، فَانْتَهَبَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُوسُفَ مَنْزِلَهُ، وَمَنَازِلَ أَصْحَابِهِ، وَقَتَلَ جَمَاعَةً مِنَ الْجُنْدِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ وَأَخَذَ مَا فِي الْكَعْبَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَالْفِضَّةِ وَالطِّيبِ وَكُسْوَةَ الْكَعْبَةِ، وَأَخَذَ مِنَ النَّاسِ نَحَوًا مِنْ مِائَتَيْ أَلْفِ دِينَارٍ، ثُمَّ خَرَجَ إِلَى الْمَدِينَةِ النَّبَوِيَّةِ، فَهَرَبَ مِنْهُ عَامِلُهَا عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ ثُمَّ رَجَعَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُوسُفَ إِلَى مَكَّةَ فِي رَجَبٍ فَحَصَرَ أَهْلَهَا حَتَّى هَلَكُوا جُوعًا وَعَطَشًا فَبِيعَ الْخُبْزُ ثَلَاثُ أَوَاقٍ بِدِرْهَمٍ وَاللَّحْمُ الرِّطْلُ بِأَرْبَعَةٍ، وَشَرْبَةُ الْمَاءِ بِثَلَاثَةِ دَرَاهِمَ، وَلَقِيَ مِنْهُ أَهْلُ مَكَّةَ كُلَّ بَلَاءٍ، ثُمَّ رَجَعَ عَنْهُمْ إِلَى جُدَّةَ بَعْدَ مُقَامِ سَبْعَةٍ وَخَمْسِينَ يَوْمًا فَانْتَهَبَ أَمْوَالَ التُّجَّارِ هُنَالِكَ، وَأَخَذَ
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৮
সেখানে গিয়ে ব্যবসায়ীদের মাল লুট করে নেয়। তাদের বাহন কেড়ে নেয়। মক্কায় এক কাফেলা ইয়ামান থেকে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিল সেগুলোও লুট করে। এরপর আবার মক্কতে ফিরে আসে। আল্লাহ তায়ালাই মুসমানদের পক্ষ থেকে তার প্রতিশোধ নিক। হজ্জের সময় আরাফার দিন মানুষদের কে আরাফার ময়দানে অবস্থান করতে দেয় নি। দিনের বেলাও রাতেও না। অনেক হাজীদের কে হত্যা করে। তাদের মাল সম্পদ কেড়ে নেয়। ঐ বছর সে এবং তার সাথি সঙ্গি ছাড়া আর কেউ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেনি। আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের কোন ইবাদত কবুল না করেন।

[ এ বছরে যারা মৃত্যু বরণ করে ]
বিশেষ ব্যক্তিবর্গ যারা এ বছরে মৃত্যু বরণ করেন :

ইসহাক ইবনে মানসুর কাওসাজ
হুমাইদ ইবনে ঝানজাওয়াহ
আমর ইবনে উসমান ইবনে কাছির ইবনে দিনার হিমসী
আবূ নাকী হিশাম ইবনে আব্দুল মালিক আল ইয়াঝানী
الْمَرَاكِبَ، وَقَطَعَ الْمِيرَةَ عَنْ أَهْلِ مَكَّةَ حَتَّى جُلِبَتْ إِلَيْهَا مِنَ الْيَمَنِ، ثُمَّ عَادَ إِلَى مَكَّةَ لَا جَزَاهُ اللَّهُ خَيْرًا عَنِ الْمُسْلِمِينَ، فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ لَمْ يُمَكِّنِ النَّاسَ مِنَ الْوُقُوفِ نَهَارًا وَلَا لَيْلًا، وَقَتَلَ مِنَ الْحَجِيجِ أَلْفًا وَمِائَةً، وَسَلَبَهُمْ أَمْوَالَهُمْ، وَلَمْ يَقِفْ بِعَرَفَةَ عَامَئِذٍ سِوَاهُ، وَمِنْ مَعَهُ مِنْ أَصْحَابِهِ، لَا تَقَبَّلَ اللَّهُ مِنْهُمْ صَرْفًا وَلَا عَدْلًا. [مَنْ تُوُفِّيَ فِيهَا مِنَ الْأَعْيَانِ] وَفِيهَا تُوُفِّيَ مِنَ الْأَعْيَانِ: إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ الْكَوْسَجُ. وَحُمَيْدُ بْنُ زَنْجَوَيْهِ. وَعَمْرُو بْنُ عُثْمَانَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ دِينَارٍ الْحِمْصِيُّ. وَأَبُو النَّقِيِّ هِشَامُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ الْيَزَنِيُّ.
পৃষ্ঠা - ৮৭৭৯
[ হিজরি ২৫২ সাল ]
[ মু’তায্যের খেলাফত কাল ]
এর পর ২৫২ হিজরী শুরু হল।
মুস্তাইন খেলাফত থেকে অব্যহতি নেয়ার পরে মু’তায্য বিল্লাহ ইবনে মুতাওয়াক্কিলের খেলাফতের আলোচনা।

এ বছরের শুরুটা এমন সময় হল যে, আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ মু’তায্য ইবনে জা’ফার মুতাওয়াক্কিল ইবনে মুহাম্মাদ মু’তাসিম ইবনে হারুনুর রশীদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মাহদী ইবনে আবূ জা’ফার আল-মানসুর খেলাফাতের দায়িত্ব গ্রহন করেছেন এবং তার নামে খেলাফাত দৃঢ় হয়েছে।

কেউ কেউ বলেন মু’তযযের মূল নাম আহমাদ আবার কেউ বলেন তার নাম যুবায়ের। ইবনে আসাকির দ্বিতীয় মতটাকে প্রধান্য দিছেন। তার ইতিহাস গ্রন্থে মু’তাযযের আলোচনা করার সময যুবায়ের নামে উল্লেখ করেন।

যখন মুস্তাইন খেলাফাত থেকে অব্যহতি গ্রহন করেন এবং মু’তাযযের হাতে বায়াত গ্রহন করেন। তখন বাগদাদে জামে মসজিদে খতীবগন মহাররমের চার তারিখ জুমার খুতবায় মেম্বারে খলিফা মু’তাযযের নাম ঘেষনা করেন। আর সাবেক খলিফ মুস্তাইন তার পরিবার, সন্তানাদী ও গোলাম বাদী সব নিয়ে রসাফা নামক এলাকে থেকে হাসান ইবনে সাহলের প্রাসাদে চলে যান। খলিফা তাদেরকে পৌছে দেয়ার জন্য তাদের সাথে সাঈদ ইবনে রজা এর নেতৃত্বে এক জামাত পাঠান। আর তারা মুস্তইন থেকে খেলাফতের চাদর, লাঠি ও মোহর নিয়ে এসে খলিফা মু’তায্য কে দিল। এরপরে মু’তায্য মুস্তাইনের কাছে আবার লোক পাঠাল তার কাছে যে দুটি মতির আংটি আছে তা দিয়ে দিতে। যে আংটির একটির নাম বুরজ আর অপরটির নাম জাবাল। তিনি উভয় আংটি দিয়ে দেন।
[سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ] [خِلَافَةُ الْمُعْتَزِّ بِاللَّهِ] ثُمَّ دَخَلَتْ سَنَةُ ثِنْتَيْنِ وَخَمْسِينَ وَمِائَتَيْنِ ذِكْرُ خِلَافَةِ الْمُعْتَزِّ بِاللَّهِ ابْنِ الْمُتَوَكِّلِ عَلَى اللَّهِ بَعْدَ خَلْعِ الْمُسْتَعِينِ نَفْسَهُ اسْتَهَلَّتْ هَذِهِ السَّنَةُ وَقَدِ اسْتَقَرَّتِ الْخِلَافَةُ بِاسْمِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْمُعْتَزِّ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمُتَوَكِّلِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ بْنِ هَارُونَ الرَّشِيدِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْمَهْدِيِّ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ الْمَنْصُورِ، وَقِيلَ: إِنَّ اسْمَ الْمُعْتَزِّ أَحْمَدُ. وَقِيلَ: الزُّبَيْرُ. وَهُوَ الَّذِي عَوَّلَ عَلَيْهِ الْحَافِظُ ابْنُ عَسَاكِرَ وَتَرْجَمَهُ فِي " تَارِيخِهِ ". فَلَمَّا خَلَعَ الْمُسْتَعِينُ - أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمُعْتَصِمِ - نَفْسَهُ مِنَ الْخِلَافَةِ وَبَايَعَ لِلْمُعْتَزِّ، دَعَا الْخُطَبَاءُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ رَابِعَ الْمُحَرَّمِ مِنْ هَذِهِ السَّنَةِ بِجَوَامِعِ بَغْدَادَ عَلَى الْمَنَابِرِ لِلْخَلِيفَةِ الْمُعْتَزِّ بِاللَّهِ. وَانْتَقَلَ الْمُسْتَعِينُ مِنَ الرُّصَافَةِ إِلَى قَصْرِ الْحَسَنِ بْنِ سَهْلٍ هُوَ وَعِيَالُهُ وَوَلَدُهُ وَجَوَارِيهِ، وَوَكَّلَ بِهِمْ سَعِيدَ بْنَ رَجَاءٍ فِي جَمَاعَةٍ مَعَهُ، وَأَخَذَ مِنَ الْمُسْتَعِينِ الْبُرْدَةَ وَالْقَضِيبَ وَالْخَاتَمَ، وَبَعَثَ بِذَلِكَ إِلَى الْمُعْتَزِّ، ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهِ الْمُعْتَزُّ يَطْلُبُ مِنْهُ خَاتَمَيْنِ مِنْ جَوْهَرٍ ثَمِينٍ بَقِيَا عِنْدَهُ يُقَالُ لِأَحَدِهِمَا: بُرْجٌ. وَلِلْآخَرِ: جَبَلٌ. فَأَرْسَلَهُمَا. وَطَلَبَ