ফতোয়া নং: ৩৭৪১
তারিখ:
১-ফেব্রুয়ারি-২০১৬
বিষয়:
মসজিদের দেয়ালে অনেক সময় নিচের বাক্যগুলো হাদীস হিসেবে লেখা থাকে-...
প্রশ্ন
মসজিদের দেয়ালে অনেক সময় নিচের বাক্যগুলো হাদীস হিসেবে লেখা থাকে- ক) যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়বে না বা ছেড়ে দিবে তার চেহারার উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাবে। খ) যে ব্যক্তি যোহরের নামায পড়বে না বা ছেড়ে দিবে তার রুজির বরকত কমে যাবে। গ) যে ব্যক্তি আসরের নামায পড়বে না বা ছেড়ে দিবে তার শরীরের শক্তি কমে যাবে। ঘ) যে ব্যক্তি মাগরিবের নামায পড়বে না বা ছেড়ে দিবে তার সন্তানাদি তার উপকারে আসবে না। ঙ) যে ব্যক্তি ইশার নামায পড়বে না বা ছেড়ে দিবে তার নিদ্রার পরিতৃপ্তি নষ্ট হয়ে যাবে। (বাবুস সালাত, মেশকাত আলমাসাবীহ) এ ধরনের উদ্ধৃতিসহ বা উদ্ধৃতি ছাড়াও দেয়ালে লেখা হয়ে থাকে। জানার বিষয় হল, বাক্যগুলো হাদীস কি না? হাদীস হলে এর মান কী? হাদীস না হলে কথাগুলো অন্যকোনোভাবে প্রমাণিত কি না? বা এর অর্থ ও বিষয়বস্তু সঠিক কি না, আর তা বর্ণনাযোগ্য কী না? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত কথাগুলো হাদীস নয়, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন কথা। মিশকাতুল মাসাবীহ গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেওয়া হলেও বাসত্মবে তাতে এ বর্ণনাটি নেই। হাদীসের নির্ভরযোগ্য অন্য কোনো গ্রন্থেও এর অসিত্মত্ব নেই। তাই
হাদীস
হিসেবে এটি বর্ণনা করা বা প্রচার করা জায়েয নয়। ভিত্তিহীন ঐ কথাগুলো হাদীস হিসেবে প্রচার করলে গুনাহ হবে। তবে ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াত ও অসংখ্য হাদীসে নামায ত্যাগকারী সম্পর্কে ভয়াবহ ধমকি এসেছে। একটি হাদীসে ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করাকে কুফরতুল্য গুনাহ বলা হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করল সে কুফরি করল।- মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৩০০৭ অপর একটি হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দিল তার থেকে আল্লাহতাআলার যিম্মা উঠে গেল।-সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস : ৩০১ আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিল ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদীস : ৪৫ সুতরাং প্রত্যেক মুসলমান নর- নারীকে যথাসময়ে নামায আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে। এক ওয়াক্ত নামাযও যেন ছুটে না যায় সে ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে।
হাদীস
হিসেবে এটি বর্ণনা করা বা প্রচার করা জায়েয নয়। ভিত্তিহীন ঐ কথাগুলো হাদীস হিসেবে প্রচার করলে গুনাহ হবে। তবে ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করা কবীরা গুনাহ। কুরআন মাজীদের বিভিন্ন আয়াত ও অসংখ্য হাদীসে নামায ত্যাগকারী সম্পর্কে ভয়াবহ ধমকি এসেছে। একটি হাদীসে ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করাকে কুফরতুল্য গুনাহ বলা হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ত্যাগ করল সে কুফরি করল।- মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২৩০০৭ অপর একটি হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দিল তার থেকে আল্লাহতাআলার যিম্মা উঠে গেল।-সুনানে ইবনে মাজা, হাদীস : ৩০১ আমীরুল মুমিনীন উমর ইবনুল খাত্তাব রা. থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি নামায ছেড়ে দিল ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদীস : ৪৫ সুতরাং প্রত্যেক মুসলমান নর- নারীকে যথাসময়ে নামায আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে। এক ওয়াক্ত নামাযও যেন ছুটে না যায় সে ব্যাপারে সদা সতর্ক থাকতে হবে।
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- নামাযের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বৈঠকে একাধিকবার তাশাহহুদ পড়ে ফেললে করনীয় ৷
- আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে...
- আমি আজ এশার নামাযে প্রথম রাকাতে ভুলে ৩ বার সেজদা...
- আমি আজ আসর নামাযের শেষ বৈঠকে ভুলে দু’বার তাশাহহুদ পড়ে...
- হুযুর, আজ ফজর নামাযে প্রথম রাকাতে আমি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে...
- আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ আছে। যার নাম দেয়া হয়েছে...
- আমি মাঝেমধ্যে ফরয নামায একাকী পড়ার সময় তৃতীয় ও চতুর্থ...
- কয়েক দিন আগের কথা। বিতরের নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি সন্দেহে...
- সেদিন এক ব্যক্তির মুখে শুনলাম, রমযান মাসে নাকি এমন একটি...
- সেদিন বিতর নামায পড়ছিলাম। ৩য় রাকাতে দুআয়ে কুনূত না পড়েই...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আজান-নামাজ