ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৭২৭৮
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

চাচার কাছে শুনেছি দাদীর অনেক জায়গা-জমি ছিল। চাচার বর্ণনা অনুযায়ী...

প্রশ্ন

চাচার কাছে শুনেছি দাদীর অনেক জায়গা-জমি ছিল। চাচার বর্ণনা অনুযায়ী বুঝলাম, দাদীর এ পরিমাণ প্রয়োজনাতিরিক্ত জমি ছিল যার একাংশও বিক্রি করে তিনি হজ্ব করতে পারতেন। কিন্তু সকল সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও তিনি হজ্ব করেননি। চাচাকে এ ব্যাপারে বুঝালে তিনি দাদীর পক্ষ থেকে হজ্ব করতে রাজি হলেন। পরে চাচা বললেন, আম্মা আমাকে তো এ ব্যাপারে কিছু বলে যায়নি। এখন কীভাবে কী করি। আর সামনে আমার ব্যস্ততা বাড়তে পারে তখন অন্য কাউকে দিয়ে মায়ের পক্ষ থেকে হজ্ব করালে হবে কি না? এ দুটি প্রশ্নের উত্তর আমার জানা ছিল না। তাই হুযুরের কাছে এর উত্তর জানতে চাচ্ছি।

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনার দাদীর উপর হজ্ব ফরয ছিল। তাই তিনি যদিও অসিয়্যত করে যাননি, কিন্তু ওয়ারিশদের উচিত হবে তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করানো। বদলী হজ্ব ওয়ারিশকেই করতে হবে এমন কোনো বিধান নেই। তাই আপনার চাচা যদি নিজে দাদীর পক্ষ থেকে হজ্ব করেন, কিংবা অন্য কাউকে দিয়ে বদলী হজ্ব করান, উভয় অবস্থায় তা আপনার দাদীর পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যাবে এবং এর দ্বারা আপনার দাদী উপকৃত হবেন ইনশাআল্লাহ।

হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এক লোক এসে বলল, আমার বোন হজ্বের মান্নত করেছিল। কিন্তু হজ্ব করার আগে সে মারা গেছে। তখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তার উপর কোনো ঋণ থাকলে তা তুমি আদায় করতে না? লোকটি বলল, হাঁ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কাজেই আল্লাহর হক আদায় করে দাও। কেননা তা আদায়ের বেশি উপযোগী। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৬৯৯)

-বাদায়েউস সনায়ে ২/৪৬৯; ফাতওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৮; মানাসিক, মুল্লা আলী আলকারী পৃ.৪৩৬; রদ্দুল মুহতার ২/৫৯৯

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ কসম-মান্নত