ফতোয়া নং: ৪৬৬৪
তারিখ:
১-নভেম্বর-২০১৬
বিষয়:
উকীল বাপের জন্য কথিত কন্যাকে বিবাহ করা৷
প্রশ্ন
আস সালাই মুলাই কম আমি মোঃ কামরুজ্জামান খান পিতা মৃত হাজী গোলাম মাওলা থান বয়স ৩৫ গত ১মাস আগে আমার এক বন্ধুর সাথে আমারই এক বান্ধবীর বিয়ের ব্যবস্থা করি তবে কি কেউ কাউকে আগে থেকে চিন্তনা এবং আমি তাদের উকিল বাপ হই। বিয়ের পড় তাদের মাঝে জগড়া সাবক্ষনিক লেগেই থাকে । আমার সেই বান্ধবী আমাকে বলে সে নাকি আত্ব হত্যা করবে। কারন আমার সেই বন্ধু জুয়া ণেশ এবং নারীর প্রতি একটু দুর্বল। ঘড় ভাংগনের পর্যায় ।আমি চাই ছিলাম একটি বিপথ গামী বৈক্তিকে যদি ভালো করা যায়। কিন্তু আমি তাদের মাঝে বিয়ে দিয়ে এখন আমি নিজেকে নিজে অনেক বড় অপরাধী মনে করি । আমার প্রশ্ন হলো আমি আমার সেই বান্ধীর কে বিয়ে করতে পারবো কি না। যেহেতু আমার সেই বান্ধবীকে আমি আমার সেই বন্ধুর ব্যাপারে সকল প্রকার তত্থ্য মিথ্যা দিয়েছিলাম।
উত্তর
বিয়ে করা যায় তথা গায়রে মাহরাম কোন মেয়ে কোন ছেলের বান্ধবী হতে পারে না। এসব বন্ধু বান্ধবী বানিয়ে কথা বলা, একসাথে চলাফেরা করা বিধর্মীয়ানা কালচার। এসব থেকে মুক্ত থাকা প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক। যদি উক্ত মেয়েটির স্বামী তাকে তালাক দেয়, তাহলে মেয়েটি উদ্দত শেষে আপনি তাকে বিয়ে করতে
পারেন।
কিন্তু আপনার কথিত বন্ধু কর্তৃক তার স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হওয়া এবং তার ইদ্দত পালন শেষ হবার আগে তাকে কিছুতেই বিয়ে করতে পারবেন না। তালাকপ্রাপ্তা হবার পর এবং ইদ্দত (তিন হায়েজ অতিক্রম হওয়া) শেষ হবার পর তাকে বিয়ে করতে পারবেন। উকীল বাপ বলতে ইসলামে কিছু নেই। এগুলো সামাজিক কুপ্রথা। এসব পরিত্যাগ করা উচিত। এসবের কোন ভিত্তি নেই। সুতরাং যে মেয়ের উকীল বাপ সেজেছে তাকে শরয়ী কোন বাঁধা না থাকলে বিয়ে করাতে কোন সমস্যা নেই।
দলিলঃ
সুরা বাকারা আঃ ২২৮; ফতওয়াযে হিন্দিয়া ১/২৮০; বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৪৭; বাহরুর রায়েক ৩/ ১০৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
পারেন।
কিন্তু আপনার কথিত বন্ধু কর্তৃক তার স্ত্রী তালাকপ্রাপ্তা হওয়া এবং তার ইদ্দত পালন শেষ হবার আগে তাকে কিছুতেই বিয়ে করতে পারবেন না। তালাকপ্রাপ্তা হবার পর এবং ইদ্দত (তিন হায়েজ অতিক্রম হওয়া) শেষ হবার পর তাকে বিয়ে করতে পারবেন। উকীল বাপ বলতে ইসলামে কিছু নেই। এগুলো সামাজিক কুপ্রথা। এসব পরিত্যাগ করা উচিত। এসবের কোন ভিত্তি নেই। সুতরাং যে মেয়ের উকীল বাপ সেজেছে তাকে শরয়ী কোন বাঁধা না থাকলে বিয়ে করাতে কোন সমস্যা নেই।
দলিলঃ
সুরা বাকারা আঃ ২২৮; ফতওয়াযে হিন্দিয়া ১/২৮০; বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৪৭; বাহরুর রায়েক ৩/ ১০৮৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ঘুম থেকে জাগ্রত করার উদ্দেশ্যে পানি ছিটানো ৷
- আমার এক বন্ধু মাঝেমধ্যে রসিকতার ছলে স্ত্রীকে আপু বলে ডাকে।...
- গত কয়েক মাস আগে আমার স্ত্রী মারা যায়। এরপর আমি...
- আমার এক চাচাত ভাইয়ের সাথে এক মেয়ের অবৈধ সম্পর্ক ছিল।...
- কোনো মহিলার স্বামী খোলা তালাক দিলে খোলা তালাকদাতা স্বামী তার...
- আমাদের এলাকায় প্রচলন আছে, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী ফিতরা আদায়...
- আমি দিনের বেলা ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পর স্ত্রী...
- আমি নিয়মিত মসজিদেই নামায পড়ি। কখনো মসজিদে যেতে দেরি হয়ে...
- কেউ যদি তার স্ত্রীর সাথে হায়েয অবস্থায় সহবাস করে। এখন...
- গত জানুয়ারি মাসে আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিয়েছে। ইদ্দতের...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ স্বামী-স্ত্রী