ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৫৯৫৫
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

আমাদের অঞ্চলে ইট ভাটাগুলোতে একটি পদ্ধতি চালু আছে যে, ভাটার...

প্রশ্ন

আমাদের অঞ্চলে ইট ভাটাগুলোতে একটি পদ্ধতি চালু আছে যে, ভাটার মালিকগণ সিজনের শুরুতে বিভিন্ন জন থেকে টাকা নিয়ে সিজন শেষে অর্থাৎ ৩/৪ মাস পর ইট দেয়। অনেকেই এই কারবারে জড়িত হচ্ছে। বিশেষভাবে যারা নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণের ইচ্ছা করেছে। এ কারবারের একটি লাভজনক দিক এই যে, ইট প্রতি ৫ টাকা হলে ৫০,০০০ টাকায় ১০,০০০ ইট কেনা যাবে। কিন্তু উক্ত পদ্ধতিতে দেড় হাজার বা ততোধিক ইট বেশি পাওয়া যায়। আমি একটি বিল্ডিং তৈরি করব। এখন এই পদ্ধতিতে ইট ক্রয় করা কি বৈধ হবে, না এটা সুদী কারবারের অন্তর্ভুক্ত হবে? দয়া করে জানাবেন।

উত্তর

কিছু শর্ত সাপেক্ষে ঐভাবে অগ্রিম ইট ক্রয় করা জায়েয আছে। শর্তগুলো হল, ১. ইটের পূর্ণ মূল্য চুক্তির সময়ই পরিশোধ করে দেওয়া।

২. ইটের ধরণ ও গুণগত মান নির্ধারণ করা (যেমন, এক নাম্বার ইট)। ৩. ইটের পরিমাণ নির্ধারণ করা। ৪. ইট প্রদানের তারিখ ও তা হস্তান্তরের স্থান নির্ধারণ করা। ৫. বিক্রেতার নিকট পুনরায় ঐ ইট বিক্রি না করা।

উপরোক্ত শর্ত সাপেক্ষে অগ্রিম ইট ক্রয় করলে যদি নগদ লেনদেনের চেয়ে কিছু কম মূল্যে পাওয়া যায় তাতে অসুবিধা নেই। তবে এ ধরনের লেনদেনে মেয়াদান্তে ইটই গ্রহণ করতে হবে। ইট না নিয়ে এর মূল্য নেওয়া যাবে না।

-সহীহ বুখারী, হাদীস : ২২৪০; হেদায়া ৩/৯৫; ফাতাওয়া সিরাজিয়া ১০৬; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১০; আদ্দুররুল মুখতার ৫/২০৯

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ ব্যবসা-চাকুরী