ফতোয়া নং: ২৮১১
তারিখ:
১-মে-২০১৫
বিষয়:
গত বছর আমি হজ্বে গিয়েছিলাম। দেশ থেকে ইহরাম বেঁধে যাইনি।...
প্রশ্ন
গত বছর আমি হজ্বে গিয়েছিলাম। দেশ থেকে ইহরাম বেঁধে যাইনি। ইচ্ছা ছিল মীকাত অতিক্রম করার আগে ইহরাম বেঁধে নেব। কিন্তু পরে আর মনে ছিল
না। ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম
করেছি। জেদ্দা বিমান বন্দরে নামার পর আমার এক আত্মীয় জানতে পারলে
বলেন, আগে মদীনায় আমার বাসায় চলে আসুন। পরে হজ্বের আগে মদীনা থেকে
ইহরাম বেঁধে হজ্ব করতে পারবেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি প্রথমে হারামে প্রবেশ না করে অন্য পথে সরাসরি
মদীনায় গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্ব করেছি। দেশে আসার পর এক ব্যক্তি বললেন, ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করার কারণে নাকি আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে।
তাই জানার বিষয় হল, ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করার কারণে কি আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে?
না। ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম
করেছি। জেদ্দা বিমান বন্দরে নামার পর আমার এক আত্মীয় জানতে পারলে
বলেন, আগে মদীনায় আমার বাসায় চলে আসুন। পরে হজ্বের আগে মদীনা থেকে
ইহরাম বেঁধে হজ্ব করতে পারবেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী আমি প্রথমে হারামে প্রবেশ না করে অন্য পথে সরাসরি
মদীনায় গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্ব করেছি। দেশে আসার পর এক ব্যক্তি বললেন, ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করার কারণে নাকি আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে।
তাই জানার বিষয় হল, ইহরাম না বেঁধে মীকাত অতিক্রম করার কারণে কি আমার উপর দম ওয়াজিব হয়েছে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইহরাম না বেঁধে জেদ্দায় চলে এলেও পরবর্তীতে সেখান
থেকে যেহেতু আপনি সরাসরি মক্কা মুকাররমায় যাননি; বরং মদীনায় গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে হেরেমে
গিয়েছেন তাই আপনার উপর দম ওয়াজিব
হয়নি। উল্লেখ্য যে, উমরাহ বা হজ্বের উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হওয়ার সময় নিজ এলাকা থেকেই ইহরাম বেঁধে নেওয়া উত্তম। সাহাবায়ে কেরাম সিরিয়া, বসরা, বায়তুল
মাকদিস, কাদেসিয়ার মতো দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্ব করতে
আসতেন। এই মাসআলার উপর আমল করলে উক্ত জটিলতায় পড়তে হত না।
-সুনানে আবু দাউদ ২/৪১৩; মুসনাদে আহমাদ ৪৪/১৮১; আততামহীদ ১৫/১৪৫;
থেকে যেহেতু আপনি সরাসরি মক্কা মুকাররমায় যাননি; বরং মদীনায় গিয়ে সেখান থেকে ইহরাম বেঁধে হেরেমে
গিয়েছেন তাই আপনার উপর দম ওয়াজিব
হয়নি। উল্লেখ্য যে, উমরাহ বা হজ্বের উদ্দেশ্যে
রওয়ানা হওয়ার সময় নিজ এলাকা থেকেই ইহরাম বেঁধে নেওয়া উত্তম। সাহাবায়ে কেরাম সিরিয়া, বসরা, বায়তুল
মাকদিস, কাদেসিয়ার মতো দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে ইহরাম বেঁধে হজ্ব করতে
আসতেন। এই মাসআলার উপর আমল করলে উক্ত জটিলতায় পড়তে হত না।
-সুনানে আবু দাউদ ২/৪১৩; মুসনাদে আহমাদ ৪৪/১৮১; আততামহীদ ১৫/১৪৫;
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আমার ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবন আছে। সেটির ২য় তলায়...
- মুহতারাম, আমার স্বামী ইন্তেকালের পরে ওয়ারিশ সূত্রে যে সম্পদ পেয়েছি...
- সাধারণত আমি কাঁথা/কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমাই। হজ্বের সময় ১০ তারিখ...
- চুল আঁচড়ানোর সময় আমি খুব উকুন মারি। হজ্বের সময় ইহরাম...
- এ বছর হজ্বের সময় ৯ যিলহজ্ব মাগরিবের পর আমরা আরাফা...
- গত রমযানে আমি ওমরা করেছি। আমি যখন ওমরার তাওয়াফ করছিলাম...
- আমি একটি মসজিদে ইমামতি করি। গত বছর আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে...
- এ বছর আমি ও আমার স্ত্রী হজ্ব করেছি। হজ্বের সময়...
- একদিন নফল তাওয়াফ করার পর তাড়াহুড়োর কারণে তাওয়াফের দুই রাকাত...
- আমি সরকারী চাকরিজীবী। লাখ খানেকের মতো নগদ টাকা আমার কাছে...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ হজ্ব