ফতোয়া নং: ২০৬৩
তারিখ:
১-সেপ্টেম্বর-২০১৪
বিষয়:
অনেক সময় নামাযের রাকাত নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাই। চেষ্টা করেও...
প্রশ্ন
অনেক সময় নামাযের রাকাত নিয়ে সংশয়ে পড়ে যাই। চেষ্টা করেও স্মরণ করতে পারি না কত রাকাত পড়েছি। এক্ষেত্রে করণীয় কী?
উত্তর
নামাযের রাকাত- সংখ্যা নিয়ে সংশয়ে পড়লে করণীয় হল, যে সংখ্যার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হবে সেটাকে ধরে নিয়ে অবশিষ্ট রাকাত পূর্ণ করবে। এক্ষেত্রে সাহু সিজদা দেওয়া লাগবে না। পক্ষান্তরে রাকাত সংখ্যার ব্যাপারে যদি কোনো ধারণাই প্রবল না হয় তাহলে সম্ভাব্য সংখ্যার মাঝে কম সংখ্যাটি ধরবে। অতপর ঐ হিসাবে অবশিষ্ট নাময পূর্ণ করবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাতের শেষে বৈঠক করে তাশাহহুদ
পড়বে এবং শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা দিয়ে নামায
শেষ করবে। উল্লেখ্য যে, নামাযের মধ্যে এ ধরনের সংশয় মনোযোগের অভাবে হয়ে থাকে। তাই খুশু-খুযুর
সাথে নামায আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
এজন্য কোনো আল্লাহ ওয়ালা বুযুর্গের সোহবতে যাওয়া ও তার পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। -কিতাবুল আছল ১/২২৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৪২৯; ফাতহুল কাদীর ১/৪৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০৩
প্রশ্নঃ- ঝাড়ফুক, তাবিজ, কবজের শরঈ বিধান কি? ¤ঝাড়ফুক, তাবিজ, কবজ দিয়ে বিনিময় নেওয়া কি জায়েয আছে? উত্তরঃ- ঝাড়ফুক তাবিজ কবজ চার শর্তে জায়েয আছে; (১) কুফুরী কালাম না হওয়া। (২) লেখাগুলো অস্পষ্ট না হওয়া। (৩) কোন নাজায়েয কাজের জন্য না হওয়া। (৪) এমন আক্বীদা না থাকা যে, তাবিজের মধ্যে ই ভালো করার ক্ষমতা রয়েছে। কারন ভালো করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। ¤উল্যেখিত শর্ত অনুযায়ী ঝাড়ফুক, তাবিজ, কবজ দিয়ে বিনিময় নেওয়া জায়েয আছে। দলিলঃ- মুসলিম শরিফ, হাদিস নং ৫৬৭, মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা- হাদিস নং ২৪০১৩, ফতোয়ায়ে শামী - ৬/৩৬৩. (সাইদ)
পড়বে এবং শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা দিয়ে নামায
শেষ করবে। উল্লেখ্য যে, নামাযের মধ্যে এ ধরনের সংশয় মনোযোগের অভাবে হয়ে থাকে। তাই খুশু-খুযুর
সাথে নামায আদায়ের প্রতি যত্নবান হতে হবে।
এজন্য কোনো আল্লাহ ওয়ালা বুযুর্গের সোহবতে যাওয়া ও তার পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে। -কিতাবুল আছল ১/২২৪; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৪২৯; ফাতহুল কাদীর ১/৪৫২; রদ্দুল মুহতার ২/৯৩; বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০৩
প্রশ্নঃ- ঝাড়ফুক, তাবিজ, কবজের শরঈ বিধান কি? ¤ঝাড়ফুক, তাবিজ, কবজ দিয়ে বিনিময় নেওয়া কি জায়েয আছে? উত্তরঃ- ঝাড়ফুক তাবিজ কবজ চার শর্তে জায়েয আছে; (১) কুফুরী কালাম না হওয়া। (২) লেখাগুলো অস্পষ্ট না হওয়া। (৩) কোন নাজায়েয কাজের জন্য না হওয়া। (৪) এমন আক্বীদা না থাকা যে, তাবিজের মধ্যে ই ভালো করার ক্ষমতা রয়েছে। কারন ভালো করার মালিক একমাত্র আল্লাহ। ¤উল্যেখিত শর্ত অনুযায়ী ঝাড়ফুক, তাবিজ, কবজ দিয়ে বিনিময় নেওয়া জায়েয আছে। দলিলঃ- মুসলিম শরিফ, হাদিস নং ৫৬৭, মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা- হাদিস নং ২৪০১৩, ফতোয়ায়ে শামী - ৬/৩৬৩. (সাইদ)
উত্তর দিয়েছেন : মুফতি মেরাজ তাহসিন
এ বিষয়ে আরো ফতোয়া:
- নামাযের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বৈঠকে একাধিকবার তাশাহহুদ পড়ে ফেললে করনীয় ৷
- আমার বাবাকে তার এক বন্ধু একটি ওয়ালম্যাট গিফট করেছে। তাতে...
- আমি আজ এশার নামাযে প্রথম রাকাতে ভুলে ৩ বার সেজদা...
- আমি আজ আসর নামাযের শেষ বৈঠকে ভুলে দু’বার তাশাহহুদ পড়ে...
- হুযুর, আজ ফজর নামাযে প্রথম রাকাতে আমি ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে...
- আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একটি মসজিদ আছে। যার নাম দেয়া হয়েছে...
- আমি মাঝেমধ্যে ফরয নামায একাকী পড়ার সময় তৃতীয় ও চতুর্থ...
- কয়েক দিন আগের কথা। বিতরের নামাযে দাঁড়ানো অবস্থায় আমি সন্দেহে...
- সেদিন এক ব্যক্তির মুখে শুনলাম, রমযান মাসে নাকি এমন একটি...
- সেদিন বিতর নামায পড়ছিলাম। ৩য় রাকাতে দুআয়ে কুনূত না পড়েই...
এ বিভাতের বাকি সকল ফতোয়া এখানে পাবেন : বিভাগ আজান-নামাজ