ফতোয়া নং: ৪৪৪৯
তারিখ:
১-সেপ্টেম্বর-২০১৬
বিষয়:
একদিন ফজরের সময় আমাদের মসজিদে ইমাম ছাহেব উপস্থিত না থাকায়...
প্রশ্ন
একদিন ফজরের সময় আমাদের মসজিদে ইমাম ছাহেব উপস্থিত না থাকায়
আমাকে ইমামতি করতে দেওয়া হয়। উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে কোনো আলেম বা হাফেয না থাকায় বাধ্য হয়ে আমি ইমামতি করতে যাই। কুরআন মাজীদের শেষের কয়েকটি সূরা ছাড়া অন্য বড় কোনো সূরা আমার মুখস্থ নেই। আর আমি জানতাম , ফজর নামাযে কেরাত একটু লম্বা পড়া সুন্নত। তাই আমার মুখস্থ সূরাগুলো থেকে এক রাকাতে আমি ধারাবাহিকভাবে চার- পাঁচটি করে সূরা তিলাওয়াত করি। নামায শেষে কয়েকজন মুসল্লি এ নিয়ে আপত্তি করেন। তারা বলেন , এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়তে কাউকে তো দেখিনি। তুমি এটি ঠিক করনি। আমি জানতে চাই , ফরয নামাযে এভাবে এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়ার হুকুম কী ? এ কারণে কি নামাযের কোনো অসুবিধা হয়েছে?
আমাকে ইমামতি করতে দেওয়া হয়। উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে কোনো আলেম বা হাফেয না থাকায় বাধ্য হয়ে আমি ইমামতি করতে যাই। কুরআন মাজীদের শেষের কয়েকটি সূরা ছাড়া অন্য বড় কোনো সূরা আমার মুখস্থ নেই। আর আমি জানতাম , ফজর নামাযে কেরাত একটু লম্বা পড়া সুন্নত। তাই আমার মুখস্থ সূরাগুলো থেকে এক রাকাতে আমি ধারাবাহিকভাবে চার- পাঁচটি করে সূরা তিলাওয়াত করি। নামায শেষে কয়েকজন মুসল্লি এ নিয়ে আপত্তি করেন। তারা বলেন , এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়তে কাউকে তো দেখিনি। তুমি এটি ঠিক করনি। আমি জানতে চাই , ফরয নামাযে এভাবে এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়ার হুকুম কী ? এ কারণে কি নামাযের কোনো অসুবিধা হয়েছে?
উত্তর
ফরয নামাযে এক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একাধিক সূরা না পড়াই উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন , প্রত্যেক সূরার পর রুকু এবং সিজদা করে তার হক আদায় কর। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা , হাদীস ৩৭৩০ তবে এক রাকাতে একাধিক সূরা পড়াও জায়েয আছে। কোনো কোনো সাহাবী এবং তাবেয়ী থেকে ফরয নামাযেও এক রাকাতে সূরা ফাতেহার পর একাধিক সূরা
পড়ার কথা বর্ণিত আছে , যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত আছে , তিনি
ফরয নামাযের এক রাকাতে একত্রে দুটি সূরা পড়তেন। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা , হাদীস ৩৭১৪ আতা রাহ. বলেন , ফরয নামাযে এক রাকাতে দুটি সূরা বা দুই রাকাতে একটি সূরা পড়লে অসুবিধা নেই। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা , হাদীস ৩৭১৫৷ উল্লেখ্য , এখানে মূল বিষয় হল, মাসনূন কিরাতের প্রতি লক্ষ্য রাখা। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় যেহেতু উযরের কারণে এমন হয়েছে তাই তাকে অনুত্তমও বলা যায় না। ফাতহুল কাদীর ১/২৯৯; ফতহুল বারী ২/৩০৪; ইলাউস সুনান ৪/১৩৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৯৭৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
পড়ার কথা বর্ণিত আছে , যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত আছে , তিনি
ফরয নামাযের এক রাকাতে একত্রে দুটি সূরা পড়তেন। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা , হাদীস ৩৭১৪ আতা রাহ. বলেন , ফরয নামাযে এক রাকাতে দুটি সূরা বা দুই রাকাতে একটি সূরা পড়লে অসুবিধা নেই। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা , হাদীস ৩৭১৫৷ উল্লেখ্য , এখানে মূল বিষয় হল, মাসনূন কিরাতের প্রতি লক্ষ্য রাখা। প্রশ্নোক্ত অবস্থায় যেহেতু উযরের কারণে এমন হয়েছে তাই তাকে অনুত্তমও বলা যায় না। ফাতহুল কাদীর ১/২৯৯; ফতহুল বারী ২/৩০৪; ইলাউস সুনান ৪/১৩৪; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৯৭৷ উত্তর প্রদানে মুফতী মেরাজ তাহসীন
01756473393
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- নামাযের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বৈঠকে একাধিকবার তাশাহহুদ পড়ে ফেললে করনীয় ৷
- আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে...
- আমি আজ এশার নামাযে প্রথম রাকাতে ভুলে ৩ বার সেজদা...
- আমি আজ আসর নামাযের শেষ বৈঠকে ভুলে দু’বার তাশাহহুদ পড়ে...
- হুযুর, আজ ফজর নামাযে প্রথম রাকাতে আমি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে...
- আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ আছে। যার নাম দেয়া হয়েছে...
- আমি মাঝেমধ্যে ফরয নামায একাকী পড়ার সময় তৃতীয় ও চতুর্থ...
- কয়েক দিন আগের কথা। বিতরের নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি সন্দেহে...
- সেদিন এক ব্যক্তির মুখে শুনলাম, রমযান মাসে নাকি এমন একটি...
- সেদিন বিতর নামায পড়ছিলাম। ৩য় রাকাতে দুআয়ে কুনূত না পড়েই...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আজান-নামাজ