গত রমযানের প্রথম দিন আমাদের মুয়াযযিন সাহেব ওয়াক্ত আসার আগেই...
গত রমযানের প্রথম দিন আমাদের মুয়াযযিন সাহেব ওয়াক্ত আসার আগেই ইশার নামাযের আযান দিয়ে দেন। আমাদের মসজিদে তাবলীগে এসেছেন এমন একজন আলেম ওয়াক্ত আসার পর মুয়াযযিন সাহেবকে পুনরায় আযান দিতে বললে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করেন এবং বলেন, আযান একবার দিলেই হয়ে যায়। পুনরায় দিতে হবে না এবং তিনি পুনরায় আযান দেননি।
জানার বিষয় হল, ওয়াক্ত আসার পূর্বে আযান দেওয়ার বিধান কী? এক্ষেত্রে পুনরায় আযান দিতে হবে কি?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ওয়াক্ত হওয়ার পর পুনরায আযান দেওয়া কর্তব্য ছিল।
কারণ ওয়াক্ত হওয়ার আগে আযান দিলে তা সহীহ হয় না।
উল্লেখ্য, মুয়াযযিনের উচিত নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে সচেতন থাকা।
হাদীস শরীফে এসেছে, নবীকারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
الْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَن
মুয়াযযিন (নামাযের সময়ের ব্যাপারে) নির্ভরতার প্রতীক।
-মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৮৯০৯; কিতাবুল আছল ১/১১০; কিতাবুল হুজ্জাহ ১/৬১; বাদায়েউস সানায়ে ১/৩৮১; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/২৪৭; শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৩৭৭
প্রায় তিন বছর আগে আমি আমার মায়ের মাথা ছুঁয়ে কসম...
প্রায় তিন বছর আগে আমি আমার মায়ের মাথা ছুঁয়ে কসম করেছিলাম যে, আমি আর ধূমপান করব না। কিন্তু পরে আমি ধূমপান করেছি। অতপর আমি তাবলীগে গিয়ে আলাহ তাআলার মেহেরবানিতে দ্বীনের বুঝ পেয়েছি। আলাহ তাআলার ইচ্ছায় এখন দ্বীনদারির সাথে জীবনযাপন করার চেষ্টা করছি। সকল মন্দ কাজ থেকে তওবা করেছি। এরপর থেকে আর ধূমপান করিনি। আমাকে কি এখন সেই কসমের কাফফারা দিতে হবে? আমি এখনো ছাত্র। আমার ভরণ-পোষণের খরচ আববা থেকে নেই। কাফফারা দিতে হলে তার থেকে টাকা নিয়ে কি দেওয়া যাবে? তাকে কি জানাতে হবে কী জন্য টাকা নিয়েছি? কাফফারা স্বরূপ কী
করতে হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কসম ভঙ্গ করার কারণে আপনাকে কাফফারা দিতে হবে। কসমের কাফফারা হল, দশজন মিসকীনকে দু বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো অথবা তাদেরকে এক জোড়া করে বস্ত্র দান করা। আর আপনার পিতাকে জানিয়ে তার থেকে টাকা নিয়েও কাফফারা আদায় করতে পারবেন। তবে নিজ থেকে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাফফারা আদায়ের সামর্থ্য না থাকলে লাগাতার তিনটি রোযা রেখে কাফফারা আদায় করা যাবে।
প্রকাশ থাকে যে, কসম একমাত্র আলাহ তাআলার নামেই করা যায়। আলাহ তাআলা ব্যতিত অন্য কারো নামে কসম করা নাজায়েয। আর পিতা-মাতা বা অন্য কারো মাথা ছুয়ে কসম করা কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত।
-সূরা মায়েদা : ৮৯; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/৪৫৩; কিতাবুল আছার ২/৬০০; কিতাবুল আছল ২/২৭৬, ২৮০; ফাতহুল কাদীর ৪/৪৬৭; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৩০; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭২৫, ৩/৭০৮
প্রায় তিন বছর আগে আমি আমার মায়ের মাথা ছুঁয়ে কসম...
প্রায় তিন বছর আগে আমি আমার মায়ের মাথা ছুঁয়ে কসম করেছিলাম যে, আমি আর ধূমপান করব না। কিন্তু পরে আমি ধূমপান করেছি। অতপর আমি তাবলীগে গিয়ে আল্লাহ তাআলার মেহেরবানিতে দ্বীনের বুঝ পেয়েছি। আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এখন দ্বীনদারির সাথে জীবনযাপন করার চেষ্টা করছি। সকল মন্দ কাজ থেকে তওবা করেছি। এরপর থেকে আর ধূমপান করিনি। আমাকে কি এখন সেই কসমের কাফফারা দিতে হবে? আমি এখনো ছাত্র। আমার ভরণ-পোষণের খরচ আববা থেকে নেই। কাফফারা দিতে হলে তার থেকে টাকা নিয়ে কি দেওয়া যাবে? তাকে কি জানাতে হবে কী জন্য টাকা নিয়েছি? কাফফারা স্বরূপ কী করতে হবে?
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কসম ভঙ্গ করার কারণে আপনাকে কাফফারা দিতে হবে। কসমের কাফফারা হল, দশজন মিসকীনকে দু বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো অথবা তাদেরকে এক জোড়া করে বস্ত্র দান করা। আর আপনার পিতাকে জানিয়ে তার থেকে টাকা নিয়েও কাফফারা আদায় করতে পারবেন। তবে নিজ থেকে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাফফারা আদায়ের সামর্থ্য না থাকলে লাগাতার তিনটি রোযা রেখে কাফফারা আদায় করা যাবে। প্রকাশ থাকে যে, কসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলা ব্যতিত অন্য কারো নামে কসম করা নাজায়েয। আর পিতা-মাতা বা অন্য কারো মাথা ছুয়ে কসম করা কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত।
-সূরা মায়েদা : ৮৯; আহকামুল কুরআন, জাসসাস ২/৪৫৩; কিতাবুল আছার ২/৬০০; কিতাবুল আছল ২/২৭৬, ২৮০; ফাতহুল কাদীর ৪/৪৬৭; ফাতাওয়া খানিয়া ২/৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩; বাদায়েউস সানায়ে ৩/৩০; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭২৫, ৩/৭০৮
গত রমযানে আমি তাবলীগে ছিলাম। একদিন রোযার মাসআলা সংক্রান্ত আলোচনায়...
গত রমযানে আমি তাবলীগে ছিলাম। একদিন রোযার মাসআলা সংক্রান্ত আলোচনায় বলা হল, রোযার জন্য নিয়ত করা জরুরি। নিয়ত হল এ কথা বলা যে, আজ আমি রোযা রাখছি। তখন আমি বললাম, আমি তো কোনোদিন এভাবে নিয়ত করিনি। তখন একজন বলল, তাহলে আপনার রোযা হয়নি। জানার বিষয় হল, সত্যিই কি আমার রোযাগুলো আদায় হয়নি? দয়া করে জানিয়ে বাধিত করবেন।
রোযার জন্য মৌখিক নিয়ত করা জরুরি নয়; বরং শুধু অন্তরে রোযার সংকল্প করাই যথেষ্ট। এমনকি রোযার জন্য সাহরী খেলেও রোযার নিয়ত হয়ে যায়। তাই আপনি যদি মনে মনে রোযা রাখার ইচ্ছা করে থাকেন, কিংবা সাহরী খেয়ে থাকেন তাতেই আপনার রোযার নিয়ত হয়ে গেছে, এবং আপনার রোযাও সহীহ হয়েছে।
-আলবাহরুর রায়েক ২/২৫৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৫; রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৭
হাজী মুহাম্মাদ ইয়াছীন সাহেব ১৩৩৮ সালে মসজিদের জন্য নিজ বাড়িতে...
হাজী মুহাম্মাদ ইয়াছীন সাহেব ১৩৩৮ সালে মসজিদের জন্য নিজ বাড়িতে ১০ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে গেছেন। এরপর ১৩৪৪ সালে মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রায় আধা মাইল দূরে জামুর মৌজায় ২২৩ শতাংশ ফসলী জমি ওয়াকফ করেন। ওয়াকফনামায় তিনি লিখেছেন, মুতাওয়াল্লীর ওয়াকফকৃত সম্পত্তি হস্তান্তর বা রূপান্তর করিবার কোনো ক্ষমতা রহিল না। বর্তমানে মসজিদের ৫ তলা ইমারত নির্মাণের জন্য নগদ টাকার প্রয়োজন। আবার ঐ এলাকায় দাওয়াত-তাবলীগের শবগুজারির জন্য একটি মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের তাকাযা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ওয়াকফকৃত ২২৩ শতাংশ জমির ১০০ শতাংশ জমিতে যদি তাবলীগের শবগুজারির জন্য মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হয় এবং এর বিনিময়ে ২ কোটি টাকা গ্রহণ করা হয় তবে তা বৈধ হবে কি? মুতাওয়াল্লী এ ধরনের হস্তান্তর বা রূপান্তর করতে পারবে কি?
ওয়াকফের ভবন নির্মাণ বা অন্য কোনো দ্বীনী প্রতিষ্ঠান নির্মাণের লক্ষ্যেও ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি করা, এওয়াজ-বদল করা জায়েয নয়। বিশেষত ওয়াকফকারী যদি বিক্রি না করার কথা উল্লেখ করেন তখন তা বিক্রি করার কোনো সুযোগ থাকে না। হাদীস শরীফে আছে, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন, উমর রা. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আল্লাহর রাসূল! আমি একটি উত্তম সম্পদের মালিক হয়েছি (একটি খেজুর বাগান)। আমি তা সদকা (ওয়াকফ) করতে চাই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি মূল সম্পত্তিটি এভাবে সদকা (ওয়াকফ) কর যে, তা বিক্রি করা যাবে না, কাউকে দান করা যাবে না এবং এতে উত্তরাধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। এর থেকে উৎপন্ন ফলফলাদি (নির্ধারিত খাতে) ব্যয় হবে। এরপর উমর রা. তা ঐভাবে সদকা (ওয়াকফ) করলেন। (সহীহ বুখারী, হাদীস : ২৭২৪)
অতএব প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু ওয়াকফকারী ওয়াকফ সম্পত্তি হস্তান্তর বা রূপান্তর করতে নিষেধ করেছেন তাই মসজিদ-ভবন নির্মাণ কিংবা তাবলীগের শবগুজারির জন্য মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের উদ্দেশ্যে তা বিক্রি করা জায়েয হবে না; বরং যে উদ্দেশ্যে জমিটি ওয়াকফ করা হয়েছে সেজন্যই তা ব্যবহার করতে হবে। আর মসজিদের ইমারত নির্মাণ কিংবা তাবলীগের শবগুজারির জন্য মসজিদ ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরির প্রয়োজন দেখা দিলে মুসলমানদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদান থেকে তা করতে হবে।
খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৪২৫; মুখতাসারুল কুদুরী ২৮৭; ফাতহুল কাদীর ৫/৪৩২; রদ্দুল মুহতার ৪/৩৫২; আলইনসাফ ৭/১০০; আলমুদাওয়ানাতুল কুবরা ৪/৩৪২; আলবায়ান ৮/৫৯, ৭৫; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৪৫
এক তাবলীগী ভাইয়ের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তিনি মান্নত করেছেন...
এক তাবলীগী ভাইয়ের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তিনি মান্নত করেছেন যে, আল্লাহ তাআলা যদি তার স্ত্রীকে সুস্থ করে দেন তাহলে তিনি তিন চিল্লার জন্য আল্লাহর রাস্তায় বের হবেন। প্রশ্ন হল, এটি মান্নত হয়েছে কি না? স্ত্রী সুস্থ হওয়ার পর তিন চিল্লায় বের হওয়া তার জন্য জরুরি কি না?
ঐ ব্যক্তির কথাটি মান্নত হয়নি। কেননা মান্নত সুনির্দিষ্ট কিছু ইবাদতের মধ্যেই হয়ে থাকে। তবে তাবলীগে যাওয়া ভালো কাজ। স্ত্রী সুস্থ হওয়ার পর এই ভালো কাজটি করার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলার সাথে অঙ্গীকার করা হয়েছে। তাই সময় সুযোগ মতো তা পূরণ করে নেওয়া উচিত।
বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৮; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯৬; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৭৪; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৫/৪০; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৭৩৫; আহসানুল ফাতাওয়া ৫/৪৯১
ইমামের পিছনে যদি নামায পড়া সহীহ না হয় (অর্থাৎ তার...
ইমামের পিছনে যদি নামায পড়া সহীহ না হয় (অর্থাৎ তার কেরাত ভুল ও অশুদ্ধ হয়) তবে তাবলীগ জামাতে থাকা অবস'ায় ফেতনার আশঙ্কায় জামাতে নিজের নিজের নিয়তে তার পিছনে নামায পড়তে পারবে? বিস-ারিত দলীল-প্রমাণসহ জানালে উপকৃত হব।
তাজবীদসম্মত কেরাত হওয়া জরুরি, কিন' কেরাতের যে কোনো প্রকার ভুলের কারণেই নামায নষ্ট হয়ে যায় না; বরং কেরাত অশুদ্ধ পড়ার কারণে যদি তার অর্থের মধ্যে এমন বিকৃতি ঘটে যা কুরআনে বর্ণিত ঘটনা বা তথ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত অথবা ভুলের কারণে যে অর্থ সৃষ্টি হয়েছে তা যদি ঈমান পরিপন'ী কথায় পরিণত হয় তাহলে নামায নষ্ট হয়ে যাবে।
তাই ইমামের কেরাতের ভুলের ক্ষেত্রে নিজ থেকে কোনো সিদ্ধান- না নিয়ে বিজ্ঞ আলেম বা কোনো মুফতী সাহেবকে ঐ অশুদ্ধ কেরাতের ধরন জানিয়ে এর হুকুম জেনে নেওয়া জরুরি। এতে ভুল সিদ্ধানে- উপনীত হওয়া থেকে বাঁচা যাবে।
যদি বাস-বেই প্রমাণিত হয় যে, ইমামের কেরাত এমন অশুদ্ধ, যার দ্বারা নামায নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ফিতনার আশঙ্কা থাকলে ঐ ইমামের পিছনে জামাতের সময় নামায পড়ে নিবে। পরে একাকী সেই নামায পুনরায় পড়ে নিবে। কিন' এ অবস'ায় ইমামের পিছনে জামাতে দাঁড়িয়ে একাকি নামায পড়বে না
সহীহ বুখারী ১/৭৬; ফাতহুল বারী ২/১৮; জামে তিরমিযী ১/৪৩; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/১৪৬;শরহুল মুনইয়াহ পৃ. ৪৭৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৭৯; রদ্দুল মুহতার ১/৬৩১
ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে কখন বের হতে পারবে এবং কখন পারবে না?
-সহীহ বুখারী, হাদীস: ২০২৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ২৪৭৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৪৫; মারাকিল ফালাহ, ৩৮৩; ফতওয়ায়ে খানিয়া, ১/২২৩; খুলাসাতুল ফতওয়া, ১/২৬৮৷
উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
হারাম উপার্জন কারীর নিকট মেয়ে বিয়ে দেওয়া ৷
পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে,
তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
সূরা নূর, আয়াত নং-২৬
এসব ব্যাংকের চাকুরীজীবীরা সাধারণতঃ সুদী কারবারের সাথে জড়িত। আর সুদের সাথে জড়িত ব্যক্তির সাথে আত্মীয়তা করা থেকে প্রতিটি মুমিনের জন্যই বিরত থাকা কর্তব্য । কেননা হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কাছে এমন লোক বিবাহের প্রস্তাব দেয়, যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও ( মাল-সম্পদের দিকে লক্ষ্য করো না )। যদি তা না কর তবে দেশে ফিতনা ও ব্যাপক ফাসাদ দেখা দেবে।
সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-১০৮৪৷
অতএব প্রশ্নে বর্নিত সুরতে আপনার মেয়ে যেহেতু একজন আলেমা তাই উক্ত ব্যাংকারের নিকট বিবাহ না দিয়ে, একজন আলেম বা দ্বীনদার পাত্র দেখে পাত্রস্ত করা যথাসম্ভব চেষ্টা করুন ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
দ্বীনি উদ্দেশ্যে অমুসলিমকে মসজিদে নিয়ে আসা৷
01756473393