ফতোয়া: মুফতি মেরাজ তাহসিন

ফতোয়া নং: ২৮৫২
তারিখ: ১-মে-২০১৫
বিষয়:

আমার ছেলের অপারেশনের জন্য চার লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাই আমি...

প্রশ্ন
আমার ছেলের অপারেশনের জন্য চার লক্ষ টাকা প্রয়োজন। তাই আমি এক ব্যক্তির নিকট চার লক্ষ টাকার পরিবর্তে আমার একটি জমি বিক্রি করেছি। সে পঞ্চাশ হাজার টাকা নগদ পরিশোধ
করেছে। তার সাথে কথা হয়েছে, এক সপ্তাহের মধ্যে
বাকি টাকা পরিশোধ করলে তাকে জমির রেজিস্ট্রি
দিয়ে দিব। সে এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা দেয়নি।
এদিকে একদিন পর আমার ছেলের অপারেশনের তারিখ। তাকে বাকি টাকা পরিশোধ করতে বললে সে বলে, জমির প্রকৃত মূল্য তিন লক্ষ টাকা। চার
লক্ষ টাকা দিয়ে আমি জমি নিব না। ইচ্ছা হলে তিন
লক্ষ টাকা দিয়ে জমি বিক্রি করতে পারেন। তখন
আমি আরেকজনের নিকট নগদ চার লক্ষ টাকায়
জমিটি বিক্রি করে জমির রেজিস্ট্রি দিয়ে দিয়েছি।
প্রথম ক্রেতাকে তার টাকা দেওয়ার জন্য গেলে সে
আমার সাথে অত্যন্তরাগারাগি করে। তার কথা,
আমাকে না জানিয়ে অন্যের কাছে কেন জমি বিক্রি
করেছেন? আমার কাছে বিক্রি করার পর অন্য কারো কাছে বিক্রি করা ঠিক হয়নি ইত্যাদি। তাই হুযুরের কাছে জানতে চাই, উক্ত অবস্থায় অন্য ব্যক্তির নিকট জমি বিক্রি করা কি সহীহ হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী জমিটির প্রথম ক্রেতা
যেহেতু চার লক্ষ টাকা দিয়ে জমি নিবে না বলে
জানিয়ে দিয়েছে এবং তিন লক্ষ টাকা হলে নিবে
বলেছে তাই এর দ্বারাই ঐ ব্যক্তির সাথে
পূর্বোক্ত ক্রয়-বিক্রয় চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে।
সুতরাং এরপর ঐ জমি অন্যত্র বিক্রি করা
আপনার জন্য জায়েয হয়েছে। এ পর্যায়ে পূর্বের
ক্রেতার জন্য আপনার সাথে রাগারাগি করা বা
খারাপ আচরণ করা একেবারেই অন্যায়। শরীয়তের
দৃষ্টিতে সে শুধু তার দেওয়া টাকাগুলিই ফেরত পাবে।
এর অতিরিক্ত কোনো কিছু দাবি করা তার জন্য জায়েয হবে না। আর আপনার দায়িত্ব হল, অবিলম্বে লোকটির টাকা ফেরত দেওয়া। -হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ৬/৪১৭; তাবয়ীনুল
হাকায়েক ৪/১৯৭; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়াহ
৩/২১১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৪৪৪; আলবাহরুর রায়েক ৭/৩৬; আদ্দুররুল মুখতার
৫/৪৫১
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ ব্যবসা-চাকুরী