ফতোয়া নং: ৪৮৪৯
তারিখ:
১৪-মে-২০১৭
বিষয়:
অমুসলিমকে সম্ভাষণ করার পদ্ধতি ৷ আদাব ও নমস্কার বলার বিধান ৷
প্রশ্ন
মুফতী সাহেব! আমাদের স্কুল, কলেজ লাইফের অনেক হিন্দু টিচার আছে ৷ তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে আদাব বলে সম্ভাষণ করি ৷ আবার অনেকে নমস্কার বলে সম্ভাষণ করে ৷ যেহেতু আমরা মুসলিমরা সালামের মাধ্যমে সম্ভাষণ জানাই ৷ তাদের ক্ষেত্রে তো সালাম দিতে পারি না ৷ তাই জানার বিষয় হলো, হিন্দু টিচারদের কে আদাব, নমস্কার বলে সম্ভাষণ করা যাবে কিনা? যদি জায়েয না হয় তাহলে দেখা হলে কিভাবে কুশলবিনিময় করব ? এবং তাদেরকে সালাম দেয়ার বিধান কি? জানিয়ে বাধিত করবেন ৷
উত্তর
অমুসলিমদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে । তাদের নীতিমালা মুসলমানদের জন্য গ্রহন করা বৈধ নয় ৷ অতএব হিন্দু টিচারদের সাথে সাক্ষাৎ হলে আদাব, নমস্কার ইত্যাদি বলে তাদেরকে সম্ভাষন করা যাবে না ৷ আদাব শব্দের শাব্দিক অর্থ বিবেচনায় যদিও একটু সুযোগ আছে, কিন্তু কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা
নমস্তে বলা যাবে না। তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন হিসেবে তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করবে ।
কোন বিধর্মীর সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেওয়াও বৈধ নয় । সালাম শুধু এক মুসলমান আরেক মুসলমানকেই দিতে পারে। তবে যদি সে আগে সালাম দিয়ে ফেলে, উত্তরে ‘ওয়া আলাইকুম’ বা ইয়াহদীকুমুল্লাহ’ অথবা “আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে।
-সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস: ৬২৫৮; সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস: ২১৬৭; রদ্দুল মুহতার ৯/৫২৭; রহীমীয়া,৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
নমস্তে বলা যাবে না। তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন হিসেবে তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করবে ।
কোন বিধর্মীর সাথে সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেওয়াও বৈধ নয় । সালাম শুধু এক মুসলমান আরেক মুসলমানকেই দিতে পারে। তবে যদি সে আগে সালাম দিয়ে ফেলে, উত্তরে ‘ওয়া আলাইকুম’ বা ইয়াহদীকুমুল্লাহ’ অথবা “আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে।
-সহীহ বোখারী শরীফ, হাদীস: ৬২৫৮; সহীহ মুসলিম শরীফ, হাদীস: ২১৬৭; রদ্দুল মুহতার ৯/৫২৭; রহীমীয়া,৬/১২৬ কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬ ৷
মুফতী মেরাজ তাহসীন মুফতীঃ জামিয়া দারুল উলুম দেবগ্রাম ব্রাক্ষণবাড়িয়া ৷
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- রমযানের শেষ দশকে ইতিকাফ অবস্থায় কেউ শরীয়তসম্মত কোনো প্রয়োজনে যদি...
- একদিন জুমার নামাযের আগে আমার রুমে পড়তে পড়তে ঘুম এসে...
- রমযানের পূর্বে ট্রেনে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম। মাঝে ফজরের সময় এক...
- গত রমযানে আমি একদিন জামাতের সাথে তারাবীতে নামায শেষ করে...
- একবার আমি ইশার নামাযে মাসবুক হই। ইমাম সালাম ফেরানোর পর...
- আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব একদিন জানাযার নামায পড়ানোর সময় ভুলে...
- বিতর নামাযে কোন্ দুআ কুনূত পড়ব? অনেকে বলেন, আমরা যে...
- একবার আমি তিন দিনের জন্য তাবলীগে গিয়েছি। আমাদের আমীর সাহেব...
- আমার বাড়ির পাশে এক হিন্দু লোক থাকে। সে আর্থিকভাবে খুবই...
- সফর অবস্থায় নামায কসর করা কি জরুরি? এক ব্যক্তি বলল...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আদব-ব্যবহার