ফতোয়া নং: ২৩২৭
তারিখ:
১-ডিসেম্বর-২০১৪
বিষয়:
বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময়...
প্রশ্ন
বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময় মুসল্লিরা বসে বসে গল্প করে। আবার অনেককে দেখা যায়, যখন ইমাম সাহেব খুতবায়
ﺇﻥ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻳَﺎ
ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ
ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ আয়াতটি পড়েন তখন তারা উচ্চস্বরে দরূদ পাঠ করে। আর আমাদের মসজিদে ছোটকাল থেকেই লক্ষ্য করছি যে, ঈদের নামাযের খুতবায় ইমাম সাহেব যখন তাকবীরে তাশরীক বলেন তখন সকল মুসলিস্ন একসঙ্গে উচ্চস্বরে ইমাম সাহেবের সাথে সাথে তাকবীর বলতে থাকেন। তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে শরীয়তের বিধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।
ﺇﻥ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﻣَﻠَﺎﺋِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﻳَﺎ
ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁَﻣَﻨُﻮﺍ ﺻَﻠُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠِّﻤُﻮﺍ
ﺗَﺴْﻠِﻴﻤًﺎ আয়াতটি পড়েন তখন তারা উচ্চস্বরে দরূদ পাঠ করে। আর আমাদের মসজিদে ছোটকাল থেকেই লক্ষ্য করছি যে, ঈদের নামাযের খুতবায় ইমাম সাহেব যখন তাকবীরে তাশরীক বলেন তখন সকল মুসলিস্ন একসঙ্গে উচ্চস্বরে ইমাম সাহেবের সাথে সাথে তাকবীর বলতে থাকেন। তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে শরীয়তের বিধান জানালে কৃতজ্ঞ হব।
উত্তর
জুমা ও ঈদের খুতবা মনোযোগের সাথে শ্রবণ করা ওয়াজিব। খুতবা চলাকালীন সময়ে কোনো ধরনের কথা বলা, কাজ করা নিষিদ্ধ। এমনকি তাসবীহ-তাহলীল পড়াও নিষিদ্ধ। হাদীস শরীফে এসেছে, হযরত আবু যার রা. বলেন, একদিন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবায় সূরা বারাআত পাঠ করলেন। তখন আমি উবাই ইবনে কাআব (রা.) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, এ সূরাটি কখন অবতীর্ণ হয়েছে? আমার প্রশ্ন শুনে তিনি চেহারা মলিন করলেন এবং চুপ থাকলেন। এভাবে পরপর তিনবার প্রশ্ন করার পরও তিনি আমাকে কোনো উত্তর দিলেন না। জুমার নামায শেষ হওয়ার পর আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাকে বার বার প্রশ্ন করার পরও কোনো উত্তর দিলেন না কেন? তখন উবাই রা. বললেন, (খুতবা চলাকালে প্রশ্ন করার কারণে) আপনি জুমার কোনো সওয়াব পাননি। আপনার অনর্থক কথা বলা হয়েছে। তখন আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে উবাই রা.-এর এ কথা জানালাম। জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, উবাই ঠিকই বলেছে। (দ্রষ্টব্য : সহীহ ইবনে খুযাইমা ২/৮৭৪, হাদীস :
১৮০৭
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব ও যুহরী রাহ. বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে কোনো নামায পড়া যাবে না। আর খুতবা শুরু করলে কোনো কথা বলা যাবে না।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/১০৩-
১০৪
হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তুমি যদি ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় পাশের ব্যক্তিকে কথা বলতে নিষেধ কর তবে তুমি অনর্থক কাজ করলে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮৫১ এ সকল হাদীস ও আসারের আলোকে ফকীহগণ খুতবা অবস্থায় মুকতাদীর জন্য কোনো কথা বলা এবং কোনো তাসবীহ পড়াকে নিষিদ্ধ বলেছেন। তাই খুতবা চলাকালে মুকতাদীর জন্য দরূদ শরীফ বা তাকবীরে তাশরীক বলা থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক। -তাফসীরে তবারী ৬/১৬৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৫; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২১৭৩০; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৬০
১৮০৭
হযরত সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব ও যুহরী রাহ. বলেন, ইমাম খুতবার জন্য বের হলে কোনো নামায পড়া যাবে না। আর খুতবা শুরু করলে কোনো কথা বলা যাবে না।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ৪/১০৩-
১০৪
হযরত আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তুমি যদি ইমামের খুতবা দেওয়ার সময় পাশের ব্যক্তিকে কথা বলতে নিষেধ কর তবে তুমি অনর্থক কাজ করলে।-সহীহ মুসলিম, হাদীস : ৮৫১ এ সকল হাদীস ও আসারের আলোকে ফকীহগণ খুতবা অবস্থায় মুকতাদীর জন্য কোনো কথা বলা এবং কোনো তাসবীহ পড়াকে নিষিদ্ধ বলেছেন। তাই খুতবা চলাকালে মুকতাদীর জন্য দরূদ শরীফ বা তাকবীরে তাশরীক বলা থেকেও বিরত থাকা আবশ্যক। -তাফসীরে তবারী ৬/১৬৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৫৫; মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ২১৭৩০; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৪৬০
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- আমাদের এলাকায় মসজিদে ঈদের জামাত হয়। গত ঈদে নামাযের আগে...
- আমি জনৈক আলেমকে বলতে শুনেছি যে, জুমা ও ঈদের সময়...
- আমি একজন ইমাম। গত শুক্রবার জুমার নামায পড়াতে গিয়ে ভুলে...
- গতবার ঈদের নামাযে আমাদের ইমাম ছাহেব অতিরিক্ত তাকবীর বলার সময়...
- গত ঈদুল আযহার দিন ঈদের নামাযের আগে এক ব্যক্তিকে মসজিদে...
- মাঝেমধ্যে কোনো কোনো মুসল্লিকে নামায শেষে পাশের জনের সাথে মুসাফাহা...
- ইমাম সাহেব ঈদের নামাযের পর খুতবা দেওয়ার সময় মাঝে মাঝে...
- আমাদের গ্রামে অনেক বড় একটি ঈদের মাঠ আছে। সাথে একটি...
- বিভিন্ন মসজিদে দেখা যায়, ইমাম সাহেব জুমার খুতবা দেওয়ার সময়...
- এক ব্যক্তি ঈদের নামাযের প্রথম রাকাত পায়নি। দ্বিতীয় রাকাত শুরু...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ ঈদ