ফতোয়া নং: ৩৭৩৮
তারিখ:
১-ফেব্রুয়ারি-২০১৬
বিষয়:
জনৈক ব্যক্তি রমযানে রোযা রাখার পর বিনা ওজরে একটি রোযা...
প্রশ্ন
জনৈক ব্যক্তি রমযানে রোযা রাখার পর বিনা ওজরে একটি রোযা ভেঙ্গে ফেলে। এখন সে বৃদ্ধ। লাগাতার দুই মাস রোযা রেখে কাফফারা
আদায় করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সে
কি টাকা দিয়ে কাফফারা আদায় করতে পারবে? সে ক্ষেত্রে কি লাগাতার ৬০ দিন টাকা দিতে হবে? যদি সপ্তাহে দুজন-তিনজন করে দেয় তাহলে কী হবে?
সম্ভাব্য দ্রুত সময়ে জানানোর অনুরোধ রইল।
আদায় করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। এ অবস্থায় সে
কি টাকা দিয়ে কাফফারা আদায় করতে পারবে? সে ক্ষেত্রে কি লাগাতার ৬০ দিন টাকা দিতে হবে? যদি সপ্তাহে দুজন-তিনজন করে দেয় তাহলে কী হবে?
সম্ভাব্য দ্রুত সময়ে জানানোর অনুরোধ রইল।
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির যদি পরবর্তীতেও লাগাতার দু
মাস রোযা রাখার সামর্থ্য ফিরে পাওয়ার আশা না থাকে তাহলে সে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে পারবে। এজন্য ৬০ জন
দরিদ্রকে দু বেলা তৃপ্তি সহকারে আহার করাবে।
অথবা ৬০জনের প্রত্যেককে দু বেলা আহারের মূল্য
দিয়ে দিবে। (বর্তমানে জনপ্রতি দু বেলা
খাবারের মূল্য হিসেবে ১০০/- টাকা করে দেওয়া
যেতে পারে।)
এক্ষেত্রে ৬০ জনের টাকা বা ৬০ জনের খাবার ৬০
জনকে যেমন দেওয়া যায় তদ্রূপ ৬০ জনেরটা একজন
দুজনকে দেওয়াও বৈধ। তবে শর্ত হল, একদিনে
একজনকে একদিনের টাকাই দেওয়া যাবে। দুই তিন
দিনের টাকা বা খাবার একসাথে দেওয়া যাবে
না। দিলেও সেটা একদিনের জন্যই বিবেচিত হবে।
আর পুরো কাফফারার টাকা একজন দুইজনকে একদিন একদিন করে দেওয়া হোক অথবা ৬০ জনকেই তা দেওয়া হোক সেটা একসাথে বা লাগাতার
হওয়া জরুরি নয়। সুতরাং সপ্তাহে দুজন তিনজন করে
দিয়ে ৬০ জন পূর্ণ করলেও তা সহীহ হবে। -কিতাবুল আছল ২/১৬০-১৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬, ৪/১০৯; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৭৮-৪৮০
মাস রোযা রাখার সামর্থ্য ফিরে পাওয়ার আশা না থাকে তাহলে সে অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে পারবে। এজন্য ৬০ জন
দরিদ্রকে দু বেলা তৃপ্তি সহকারে আহার করাবে।
অথবা ৬০জনের প্রত্যেককে দু বেলা আহারের মূল্য
দিয়ে দিবে। (বর্তমানে জনপ্রতি দু বেলা
খাবারের মূল্য হিসেবে ১০০/- টাকা করে দেওয়া
যেতে পারে।)
এক্ষেত্রে ৬০ জনের টাকা বা ৬০ জনের খাবার ৬০
জনকে যেমন দেওয়া যায় তদ্রূপ ৬০ জনেরটা একজন
দুজনকে দেওয়াও বৈধ। তবে শর্ত হল, একদিনে
একজনকে একদিনের টাকাই দেওয়া যাবে। দুই তিন
দিনের টাকা বা খাবার একসাথে দেওয়া যাবে
না। দিলেও সেটা একদিনের জন্যই বিবেচিত হবে।
আর পুরো কাফফারার টাকা একজন দুইজনকে একদিন একদিন করে দেওয়া হোক অথবা ৬০ জনকেই তা দেওয়া হোক সেটা একসাথে বা লাগাতার
হওয়া জরুরি নয়। সুতরাং সপ্তাহে দুজন তিনজন করে
দিয়ে ৬০ জন পূর্ণ করলেও তা সহীহ হবে। -কিতাবুল আছল ২/১৬০-১৬১; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬, ৪/১০৯; আদ্দুররুল মুখতার ৩/৪৭৮-৪৮০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আমি প্রতি রমযানেই রোযাগুলো নিয়মিত রাখি। কিন্তু অধিকাংশ রোযাতেই মুখে...
- এক ব্যক্তি চোখের অসুস্থতার কারণে ড্রপ ব্যবহার করে এবং ঔষধের...
- কেউ যদি শাওয়াল মাসে রমযানের কাযা রোযা রাখে এবং এর...
- ১. আমি লোকমুখে শুনেছি যে, রোযা অবস্থায় যদি শরীর থেকে...
- রোযা অবস্থায় যদি কাউকে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, তাহলে এতে কি...
- রোযা অবস্থায় আমার মুখে মশা বা অন্য কোনো পোকা প্রবেশ...
- কুলি করার পর সাধারণত মুখে যে পানি লেগে থাকে তা...
- আমরা রমযান মাসে খতম তারাবীহ পড়ে থাকি। তখন আমরা সবাই...
- আমার প্রস্র্রাব আটকে যাওয়ার সমস্যা আছে। এজন্য আগে মাঝেমধ্যে ক্যাথেটারও...
- গত রমযানে একদিন দিনের বেলা আমার স্বপ্নদোষ হয়েছিল। তখন আমি...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ রোজা-ইতিকাফ