আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে...
আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে কিছু প্রাণীর ছবিও আছে। একজন দেখে বললেন, এভাবে স্পষ্ট প্রাণীর ছবি টাঙিয়ে রাখা জায়েয হবে না। আপনি প্রাণীর চোখগুলো কেটে দিন। বাবা তাই করলেন; সবগুলো প্রাণীর চোখ কেটে দিয়ে ওয়ালম্যাটটি ঘরে টাঙিয়ে দিলেন।
কিছুদিন আগে একজন আঙ্কেল বললেন, তিনি একজন আলেমের কাছে শুনেছেন যে, শুধু চোখ কাটলেই হবে না বরং পুরো চেহারা মুছে দিতে হবে। অন্যথায় ঐ ছবি টাঙিয়ে রাখা জায়েয হবে না।
হুযুরের কাছে এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানতে চাই।
কোনো প্রাণীর দৃশ্যমান ছবি টাঙানো বা দৃশ্যমান রাখা নাজায়েয। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ تَمَاثِيلُ أَوْ تَصَاوِيرُ.
ফেরেশতাগণ এমন ঘরে প্রবেশ করেন না যে ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি বা প্রতিকৃতি আছে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২১১২)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, জাবের রা. বলেন,
نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصُّورَةِ فِي البَيْتِ، وَنَهَى عَنْ أَنْ يُصْنَعَ ذَلِكَ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে ছবি রাখতে ও ছবি অঙ্কন করতে নিষেধ করেছেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৭৪৯)
আর প্রাণীর ছবির মূলই হল তার মাথার অংশ। যা দ্বারা প্রাণীর পূর্ণ রূপ ও পরিচয় স্পষ্ট হয়।
ইকরিমা রাহ. বলেন,
إِنَّمَا الصُّورَةُ الرَّأْسُ ، فَإِذَا قُطِعَ فَلاَ بَأْسَ.
ছবির মূল হল মাথা। মাথা যদি কেটে দেয়া হয় তাহলে কোনো সমস্যা নেই। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ২৫৮০৮)
তাই মাথার অংশ কেটে বা মুছে দিলে তা আর ছবির হুকুমে থাকে না। কিন্তু মাথা ও চেহারা না মুছে শুধু চোখ মুছে দিলে প্রাণীর আকৃতি ও পরিচয় বাকি থাকে। তাই তা ছবির হুকুমেই থাকে।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ. বলেন, প্রাণীর মূর্তি বা ছবির যদি মাথা কাটা থাকে তাহলে এমন ছবি ঘরে রেখে নামায পড়লে নামায মাকরূহ হবে না। চাই মাথা গোড়া থেকেই কেটে ফেলা হোক বা না কেটে পুরো মাথা একদম মুছে ফেলা হোক। কেননা স্বাভাবিকভাবে মাথা ছাড়া প্রাণীর উপাসনা করা হয় না। আর পুরো মাথার শর্ত করা হয়েছে। কেননা শুধু ভ্রু মুছে দেয়া বা চোখ কেটে দেয়া যথেষ্ট নয়। কেননা এসব ছাড়াও প্রাণীর উপাসনা হয়। (রদ্দুল মুহতার ১/৬৪৮)
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ আলেমের কথাই সঠিক যিনি বলেছেন, ছবির শুধু চোখ কেটে দিলে সেটা টাঙানো বেধ হয়ে যাবে না; বরং পুরো চেহারা মুছে দিতে হবে।
-জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/২৫৩
- নামাযের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বৈঠকে একাধিকবার তাশাহহুদ পড়ে ফেললে করনীয় ৷
- আমি আজ এশার নামাযে প্রথম রাকাতে ভুলে ৩ বার সেজদা...
- আমি আজ আসর নামাযের শেষ বৈঠকে ভুলে দু’বার তাশাহহুদ পড়ে...
- হুযুর, আজ ফজর নামাযে প্রথম রাকাতে আমি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে...
- আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ আছে। যার নাম দেয়া হয়েছে...
- আমি মাঝেমধ্যে ফরয নামায একাকী পড়ার সময় তৃতীয় ও চতুর্থ...
- কয়েক দিন আগের কথা। বিতরের নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি সন্দেহে...
- সেদিন এক ব্যক্তির মুখে শুনলাম, রমযান মাসে নাকি এমন একটি...
- সেদিন বিতর নামায পড়ছিলাম। ৩য় রাকাতে দুআয়ে কুনূত না পড়েই...
- মহিলাদের মাসিকের সময় আইয়ামে তাশরীকে তাকবীরে তাশরীক কীভাবে পড়বে? নামায...