ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৫৮৭৯
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

হাদীস শরীফে এসেছে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার সাথে জামাতে নামায...

প্রশ্ন

হাদীস শরীফে এসেছে চল্লিশ দিন তাকবীরে উলার সাথে জামাতে নামায আদায় করলে দুটি মুক্তির সনদপত্র লেখা হয়। একটি হল জাহান্নাম থেকে মুক্তি। আর একটি হল নেফাক থেকে মুক্তি।

জানার বিষয় হল, তাকবীরে উলার সময় কতটুকু, ইমামের সাথে সাথেই তাকবীরে তাহরীমা বলতে হবে নাকি প্রথম রাকাত পেলেই তাকবীরে উলা পেয়েছে বলে ধরা হবে? জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

তাকবীরে উলা সম্পর্কিত হাদীসটি নিম্নরূপ :

من صلى أربعين يوما في جماعة يدرك التكبيرة الأولى كتب له براءتان : براءة من النار، وبراءة من النفاق

অর্থ : যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামায আদায় করবে এবং সে প্রথম তাকবীরও পাবে তার জন্যদুটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে। (এক) জাহান্নাম থেকে মুক্তি। (দুই) নেফাক থেকে মুক্তি।-সুনানেতিরমিযী ১/৩৩; আততারগীব ১/২৬৩

এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয় যে, ইমামের প্রথম তাকবীর বলার সাথে সাথে তাকবীর বলে নামায শুরুকরলে তাকবীরে উলা পাবে। সুতরাং ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথেই নামাযে শরিক হওয়ারচেষ্টা করতে হবে। প্রকাশ থাকে যে, সূরা ফাতেহা শেষ হওয়ার আগে জামাতে শরিক হতে পারলেওকোনো কোনো ফকীহ তাকবীরে উলার সওয়াব হাসিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন।

-ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৫৪; আলমুহীতুল বুরহানী ২/১০৭; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ১৪০; রদ্দুল মুহতার ১/৫২৬

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আজান-নামাজ