ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৫৭৭২
তারিখ: ২৭-নভেম্বর-২০১৭
বিষয়:

আমি একটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ব্যবসায়িক কাজে আমাকে প্রায় রমযানেই...

প্রশ্ন

আমি একটি কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর। ব্যবসায়িক কাজে আমাকে প্রায় রমযানেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সফর করতে হয়। সফর অপেক্ষাকৃত আরামদায়ক হলেও সফর তো সফরই। তদুপরি ক্ষুধা-তৃষ্ণাসহ শারীরিক দুর্বলতা জনিত কারণে সফর আরো কষ্টকর হয়ে উঠে। এ রমযানেও সফর করতে হয়েছে। প্রশ্ন হল, দিনের শুরুতে যেহেতু আমি মুকীম, তাই আমি রোযা রাখি। এখন সফরে বের হওয়ার পর সফরের ওজরে আমি রোযা ভাঙ্গতে পারব কি না? জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

মুকীম অবস্থায় রোযা শুরু করার পর সফরে বের হয়ে সাধারণ কষ্টের কারণে রোয ভাঙ্গা জায়েয নয়। তবে কখনো রোযা রাখা যদি অস্বাভাবিক কষ্টকর হয়ে যায় এবং পানাহার না করলে অসুস্থ হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে তখন রোযা ভাঙ্গা জায়েয। এ হুকুমটি সকল রোযাদারের জন্যই প্রযোজ্য। বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রাহ. বলেন, যখন রমযান মাসে কোনো ব্যক্তি রোযা রাখে, অতপর সফরের ইচ্ছায় বাহির হয় তবে সে যেন ওই দিন রোযা না ভাঙ্গে। অবশ্য তার যদি অধিক পিপাসিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা হয় তাহলে রোযা ভাঙ্গবে এবং পরবর্তীতে এর কাযা করে নিবে।

-মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৪/২৭০, হাদীস : ৭৭৬৬; উমদাতুল কারী ১১/৪৩; রদ্দুল মুহতার ২/৪৩১; ফাতহুল কাদীর ২/২৮৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৯০; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২০৬; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৪৫

উত্তর দিয়েছেন : মাসিক আল-কাওসার
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ সফর