ফতোয়া নং: ৪৮৮৬
তারিখ:
২০-জুন-২০১৭
বিষয়:
নামাযে সুতরা কেমন হতে হবে? রুমাল বা জায়নামাযকে সুতরা হিসেবে ব্যবহার করা ৷
প্রশ্ন
শ্রদ্ধেয় মুফতী সাহেব! আমি জানতে চাই, নামাযী ব্যক্তির সামনে যে, সুতরা ব্যবহার করা হয় তা কতটুকু লম্বা ও কতটুকু মোটা হতে হয়? কিছু মানুষকে দেখা যায়, তারা হাতে থাকা জায়নামায বা রুমালকে সুতরা হিসেবে ব্যবহার করে মুসল্লির সামনে দিয়ে অতিক্রম করে যান ৷ এটা কতটুকু শরীয়তসম্মত? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হবো ৷
উত্তর
রাসূল সাঃ বলেছেন যদি নামাযী ব্যক্তির সামনে হাওদার পিছনের লাঠির সমান কিছু থাকে, তাহলে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে কোন সমস্যা নেই ৷
-সহিহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৮৫; তিরমিযি হাদীস নং: ৩৩৫ ৷
উক্ত হাদীসের আলোকে ফুকাহাগন বলেন সুতরা হতে হবে অন্তত এক হাত লম্বা ও এক আঙ্গুল পরিমান মোটা ৷ সুতরাং সুতরা যদি এক হাত লম্বা ও এক আঙ্গুল পরিমান মোটা হয়, তাহলে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে পারবে ৷ তখন অতিক্রম কারীর কোনো গুনাহ হবে না ৷ অতএব হাতের রুমাল বা জায়নামায সুতরা হিসেবে গন্য হবে না ৷ এবং এ ধরনের সুতরার মাধ্যমে সুতরা আদায় হবে না। এমতাবস্থায় অতিক্রম কারী গুনাহগার হবে ৷
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৫০৯; রদ্দুল মুহতার ১/৬৩৭৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
-সহিহ মুসলিম, হাদীস নং ১১৩৯; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৮৫; তিরমিযি হাদীস নং: ৩৩৫ ৷
উক্ত হাদীসের আলোকে ফুকাহাগন বলেন সুতরা হতে হবে অন্তত এক হাত লম্বা ও এক আঙ্গুল পরিমান মোটা ৷ সুতরাং সুতরা যদি এক হাত লম্বা ও এক আঙ্গুল পরিমান মোটা হয়, তাহলে তার সামনে দিয়ে অতিক্রম করতে পারবে ৷ তখন অতিক্রম কারীর কোনো গুনাহ হবে না ৷ অতএব হাতের রুমাল বা জায়নামায সুতরা হিসেবে গন্য হবে না ৷ এবং এ ধরনের সুতরার মাধ্যমে সুতরা আদায় হবে না। এমতাবস্থায় অতিক্রম কারী গুনাহগার হবে ৷
-বাদায়েউস সানায়ে ১/৫০৯; রদ্দুল মুহতার ১/৬৩৭৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- নামাযের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বৈঠকে একাধিকবার তাশাহহুদ পড়ে ফেললে করনীয় ৷
- আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে...
- আমি আজ এশার নামাযে প্রথম রাকাতে ভুলে ৩ বার সেজদা...
- আমি আজ আসর নামাযের শেষ বৈঠকে ভুলে দু’বার তাশাহহুদ পড়ে...
- হুযুর, আজ ফজর নামাযে প্রথম রাকাতে আমি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে...
- আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ আছে। যার নাম দেয়া হয়েছে...
- আমি মাঝেমধ্যে ফরয নামায একাকী পড়ার সময় তৃতীয় ও চতুর্থ...
- কয়েক দিন আগের কথা। বিতরের নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি সন্দেহে...
- সেদিন এক ব্যক্তির মুখে শুনলাম, রমযান মাসে নাকি এমন একটি...
- সেদিন বিতর নামায পড়ছিলাম। ৩য় রাকাতে দুআয়ে কুনূত না পড়েই...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আজান-নামাজ