ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ৩৭৬০
তারিখ: ১-ফেব্রুয়ারি-২০১৬
বিষয়:

আমি স্কুলে পড়ার সময় যোহর ও আসরের নামায আদায় করতে...

প্রশ্ন
আমি স্কুলে পড়ার সময় যোহর ও আসরের নামায আদায় করতে পারিনি। কারণ নামাযের সময়
স্কুলে ক্লাস হত। এখন আমি সে সময়ের নামাযগুলো কাযা করছি। কিন্তু তখন কত ওয়াক্ত নামায পড়া হয়নি তা জানা নেই। তবে আমার মনে হচ্ছে, অনাদায়ী সব নামায আদায় হয়ে গেছে। আর আমার নামাযগুলো আদায়ের পদ্ধতি এই ছিল যে, যোহরের সময় মসজিদে গিয়ে যোহরের সুন্নত না পড়ে কাযা নামায পড়েছি। এছাড়া অন্য সময় কাযা আদায় করার মতো সময় আমি বের
করতে পারছি না। এদিকে
আমার উপর আর অনাদায়ী নামায নেই -এমনটিও বলতে
পারছি না। আবার নামায
বাকি আছে- এমনটিও বলতে পারছি না। তাই এখন আমার জানার বিষয় হল, আমি কি
যোহরের সুন্নত বাদ দিয়ে অনাদায়ী নামায কাযা করব, নাকি আমার নামায অনাদায়ী নেই ধরে নিয়ে যোহরের সুন্নত আদায় করব? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
যোহরের পূর্বের চার রাকাত নামায সুন্নতে মুয়াক্কাদা। বিনা ওজরে তা নিয়মিত ছেড়ে দেওয়া গুনাহ। তাই অনাদায়ী নামায আদায়ের জন্য সুন্নত ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। এ কারণে আল্লাহ তাআলার দরবারে তাওবা- ইস্তিগফার করতে হবে। ভবিষ্যতে কাযা নামায আদায় করলে সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামায বাদ দেওয়া যাবে না। আর প্রশ্নোক্ত অবস্থায় যদি প্রবল ধারণা হয় যে, আপনার অনাদায়ী সব নামায আদায় হয়ে গেছে,কোনো অনাদায়ী নামায নেই তাহলে আর কাযা আদায় করতে হবে না। এক্ষেত্রে অনাদায়ী নামায থাকার ব্যাপারে শুধু সন্দেহ ধর্তব্য হবে না। শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে কাযা নামায আদায় করার প্রয়োজন নেই এবং তা উচিতও নয়। -সহীহ বুখারী, হাদীস ১১৮২; জামে তিরমিযী, হাদীস ৪২৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/১২;

উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আজান-নামাজ